০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কোনটা খাবেনঃ গরুকে ছাড়িয়ে গেলো মুরগীর দাম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে

বাজারে দুই জাতের মুরগির দাম গরুর মাংসকে ছাড়িয়ে গেছে। সোনালিকা মুরগির দামের কেজি উঠেছে ৩৮০ টাকায়। এ দরে জীবন্ত মুরগি কিনলে শুধু মাংসের দাম দাঁড়ায় ৫৮০ টাকার মতো। বাজারে সমান দামে গরুর মাংসও পাওয়া যায়।

দেশি মুরগির মাংসের দাম গরুর চেয়ে অনেকটাই বেশি। জীবন্ত দেশি মুরগির কেজি ৫০০ টাকার মতো। চামড়া, পশম ও নাড়িভুঁড়ি বাদ দিলে শুধু মাংসের কেজি দাঁড়ায় সাড়ে ৭০০ টাকার মতো।

এতসব হিসাব-কিতাব বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুপরিচিত এক অনলাইন পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঘেঁটে দেখা গেল, আধা কেজি ওজনের একটি সোনালিকা জাতের মুরগির (চামড়া ছাড়ানো) দাম হাঁকানো হয়েছে ৩২০ টাকা। এর মানে হলো কেজি ৬৪০ টাকা। আর দেশি মুরগির কেজি দাঁড়াচ্ছে পৌনে ৮০০ টাকার মতো। একই ওয়েবসাইটে গরুর মাংসের কেজি চাওয়া হয়েছে ৫৬৯ টাকা।

মাস তিনেক আগেও সোনালিকা জাতের মুরগির কেজি ছিল ২২০ টাকা। সে তুলনায় দাম বেড়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ। দেশি মুরগির কেজি ছিল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। দাম বেড়েছে ২৯ শতাংশের মতো। পিছিয়ে নেই ব্রয়লার মুরগিও। বাজারে মাস তিনেক আগে যে মুরগির কেজি ১৩৫ টাকা ছিল, তা এখন ১৬৫ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

প্রতিবছর পবিত্র শবে বরাতের আগে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কিছুটা বাড়ে। তবে সোনালিকা ও দেশি মুরগির দাম খুব একটা বাড়তে দেখা যায় না। এবার সব ধরনের মুরগি ও গরুর মাংসের দাম বাড়ল। সব মিলিয়ে শবে বরাতে মাংস কিনতে খরচ অনেকটাই বাড়বে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের শেষ দিকে হঠাৎ মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু উৎপাদন কম। মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বাজার চড়া। মিরপুর-১১ নম্বর কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারেই মুরগির দাম বেশি।

চালের বাজারে দাম কমার কোনো খবর নেই। বরং মাঝারি বিআর-২৮ জাতের চালের দাম আগের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা হয়েছে। মিরপুর-১ নম্বর শাহ্ আলী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ এবং মোটা গুটি ও স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। ইলিয়াস জানান, দেড় সপ্তাহ আগেও তিনি বিআর-২৮ চাল ৫২ টাকায় এবং গুটি স্বর্ণা ৪৮ টাকায় বিক্রি করতেন। এখন পাইকারদের কাছ থেকে তাঁর বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে।

বাজারে গত দুই সপ্তাহে তরল দুধ, গুঁড়াদুধ ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। আবার আগে থেকেই বাড়তি চিনির দাম। নতুন মৌসুমের পটল, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, করলা প্রভৃতি সবজির দাম বেশ চড়া। কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। বাজারের স্বস্তি উধাও। মিরপুরের পল্লবী বি-ব্লকের বাসিন্দা সারোয়ার হোসেন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব পণ্য সংসারে লাগে, মোটামুটি সবই এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কম কেনা ছাড়া আর উপায় নেই।

বিজনেসজার্নাল//

শেয়ার করুন

x
English Version

কোনটা খাবেনঃ গরুকে ছাড়িয়ে গেলো মুরগীর দাম

আপডেট: ১১:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১

বাজারে দুই জাতের মুরগির দাম গরুর মাংসকে ছাড়িয়ে গেছে। সোনালিকা মুরগির দামের কেজি উঠেছে ৩৮০ টাকায়। এ দরে জীবন্ত মুরগি কিনলে শুধু মাংসের দাম দাঁড়ায় ৫৮০ টাকার মতো। বাজারে সমান দামে গরুর মাংসও পাওয়া যায়।

দেশি মুরগির মাংসের দাম গরুর চেয়ে অনেকটাই বেশি। জীবন্ত দেশি মুরগির কেজি ৫০০ টাকার মতো। চামড়া, পশম ও নাড়িভুঁড়ি বাদ দিলে শুধু মাংসের কেজি দাঁড়ায় সাড়ে ৭০০ টাকার মতো।

এতসব হিসাব-কিতাব বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুপরিচিত এক অনলাইন পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঘেঁটে দেখা গেল, আধা কেজি ওজনের একটি সোনালিকা জাতের মুরগির (চামড়া ছাড়ানো) দাম হাঁকানো হয়েছে ৩২০ টাকা। এর মানে হলো কেজি ৬৪০ টাকা। আর দেশি মুরগির কেজি দাঁড়াচ্ছে পৌনে ৮০০ টাকার মতো। একই ওয়েবসাইটে গরুর মাংসের কেজি চাওয়া হয়েছে ৫৬৯ টাকা।

মাস তিনেক আগেও সোনালিকা জাতের মুরগির কেজি ছিল ২২০ টাকা। সে তুলনায় দাম বেড়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ। দেশি মুরগির কেজি ছিল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। দাম বেড়েছে ২৯ শতাংশের মতো। পিছিয়ে নেই ব্রয়লার মুরগিও। বাজারে মাস তিনেক আগে যে মুরগির কেজি ১৩৫ টাকা ছিল, তা এখন ১৬৫ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

প্রতিবছর পবিত্র শবে বরাতের আগে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কিছুটা বাড়ে। তবে সোনালিকা ও দেশি মুরগির দাম খুব একটা বাড়তে দেখা যায় না। এবার সব ধরনের মুরগি ও গরুর মাংসের দাম বাড়ল। সব মিলিয়ে শবে বরাতে মাংস কিনতে খরচ অনেকটাই বাড়বে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের শেষ দিকে হঠাৎ মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু উৎপাদন কম। মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বাজার চড়া। মিরপুর-১১ নম্বর কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারেই মুরগির দাম বেশি।

চালের বাজারে দাম কমার কোনো খবর নেই। বরং মাঝারি বিআর-২৮ জাতের চালের দাম আগের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা হয়েছে। মিরপুর-১ নম্বর শাহ্ আলী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ এবং মোটা গুটি ও স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। ইলিয়াস জানান, দেড় সপ্তাহ আগেও তিনি বিআর-২৮ চাল ৫২ টাকায় এবং গুটি স্বর্ণা ৪৮ টাকায় বিক্রি করতেন। এখন পাইকারদের কাছ থেকে তাঁর বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে।

বাজারে গত দুই সপ্তাহে তরল দুধ, গুঁড়াদুধ ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। আবার আগে থেকেই বাড়তি চিনির দাম। নতুন মৌসুমের পটল, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, করলা প্রভৃতি সবজির দাম বেশ চড়া। কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। বাজারের স্বস্তি উধাও। মিরপুরের পল্লবী বি-ব্লকের বাসিন্দা সারোয়ার হোসেন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব পণ্য সংসারে লাগে, মোটামুটি সবই এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কম কেনা ছাড়া আর উপায় নেই।

বিজনেসজার্নাল//