০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

চুলের জন্য বাড়িতেই বানান ডিপ কন্ডিশনিং

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • / ৪১৩০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চুলের রুক্ষতা দূর করার জন্য নিয়মিত শ্যাম্পু, আর কন্ডিশনিং করাই শেষ কথা নয়। শুষ্ক চুলের জন্য দরকার ডিপ কন্ডিশনিং। স্বাভাবিক চুল আর তেলতেলে চুলেও সপ্তাহে একবার বা দুই সপ্তাহ পর পর একবার ডিপ কন্ডিশনিং করালে চুলের ঝলমলেভাব বজায় থাকে, চুল মজবুতও হয় গোড়া থেকে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাড়িতে ডিপ কন্ডিশনিং তৈরি করবেন যেভাবে-

টক দই : হাতের কাছে সহজে পাওয়া যায় এমন তালিকার উপরদিকেই রয়েছে টক দই। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিডমাথার তালুতে জমে থাকা সমস্ত তেলময়লা সরিয়ে দেয় আর সেই সঙ্গেই প্রতিটি চুল কোমল আর মসৃণ করে তোলে। যাদের চুল তেলতেলে ধরনের, তারা চুলে ডিপ কন্ডিশনিং করতে চাইলে টক দই বেছে নিতে পারেন। এতে চুলে উজ্জ্বলতা বাড়বে, খুশকির সমস্যাও থাকবে না।

কীভাবে লাগাবেন
: প্রথমে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার লাগানোর দরকার নেই। চুলটা মুছে শুকিয়ে নিন। মোটামুটি শুকিয়ে গেলে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত দই মেখে নিন, এভাবে আধ ঘণ্টা থাকুন। হয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

অ্যালোভেরা : এখন অনেকেই টবে অ্যালো ভেরা রাখেন। চুলে কোমল, মসৃণভাব আনতে অ্যালো ভেরা জেল খুবই কাজের। কারণ এই জেলের বেশিরভাগটাই জলীয় উপাদান যা চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মাথার তালুতে অ্যালো ভেরা জেল ঘষে ঘষে মাখলে তা চুল ওঠাও বন্ধ করতে পারে।

কীভাবে লাগাবেন: অ্যালোভেরা পাতা কেটে আধকাপ বা তার একটু বেশি পরিমাণ (চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী) জেল বের করে নিন। বাটিতে জেল নিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে ঘেঁটে একটু মসৃণ আর পাতলা করে নিতে হবে। এবার চুলে শ্যাম্পু করুন আগের মতো, কন্ডিশনার দরকার নেই। চুল থেকে শ্যাম্পু ধুয়ে বাড়তি ভেজাভাবটা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। এবার চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত অ্যালো ভেরা জেলটা মেখে নিন। আধঘণ্টা রেখে কুসুম গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার লাগালে দারুণ ভালো ফল পাবেন।

মধু আর নারকেল তেল : চুলের খসখসে রুক্ষ ভাব কমিয়ে কোমল করতে কার্যকর মধু আর নারকেল তেল। এমনিতেই মধু চুলের আর্দ্রতা রক্ষা করতে সেরা, তার উপর নারকেল তেল চুলের গোড়ায় গভীরে পুষ্টি জোগায়। তাই এই দুটি উপাদান যোগ হলে তা চুলের পক্ষে খুবই উপকারী হয়।

কীভাবে লাগাবেন: দু’ টেবিলচামচ নারকেল তেলে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি চুলে খুব ভালো করে মেখে নিন। এবার আধ ঘণ্টা আটকে রাখুন। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার লাগাতে হবে।

হট অয়েল থেরাপি :অলিভ বা নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। তেলটা হালকা গরম করে নিন। এবার চুলটা কয়েকভাগে ভাগ করে ওই গরম তেল আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত খুব ভালোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করুন। পুরো চুলে তেল মাখা হয়ে গেলে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে জড়িয়ে রাখুন মাথায়। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে দুই বার এটা লাগাতে পারেন। চুল খুব রুক্ষ হলে তিনবারও করা যায়।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

চুলের জন্য বাড়িতেই বানান ডিপ কন্ডিশনিং

আপডেট: ০২:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চুলের রুক্ষতা দূর করার জন্য নিয়মিত শ্যাম্পু, আর কন্ডিশনিং করাই শেষ কথা নয়। শুষ্ক চুলের জন্য দরকার ডিপ কন্ডিশনিং। স্বাভাবিক চুল আর তেলতেলে চুলেও সপ্তাহে একবার বা দুই সপ্তাহ পর পর একবার ডিপ কন্ডিশনিং করালে চুলের ঝলমলেভাব বজায় থাকে, চুল মজবুতও হয় গোড়া থেকে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাড়িতে ডিপ কন্ডিশনিং তৈরি করবেন যেভাবে-

টক দই : হাতের কাছে সহজে পাওয়া যায় এমন তালিকার উপরদিকেই রয়েছে টক দই। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিডমাথার তালুতে জমে থাকা সমস্ত তেলময়লা সরিয়ে দেয় আর সেই সঙ্গেই প্রতিটি চুল কোমল আর মসৃণ করে তোলে। যাদের চুল তেলতেলে ধরনের, তারা চুলে ডিপ কন্ডিশনিং করতে চাইলে টক দই বেছে নিতে পারেন। এতে চুলে উজ্জ্বলতা বাড়বে, খুশকির সমস্যাও থাকবে না।

কীভাবে লাগাবেন
: প্রথমে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার লাগানোর দরকার নেই। চুলটা মুছে শুকিয়ে নিন। মোটামুটি শুকিয়ে গেলে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত দই মেখে নিন, এভাবে আধ ঘণ্টা থাকুন। হয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

অ্যালোভেরা : এখন অনেকেই টবে অ্যালো ভেরা রাখেন। চুলে কোমল, মসৃণভাব আনতে অ্যালো ভেরা জেল খুবই কাজের। কারণ এই জেলের বেশিরভাগটাই জলীয় উপাদান যা চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মাথার তালুতে অ্যালো ভেরা জেল ঘষে ঘষে মাখলে তা চুল ওঠাও বন্ধ করতে পারে।

কীভাবে লাগাবেন: অ্যালোভেরা পাতা কেটে আধকাপ বা তার একটু বেশি পরিমাণ (চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী) জেল বের করে নিন। বাটিতে জেল নিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে ঘেঁটে একটু মসৃণ আর পাতলা করে নিতে হবে। এবার চুলে শ্যাম্পু করুন আগের মতো, কন্ডিশনার দরকার নেই। চুল থেকে শ্যাম্পু ধুয়ে বাড়তি ভেজাভাবটা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। এবার চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত অ্যালো ভেরা জেলটা মেখে নিন। আধঘণ্টা রেখে কুসুম গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার লাগালে দারুণ ভালো ফল পাবেন।

মধু আর নারকেল তেল : চুলের খসখসে রুক্ষ ভাব কমিয়ে কোমল করতে কার্যকর মধু আর নারকেল তেল। এমনিতেই মধু চুলের আর্দ্রতা রক্ষা করতে সেরা, তার উপর নারকেল তেল চুলের গোড়ায় গভীরে পুষ্টি জোগায়। তাই এই দুটি উপাদান যোগ হলে তা চুলের পক্ষে খুবই উপকারী হয়।

কীভাবে লাগাবেন: দু’ টেবিলচামচ নারকেল তেলে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি চুলে খুব ভালো করে মেখে নিন। এবার আধ ঘণ্টা আটকে রাখুন। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার লাগাতে হবে।

হট অয়েল থেরাপি :অলিভ বা নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। তেলটা হালকা গরম করে নিন। এবার চুলটা কয়েকভাগে ভাগ করে ওই গরম তেল আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত খুব ভালোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করুন। পুরো চুলে তেল মাখা হয়ে গেলে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে জড়িয়ে রাখুন মাথায়। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে দুই বার এটা লাগাতে পারেন। চুল খুব রুক্ষ হলে তিনবারও করা যায়।

ঢাকা/এসএম