০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গুজবের অবসান, পদ্মা সেতুর চূড়ান্ত টোলহার অনুমোদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • / ৪১৮৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য পদ্মা সেতুর টোল হার চূড়ান্ত করেছে সেতু বিভাগ। সম্প্রতি তা অনুমোদনও করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বর্তমান ফেরি সার্ভিসের চার্জের চেয়ে যানবাহনভেদে ১৪০ থেকে ১৫২ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হয়েছে পদ্মা সেতুর টোল।

সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর টোল প্রস্তাব আগামী ২৪ জুন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় উত্থাপন করা হবে। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

বোর্ড সভার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সেতু বিভাগের আওতাধীন সেতু, উড়াল সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও টানেলের টোল হার নির্ধারণ বা পুনর্নির্ধারণে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন)। ওই কমিটি পদ্মা সেতুর টোল হার ফেরি পারাপারের বিদ্যমান চার্জের দেড়গুণ হিসেবে ধার্যের সুপারিশ করে কমিটি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে।

প্রস্তাবনাটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে ফেরিতে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে বাইক পারাপারে চার্জ ৭০ টাকা। আর পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা। এছাড়া প্রাইভেটকার ও সাধারণ জিপে ফেরি পারাপারের চার্জ দিতে হয় ৫০০ টাকা। পদ্মা সেতুতে এ ধরনের মোটরযানে টোল দিতে হবে ৭৫০ টাকা। তবে প্রাডো, নিশান বা অন্যান্য বিলাসবহুল জিপ ও পিকআপে টোল দিতে হবে এক হাজার ২০০ টাকা। ফেরিতে এ চার্জ ৮০০ টাকা।

এর বাইরে পদ্মা সেতুতে মাইক্রোবাস চলাচলে টোল দিতে হবে এক হাজার ৩০০ টাকা। ফেরিতে এ চার্জ ৮৬০ টাকা। এছাড়া ছোট বাস তথা কোস্টারে এক হাজার ৪০০ টাকা টোল প্রস্তাব করেছে সেতু বিভাগ। আর মাঝারি বাস দুই হাজার টাকা ও বড় বাসে দুই হাজার ৪০০ টাকা টোল প্রস্তাব করা হয়েছে। ফেরিতে এ তিন ধরনের বাসে চার্জ যথাক্রমে ৯৫০ টাকা, এক হাজার ৩৫০ টাকা ও এক হাজার ৫৮০ টাকা। এর মধ্যে বড় বাসে (সর্বোচ্চ) ফেরির ১৫১ দশমিক ৯০ শতাংশ হারে টোল ধরা হয়েছে।

এদিকে পদ্মা সেতুতে পণ্যবাহী যান চলাচলের জন্য ছোট ট্রাকে (পাঁচ টনের কম) টোল এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (পাঁচ থেকে আট টন) দুই হাজার ১০০ টাকা এবং বড় ট্রাকে (আট টনের বেশি) দুই হাজার ৮০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান ফেরির চার্জের যথাক্রমে এক হাজার ৮০ টাকা, এক হাজার ৪০০ টাকা ও এক হাজার ৮৫০ টাকা। এছাড়া পদ্মা সেতুর তিন এক্সেলের ট্রাক তথা কাভার্ডভ্যানে টোল দিতে হবে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ফেরিতে যা তিন হাজার ৯৪০ টাকা। এক্ষেত্রে সর্বনি¤œ ১৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হয়েছে টোল।

এর বাইরে পণ্যবাহী কনটেইনার তথা ট্রেইলারে পৃথক হারে টোল আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চার এক্সেলের ট্রেইলারে টোল ছয় হাজার টাকা আর চার এক্সেলের বেশি হলে ছয় হাজার টাকার সঙ্গে পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য দেড় হাজার টাকা করে অতিরিক্ত টোল যোগ হবে। তবে ফেরিতে বর্তমানে ট্রেইলার পারাপারের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে এটি নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণ কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাথমিকভাবে ফেরির দেড়গুণ তথা ১৫০ শতাংশ হারে পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হয়। তবে সরাসরি দেড়গুণ করতে হলে ভাংতির টাকার ঝামেলা এসে পড়বে। তাই রাউন্ড ফিগার হিসেবে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই কিছু ১৫০ শতাংশের চেয়ে ক্ষেত্রবিশেষে টোল কম বা বেশি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধ ও মূল্যস্ফীতি এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে প্রতি তিন বছর পরপর টোল হার পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করেছিল কমিটি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় তা বাতিল করেছে। মূলত মানুষের সক্ষমতার বিষয়টির কথা মাথায় রেখে তা বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে প্রতিবার টোল বৃদ্ধির আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পদ্মা সেতুর টোল প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও পাওয়া গেছে। আগামী ২৪ জুন তা বোর্ড সভায় উত্থাপন করা হবে। এরপর সামারি যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার আগেই টোল চূড়ান্তকরণের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা জেডিসিএফ বাবদ অনুদান পেয়েছে সেতু বিভাগ। বাকি ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এক শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে সেতু বিভাগকে। প্রতি বছর চার কিস্তি হিসেবে ১৪০টি কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে ২০১০ সালের পদ্মা বহুমুখী সেতুর ডিটেইলড ইকোনমিক অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেতুটিতে যান চলাচলের সংখ্যা ধরা হয়েছে। এতে ২০২২ সালে সেতুটিতে দৈনিক গড়ে সাত হাজার ৮৩৫টি যানবাহন চলাচলের কথা। আর উদ্বোধনের ৩৫তম বছর অর্থাৎ ২০৫৬ সালে সেতুটিতে দৈনিক যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ২৭২টি। সূত্র: শেয়ার বিজ 

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

গুজবের অবসান, পদ্মা সেতুর চূড়ান্ত টোলহার অনুমোদন

আপডেট: ১২:২৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য পদ্মা সেতুর টোল হার চূড়ান্ত করেছে সেতু বিভাগ। সম্প্রতি তা অনুমোদনও করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বর্তমান ফেরি সার্ভিসের চার্জের চেয়ে যানবাহনভেদে ১৪০ থেকে ১৫২ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হয়েছে পদ্মা সেতুর টোল।

সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর টোল প্রস্তাব আগামী ২৪ জুন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় উত্থাপন করা হবে। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

বোর্ড সভার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সেতু বিভাগের আওতাধীন সেতু, উড়াল সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও টানেলের টোল হার নির্ধারণ বা পুনর্নির্ধারণে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন)। ওই কমিটি পদ্মা সেতুর টোল হার ফেরি পারাপারের বিদ্যমান চার্জের দেড়গুণ হিসেবে ধার্যের সুপারিশ করে কমিটি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে।

প্রস্তাবনাটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে ফেরিতে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে বাইক পারাপারে চার্জ ৭০ টাকা। আর পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা। এছাড়া প্রাইভেটকার ও সাধারণ জিপে ফেরি পারাপারের চার্জ দিতে হয় ৫০০ টাকা। পদ্মা সেতুতে এ ধরনের মোটরযানে টোল দিতে হবে ৭৫০ টাকা। তবে প্রাডো, নিশান বা অন্যান্য বিলাসবহুল জিপ ও পিকআপে টোল দিতে হবে এক হাজার ২০০ টাকা। ফেরিতে এ চার্জ ৮০০ টাকা।

এর বাইরে পদ্মা সেতুতে মাইক্রোবাস চলাচলে টোল দিতে হবে এক হাজার ৩০০ টাকা। ফেরিতে এ চার্জ ৮৬০ টাকা। এছাড়া ছোট বাস তথা কোস্টারে এক হাজার ৪০০ টাকা টোল প্রস্তাব করেছে সেতু বিভাগ। আর মাঝারি বাস দুই হাজার টাকা ও বড় বাসে দুই হাজার ৪০০ টাকা টোল প্রস্তাব করা হয়েছে। ফেরিতে এ তিন ধরনের বাসে চার্জ যথাক্রমে ৯৫০ টাকা, এক হাজার ৩৫০ টাকা ও এক হাজার ৫৮০ টাকা। এর মধ্যে বড় বাসে (সর্বোচ্চ) ফেরির ১৫১ দশমিক ৯০ শতাংশ হারে টোল ধরা হয়েছে।

এদিকে পদ্মা সেতুতে পণ্যবাহী যান চলাচলের জন্য ছোট ট্রাকে (পাঁচ টনের কম) টোল এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (পাঁচ থেকে আট টন) দুই হাজার ১০০ টাকা এবং বড় ট্রাকে (আট টনের বেশি) দুই হাজার ৮০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান ফেরির চার্জের যথাক্রমে এক হাজার ৮০ টাকা, এক হাজার ৪০০ টাকা ও এক হাজার ৮৫০ টাকা। এছাড়া পদ্মা সেতুর তিন এক্সেলের ট্রাক তথা কাভার্ডভ্যানে টোল দিতে হবে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ফেরিতে যা তিন হাজার ৯৪০ টাকা। এক্ষেত্রে সর্বনি¤œ ১৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হয়েছে টোল।

এর বাইরে পণ্যবাহী কনটেইনার তথা ট্রেইলারে পৃথক হারে টোল আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চার এক্সেলের ট্রেইলারে টোল ছয় হাজার টাকা আর চার এক্সেলের বেশি হলে ছয় হাজার টাকার সঙ্গে পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য দেড় হাজার টাকা করে অতিরিক্ত টোল যোগ হবে। তবে ফেরিতে বর্তমানে ট্রেইলার পারাপারের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে এটি নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণ কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাথমিকভাবে ফেরির দেড়গুণ তথা ১৫০ শতাংশ হারে পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হয়। তবে সরাসরি দেড়গুণ করতে হলে ভাংতির টাকার ঝামেলা এসে পড়বে। তাই রাউন্ড ফিগার হিসেবে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই কিছু ১৫০ শতাংশের চেয়ে ক্ষেত্রবিশেষে টোল কম বা বেশি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধ ও মূল্যস্ফীতি এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে প্রতি তিন বছর পরপর টোল হার পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করেছিল কমিটি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় তা বাতিল করেছে। মূলত মানুষের সক্ষমতার বিষয়টির কথা মাথায় রেখে তা বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে প্রতিবার টোল বৃদ্ধির আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পদ্মা সেতুর টোল প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও পাওয়া গেছে। আগামী ২৪ জুন তা বোর্ড সভায় উত্থাপন করা হবে। এরপর সামারি যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার আগেই টোল চূড়ান্তকরণের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা জেডিসিএফ বাবদ অনুদান পেয়েছে সেতু বিভাগ। বাকি ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এক শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে সেতু বিভাগকে। প্রতি বছর চার কিস্তি হিসেবে ১৪০টি কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে ২০১০ সালের পদ্মা বহুমুখী সেতুর ডিটেইলড ইকোনমিক অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেতুটিতে যান চলাচলের সংখ্যা ধরা হয়েছে। এতে ২০২২ সালে সেতুটিতে দৈনিক গড়ে সাত হাজার ৮৩৫টি যানবাহন চলাচলের কথা। আর উদ্বোধনের ৩৫তম বছর অর্থাৎ ২০৫৬ সালে সেতুটিতে দৈনিক যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ২৭২টি। সূত্র: শেয়ার বিজ 

ঢাকা/এসআর