১২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

চীনের সেই বিমানটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিধ্বস্ত করা হয়েছিল!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • / ৪১২৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: গত মার্চে চীনের চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিমানটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিধ্বস্ত করা হয়েছিল। বিমানটির ককপিটে থাকা কেউ একজন এই কাজটি করেছেন। বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া ফ্লাইট ডেটায় প্রাথমিকভাবে এমনটাই দেখা গেছে।

বুধবার বিমান বিধ্বস্তের ওই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে এই খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পশ্চিমা ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বিমানটির যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি খুঁজে না পাওয়ায় ক্রু সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে ওই বিমানের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানি এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কোম্পানিটি চীনা নিয়ন্ত্রকদের কাছে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করতে বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেইফটি বোর্ড (এনটিএসবি) তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। 

প্রসঙ্গত, গত মার্চে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি চীনের কুনমিং থেকে গুয়াংজুতে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি ক্রুজিং অ্যালটিটিউড (বিমান চলার আদর্শ উচ্চতা) থেকে হঠাৎই নিচের দিকে পড়ে গুয়াংজির পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ১২৩ যাত্রী এবং ৯ ক্রু সদস্যসহ সবাই নিহত হন। গত ২৮ বছরের মধ্যে চীনের এটা সবচেয়ে ভয়াবহতম বিমান দুর্ঘটনা। 

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের একই মডেলের বিমান ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। পরে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে পুনরায় ব্যবহার শুরু করে। গত মাসে চীনের নিয়ন্ত্রকরা ওই বিমান দুর্ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে। তবে সেখানে বিমানটির কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তিশালী নিরাপত্তা রেকর্ডসহ এই মডেলের বিমানটি ১৯৯৭ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

গত ১০ মে এনটিএসবির প্রধান জেনিফার হোমেন্ডি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এনটিএসবির তদন্তকারি এবং বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধদল চীনা তদন্তে সহযোগিতা করতে চীনে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে বিমানটির নিরাপত্তাজনিত কোনো ইস্যু সামনে আসেনি যার জন্য এই মডেলের বিমানের ক্ষেত্রে জরুরি কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

চীনের সেই বিমানটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিধ্বস্ত করা হয়েছিল!

আপডেট: ১২:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: গত মার্চে চীনের চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিমানটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিধ্বস্ত করা হয়েছিল। বিমানটির ককপিটে থাকা কেউ একজন এই কাজটি করেছেন। বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া ফ্লাইট ডেটায় প্রাথমিকভাবে এমনটাই দেখা গেছে।

বুধবার বিমান বিধ্বস্তের ওই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে এই খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পশ্চিমা ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বিমানটির যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি খুঁজে না পাওয়ায় ক্রু সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে ওই বিমানের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানি এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কোম্পানিটি চীনা নিয়ন্ত্রকদের কাছে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করতে বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেইফটি বোর্ড (এনটিএসবি) তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। 

প্রসঙ্গত, গত মার্চে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি চীনের কুনমিং থেকে গুয়াংজুতে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি ক্রুজিং অ্যালটিটিউড (বিমান চলার আদর্শ উচ্চতা) থেকে হঠাৎই নিচের দিকে পড়ে গুয়াংজির পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ১২৩ যাত্রী এবং ৯ ক্রু সদস্যসহ সবাই নিহত হন। গত ২৮ বছরের মধ্যে চীনের এটা সবচেয়ে ভয়াবহতম বিমান দুর্ঘটনা। 

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের একই মডেলের বিমান ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। পরে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে পুনরায় ব্যবহার শুরু করে। গত মাসে চীনের নিয়ন্ত্রকরা ওই বিমান দুর্ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে। তবে সেখানে বিমানটির কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তিশালী নিরাপত্তা রেকর্ডসহ এই মডেলের বিমানটি ১৯৯৭ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

গত ১০ মে এনটিএসবির প্রধান জেনিফার হোমেন্ডি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এনটিএসবির তদন্তকারি এবং বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধদল চীনা তদন্তে সহযোগিতা করতে চীনে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে বিমানটির নিরাপত্তাজনিত কোনো ইস্যু সামনে আসেনি যার জন্য এই মডেলের বিমানের ক্ষেত্রে জরুরি কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

ঢাকা/এসএ