যাদের ছেলে-মেয়ে পড়ে না, তারাই স্কুলে পাঠাতে সোচ্চার
- আপডেট: ০৩:১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
- / ৪২১১ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধনমন্ত্রী বলেন, যাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়ে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে যায় সেই বাবা-মা ই কিন্তু চান না তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে। এটা নিয়ে সব থেকে বেশি সোচ্চার যাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায় না। পড়েই না বা পড়ার মতো ছেলে মেয়ে নাই তারাই বেশি কথা বলে। কিন্তু যাদের যায় তারা তো চাচ্ছেন না।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা একথা বলেন।এর আগে সকাল ১১ টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন ঠিক সিদ্ধান্ত নিলাম স্কুল খুলব তখনই করোনা ভাইরাস এমনভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ল সারাবিশ্বে, তার ধাক্কাটা আসল আমাদের দেশেও।
তিনি বলেন, যাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়ে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে যায় সেই বাবা-মা ই কিন্তু চান না তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে। এটা নিয়ে সব থেকে বেশি সোচ্চার যাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায় না। পড়েই না বা পড়ার মতো ছেলে মেয়ে নাই তারাই বেশি কথা বলে। কিন্তু যাদের যায় তারা তো চাচ্ছেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ছেলে মেয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে এটা তো করতে পারি না। ছোট্ট শিশুদেরও তো করোনা হচ্ছে। আমরা জেনে শুনে লেখাপড়া শিখব কিন্তু লেখাপড়ার জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কিনা সেটাও একটু বিবেচনা করবেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তিনি বলেন, হ্যাঁ স্কুল বন্ধ আছে। পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য এই সংসদ টিভির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস প্রতিদিন প্রচার হচ্ছে। রেডিও উন্মুক্ত করেছি, রেডিওর মাধ্যমে যাচ্ছে, অনলাইনে যাচ্ছে, যে যেভাবে সুযোগ পাচ্ছে সেভাবে কিন্তু পড়াশোনার কাজটা চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। একটু ক্ষতি হচ্ছে। টিকা দেওয়ার পরই সকল স্কুলগুলো খুলে দেব।
স্কুল খোলা নিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বলার জন্য বলবেন এটা ঠিক আছে। তারপর এটা চিন্তা করবেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেবেন কি না? বিদেশে আমাদের নাতি পুতিরা পড়াশোনা করে, ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে অনেকে পরিচিত জন পড়ে। সেখানে দেখেছি সবাই অনলাইন পড়াশোনা করছে। কিছু দিন স্কুল খুলল আবার যখন মহামারি ছড়িয়ে পড়ল আবার বন্ধ করল। হ্যাঁ তারা অপশন দিচ্ছে কারা স্কুলে পাঠাবে আবার কেউ ঘরে বসে পড়াচ্ছে। আবার যখন করোনা ছড়িয়ে পড়ে আবার সব বন্ধ করে দেয়। এটা শুধু বাংলাদেশের নয় সারা বিশ্বেরই এই অবস্থা। শিক্ষার জন্য সব থেকে বেশি কাজ আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।
সংসদ নেতা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষকদের টিকা দিয়েছি। ছাত্রদেরও টিকা দেব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কতগুলো নির্দেশনা মেনে চলতে হয় কোন টিকা কোন বয়স পর্যন্ত দেওয়া যাবে। সেটা তারা প্রথমে পরামর্শ দেয় সেটা মেনেই চলতে হয়। সেই হিসাব করে আমরা ইতোমধ্যে টিকা আনতে শুরু করেছি।
ঢাকা/এনইউ
আরও পড়ুন:
- খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু
- এবার পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালাবে র্যাব
- বারাকা পতেঙ্গার শেয়ার বরাদ্দ ৫ জুলাই
- দশ জনের দল নিয়ে জয়, সেমিফাইনালে ব্রাজিল
- সাপ্তাহজুড়ে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো
- দেশে পৌঁছাল মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ টিকা
- মার্কেট ভাল হবেই; লোকসানে বিক্রি নয়: বিএসইসি চেয়ারম্যান
- পুঁজিবাজারের যাত্রার ইতিহাস এবং স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব্য ও কর্তব্য
- সদ্য সপ্তাহে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ১৫ পয়েন্ট
- সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষে সাফকো স্পিনিং
- ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে
- পুঁজিবাজারে ফিরল সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা
- থামছে না ওটিসি ফেরত চার কোম্পানির দাপট
- পুঁজিবাজারে জুন মাসে রেকর্ড লেনদেন