১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

পুঁজিবাজারে ফিরল সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ছবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে মূল্য সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি বেড়ে গেছে। দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ১০ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ২ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। এর ফলে টানা দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ল ৬ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।

অবশ্য টানা দুই সপ্তাহ বাজার মূলধন বাড়লেও তার আগের সপ্তাহে কমে। তখন ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকায় নামে। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণও বেড়ে যায়।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪০ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ১০৬ পয়েন্ট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ।

অন্যদিকে, ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও টানা দুই সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ১২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১০ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৫ শতাংশ।

সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দামবৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির। আর ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯০৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪৯৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ২৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৬২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৯ হাজার ৫২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৮৯৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ৪০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে বাড়ার কারণ ব্যাংক হলিডের কারণে গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, ডেলটা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মালেক স্পিনিং, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ম্যাকসন স্পিনিং, ড্রাগন সোয়েটার, কেয়া কসমেটিকস এবং কাট্টালী টেক্সটাইল।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজারে ফিরল সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১১:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে মূল্য সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি বেড়ে গেছে। দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ১০ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ২ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। এর ফলে টানা দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ল ৬ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।

অবশ্য টানা দুই সপ্তাহ বাজার মূলধন বাড়লেও তার আগের সপ্তাহে কমে। তখন ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকায় নামে। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণও বেড়ে যায়।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪০ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ১০৬ পয়েন্ট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ।

অন্যদিকে, ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও টানা দুই সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ১২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১০ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৫ শতাংশ।

সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দামবৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির। আর ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯০৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪৯৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ২৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৬২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৯ হাজার ৫২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৮৯৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ৪০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে বাড়ার কারণ ব্যাংক হলিডের কারণে গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, ডেলটা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মালেক স্পিনিং, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ম্যাকসন স্পিনিং, ড্রাগন সোয়েটার, কেয়া কসমেটিকস এবং কাট্টালী টেক্সটাইল।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: