০৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চীন গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি: যুক্তরাষ্ট্র

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১১১ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান জন র‌্যাটক্লিফ চীনের প্রতি অভিযোগ তুলে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীন গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় মতামতধর্মী এক নিবন্ধে জন র‌্যাটক্লিফ একথা লেখেন। 

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি চুরি করে চীন তাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে এবং বিশ্ববাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে হটিয়ে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক বলেন, চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের জন্য তৈরি হচ্ছে। চীনের এখন লক্ষ্য অর্থনীতি সামরিক এবং প্রযুক্তিকে বিশ্বে তাদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, চীন যে ‘অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তিতে’ লিপ্ত রয়েছে তার লক্ষ্যই হচ্ছে চুরি, নকল এবং হুবহু পণ্য তৈরি। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মেধা-স্বত্ব চুরি হচ্ছে। প্রযুক্তি চুরির জন্যে এফবিআই গোয়েন্দাদের হাতে অনেক চীনা নাগরিক আটক হচ্ছেন। 

র‌্যাটক্লিফ লিখেছেন, শুধু আমেরিকা নয়, অন্যান্য অনেক দেশই এখন চীনের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। চীন বিশ্বাস করে বিশ্ব ব্যবস্থার শীর্ষে তাদের না থাকা ঐতিহাসিকভাবে ভুল এবং অন্যায়। সেই বাস্তবতা তারা বদলাতে চায়।

তিনি বলেন, চীনারা যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেস অর্থাৎ পার্লামেন্ট সদস্যদের ওপর প্রভাব বিস্তারে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে চীন প্রভাবিত করছে যাতে তারা যেন চীনের ব্যাপারে নমনীয় অবস্থান নিতে স্থানীয় রাজনীতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে, র‌্যাটক্লিফের কথা ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’।

শুক্রবার তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের লেখা নেহাতই ‘স্পর্শকাতর একটি শিরোনাম’ এবং কোনো কথারই কোনো প্রমাণ র‌্যাটক্লিফ দেননি।

চীনা মুখপাত্র বলেন,  আমরা আশা করি মার্কিন রাজনীতিকরা সত্যকে মর্যাদা দেবেন, ভুয়া সংবাদ তৈরি এবং বিক্রি বন্ধ করবেন। রাজনৈতিক ভাইরাস এবং মিথ্যা ছড়িয়ে চীন-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট করার প্রয়াস বন্ধ করবেন। না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

চীন গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি: যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: ১২:০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান জন র‌্যাটক্লিফ চীনের প্রতি অভিযোগ তুলে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীন গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় মতামতধর্মী এক নিবন্ধে জন র‌্যাটক্লিফ একথা লেখেন। 

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি চুরি করে চীন তাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে এবং বিশ্ববাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে হটিয়ে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক বলেন, চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের জন্য তৈরি হচ্ছে। চীনের এখন লক্ষ্য অর্থনীতি সামরিক এবং প্রযুক্তিকে বিশ্বে তাদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, চীন যে ‘অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তিতে’ লিপ্ত রয়েছে তার লক্ষ্যই হচ্ছে চুরি, নকল এবং হুবহু পণ্য তৈরি। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মেধা-স্বত্ব চুরি হচ্ছে। প্রযুক্তি চুরির জন্যে এফবিআই গোয়েন্দাদের হাতে অনেক চীনা নাগরিক আটক হচ্ছেন। 

র‌্যাটক্লিফ লিখেছেন, শুধু আমেরিকা নয়, অন্যান্য অনেক দেশই এখন চীনের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। চীন বিশ্বাস করে বিশ্ব ব্যবস্থার শীর্ষে তাদের না থাকা ঐতিহাসিকভাবে ভুল এবং অন্যায়। সেই বাস্তবতা তারা বদলাতে চায়।

তিনি বলেন, চীনারা যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেস অর্থাৎ পার্লামেন্ট সদস্যদের ওপর প্রভাব বিস্তারে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে চীন প্রভাবিত করছে যাতে তারা যেন চীনের ব্যাপারে নমনীয় অবস্থান নিতে স্থানীয় রাজনীতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে, র‌্যাটক্লিফের কথা ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’।

শুক্রবার তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের লেখা নেহাতই ‘স্পর্শকাতর একটি শিরোনাম’ এবং কোনো কথারই কোনো প্রমাণ র‌্যাটক্লিফ দেননি।

চীনা মুখপাত্র বলেন,  আমরা আশা করি মার্কিন রাজনীতিকরা সত্যকে মর্যাদা দেবেন, ভুয়া সংবাদ তৈরি এবং বিক্রি বন্ধ করবেন। রাজনৈতিক ভাইরাস এবং মিথ্যা ছড়িয়ে চীন-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট করার প্রয়াস বন্ধ করবেন। না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।