০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

হোম আর অফিস আলাদা হোক হোম অফিসে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৬৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শুরু শুরুতে হোম অফিস ধারণাটা বেশ ‘স্মার্ট’ লেগেছিল। উদ্বাহু স্বাগত জানিয়েছিল সবাই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মুদ্রার উল্টো পিঠও সামনে চলে আসছে। এখন হোম অফিসে স্বস্তি থাকলেও নেই আগের মতো উন্মাদনা। হোম অফিসে নাকি ডে অফ বা ছুটি টেরই পাওয়া যাচ্ছে না।

অনেকে আবার বলছেন, সারা দিন কাজ করেও বসকে খুশি করা যাচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম অফিস নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ব্যক্তিগত সম্পর্কেও। ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। না অফিস, না হোম—কোনোটাই ঠিকমতো সামলে পারা যাচ্ছে না। ঘরে ছোট বাচ্চা থাকলে তো কথাই নেই। সে কেবল মা বা বাবাকে বোঝে, তাঁদের হোম অফিস বোঝে না।

সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কিছু ছোট্ট টিপস অনুসরণ করলে নির্ঝঞ্ঝাট হয় হোম অফিস। তবে হ্যাঁ, অফিসকেও সেটা বুঝতে হবে। বাড়িতে অফিস করলেও নির্দিষ্ট অফিস টাইমের পর বিরক্ত না করাই সমীচীন। একান্ত প্রয়োজন না হলে অতিরিক্ত কাজ দেওয়া উচিৎ নয়। আসলে প্রয়োজন হবে পেশাদার মনোভাব। সেটা অবশ্যই উভয় পক্ষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আপাতত হোম অফিসকে আরামদায়ক করার জন্য কিছু দেওয়া হলো কিছু টিপস।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

* ঘরেই অফিসের জন্য একটা স্পেস তৈরি করুন। সেই স্পেস কেবল অফিসের জন্যই ব্যবহার করুন। জায়গা বাঁচাতে ফোল্ডিং টেবিল হতে পারে সমাধান। অফিস করার জন্য ঘরের টেবিল টানাটানি না করে কিনে নিতে পারেন ছোট একটা ফোল্ডিং টেবিল। কাজ শেষে দেয়ালের সঙ্গেই আবার ঝুলে থাকবে টেবিলটি। ফলে, জায়গা বাঁচাবে আর কাজেও ব্যবহার করা যাবে। এভাবে প্রতিদিন টেবিল পেতে সেটাকে অফিস বানিয়ে নিতে পারেন। আবার অফিস শেষে ভাঁজ করে রেখে দিতে পারেন। তাতে হোম অফিসের সময় জায়গাটাকে বাসা মনে হবে না। আবার অফিস শেষ করেও মনে হবে না অফিসেই আছেন।  

* অফিসের টেবিলে যত কম জিনিস রাখবেন ততই ভালো। একটা ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, একটা ডায়েরি, কলম, চা বা কফির মগ, প্রয়োজনীয় ফাইল বা কাগজপত্র—এই তো। অফিস শেষে সেগুলো আবার নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিলেই হবে।
* অফিসের টেবিলের পেছনে ঝুলিয়ে দিতে পারেন সুন্দর একটি পেইন্টিং। তাতে জুম মিটিংয়ে আপনার হোম অফিসকে একটা ক্ল্যাসি লুক দেবে।    
* অফিসের সময় ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কাজ নয়। সেগুলো ৯-৫টার অফিসে ৯টার আগে বা ৫টার পর সারুন।  
* বাড়িতে অফিস করতে হবে অফিসের নিয়মেই। হোম অফিসেও আপনার অফিসের সময়সূচি মেনে চলুন। ৯টা-৫টা হলে বাড়িতেও ৯টা-৫টা। সেভাবেই নিজের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়ে নিতে হবে।    

* ঘরের ভেতরের ছোট্ট অফিস স্পেসে রাখতে পারেন একটা মানিপ্লান্ট বা সবুজ কোনো ইনডোর প্ল্যান্ট। ঘরের অফিসটি ঘরের মূল বেডরুম, ড্রয়িংরুম বা ডাইনিংরুমের বাইরে হলে ভালো হয়। গেস্টরুম খালি থাকলে সেটাকে ব্যবহার করতে পারেন অফিস হিসেবে। আবার বারান্দার এক পাশেও টেবিল বসিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন অফিস। মোদ্দাকথা, স্পেস, কাজের প্যাটার্ন আর মানসিকতা—সবদিক থেকেই অফিসকে ঘর থেকে আলাদা করুন। তাতে কাজে সুবিধা হবে। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হোম অফিস ধারণাটার সঙ্গে ঠিকভাবে মানিয়ে নিয়ে কাজের সুবিধাজনক পরিবেশ রাখতে হবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

হোম আর অফিস আলাদা হোক হোম অফিসে

আপডেট: ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শুরু শুরুতে হোম অফিস ধারণাটা বেশ ‘স্মার্ট’ লেগেছিল। উদ্বাহু স্বাগত জানিয়েছিল সবাই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মুদ্রার উল্টো পিঠও সামনে চলে আসছে। এখন হোম অফিসে স্বস্তি থাকলেও নেই আগের মতো উন্মাদনা। হোম অফিসে নাকি ডে অফ বা ছুটি টেরই পাওয়া যাচ্ছে না।

অনেকে আবার বলছেন, সারা দিন কাজ করেও বসকে খুশি করা যাচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম অফিস নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ব্যক্তিগত সম্পর্কেও। ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। না অফিস, না হোম—কোনোটাই ঠিকমতো সামলে পারা যাচ্ছে না। ঘরে ছোট বাচ্চা থাকলে তো কথাই নেই। সে কেবল মা বা বাবাকে বোঝে, তাঁদের হোম অফিস বোঝে না।

সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কিছু ছোট্ট টিপস অনুসরণ করলে নির্ঝঞ্ঝাট হয় হোম অফিস। তবে হ্যাঁ, অফিসকেও সেটা বুঝতে হবে। বাড়িতে অফিস করলেও নির্দিষ্ট অফিস টাইমের পর বিরক্ত না করাই সমীচীন। একান্ত প্রয়োজন না হলে অতিরিক্ত কাজ দেওয়া উচিৎ নয়। আসলে প্রয়োজন হবে পেশাদার মনোভাব। সেটা অবশ্যই উভয় পক্ষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আপাতত হোম অফিসকে আরামদায়ক করার জন্য কিছু দেওয়া হলো কিছু টিপস।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

* ঘরেই অফিসের জন্য একটা স্পেস তৈরি করুন। সেই স্পেস কেবল অফিসের জন্যই ব্যবহার করুন। জায়গা বাঁচাতে ফোল্ডিং টেবিল হতে পারে সমাধান। অফিস করার জন্য ঘরের টেবিল টানাটানি না করে কিনে নিতে পারেন ছোট একটা ফোল্ডিং টেবিল। কাজ শেষে দেয়ালের সঙ্গেই আবার ঝুলে থাকবে টেবিলটি। ফলে, জায়গা বাঁচাবে আর কাজেও ব্যবহার করা যাবে। এভাবে প্রতিদিন টেবিল পেতে সেটাকে অফিস বানিয়ে নিতে পারেন। আবার অফিস শেষে ভাঁজ করে রেখে দিতে পারেন। তাতে হোম অফিসের সময় জায়গাটাকে বাসা মনে হবে না। আবার অফিস শেষ করেও মনে হবে না অফিসেই আছেন।  

* অফিসের টেবিলে যত কম জিনিস রাখবেন ততই ভালো। একটা ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, একটা ডায়েরি, কলম, চা বা কফির মগ, প্রয়োজনীয় ফাইল বা কাগজপত্র—এই তো। অফিস শেষে সেগুলো আবার নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিলেই হবে।
* অফিসের টেবিলের পেছনে ঝুলিয়ে দিতে পারেন সুন্দর একটি পেইন্টিং। তাতে জুম মিটিংয়ে আপনার হোম অফিসকে একটা ক্ল্যাসি লুক দেবে।    
* অফিসের সময় ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কাজ নয়। সেগুলো ৯-৫টার অফিসে ৯টার আগে বা ৫টার পর সারুন।  
* বাড়িতে অফিস করতে হবে অফিসের নিয়মেই। হোম অফিসেও আপনার অফিসের সময়সূচি মেনে চলুন। ৯টা-৫টা হলে বাড়িতেও ৯টা-৫টা। সেভাবেই নিজের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়ে নিতে হবে।    

* ঘরের ভেতরের ছোট্ট অফিস স্পেসে রাখতে পারেন একটা মানিপ্লান্ট বা সবুজ কোনো ইনডোর প্ল্যান্ট। ঘরের অফিসটি ঘরের মূল বেডরুম, ড্রয়িংরুম বা ডাইনিংরুমের বাইরে হলে ভালো হয়। গেস্টরুম খালি থাকলে সেটাকে ব্যবহার করতে পারেন অফিস হিসেবে। আবার বারান্দার এক পাশেও টেবিল বসিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন অফিস। মোদ্দাকথা, স্পেস, কাজের প্যাটার্ন আর মানসিকতা—সবদিক থেকেই অফিসকে ঘর থেকে আলাদা করুন। তাতে কাজে সুবিধা হবে। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হোম অফিস ধারণাটার সঙ্গে ঠিকভাবে মানিয়ে নিয়ে কাজের সুবিধাজনক পরিবেশ রাখতে হবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: