০৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনাবেচায় সুবিধা চান বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘এন’ ক্যাটাগরির মতো ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধার দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। একই সঙ্গে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নাম পরিবর্তন করারও দাবি জানানো হয়েছে। পুঁজিবাজারের লেনদেনে গতি বৃদ্ধি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি দূর করতে এ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক ও কার্যনির্বাহী সদস্য ওমর ফারুক। পাশাপাশি, বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিনের মন্দা ভাব কাটিয়ে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। আপনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, পুরো কমিশনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সব অংশীজনের সহযোগিতার ফলে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাজারের সূচক ও দৈনন্দিন লেনদেন বেড়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্যাপিটাল গেইনের পাশাপাশি ভালো ডিভিডেন্টের প্রত্যাশা করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়—শেয়ারের বিভাজনের কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে, নগদ টাকা দিয়ে শেয়ার কিনতে হয়। অন্য কোনো শেয়ার বিক্রি করে ওই দিন শেয়ার কেনা যায় না। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ের পর চতুর্থ কার্যদিবসে ম্যাচুরিটি (বিক্রয় যোগ্য) হয়। শেয়ার বিক্রির টাকা ম্যাচুরিটি হওয়ার পূর্বে ওই টাকা দিয়ে অন্য কোন শেয়ার ক্রয় আদেশ দেওয়া যায় না। এতে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পুঁজিবাজারে লেনদেনের গতি কিছুটা কমে যায় এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্বের কোন দেশে ‘জেড’ ক্যাটাগরি বলতে কোনো ধরনের শেয়ার নেই। একই মার্কেটে দুই ধরনের নিয়ম থাকা ঠিক নয় বলে মনে করেন অনেক বাজার বিশ্লেষকরা। তাই পুঁজিবাজারের লেনদেনের গতি বৃদ্ধি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নাম পরিবর্তন করারসহ শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘এন’ ক্যাটাগরির মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৬.৪৮ শতাংশ

খাতভিক্তিক লেনদেনের শীর্ষে বস্ত্র খাত

দুই মাস পর দৈনিক মৃত্যু নামল একশর নিচে

সপ্তাহজুড়ে রাজত্ব দেখাল যেসব প্রতিষ্ঠান

ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ১.৫২ শতাংশ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনাবেচায় সুবিধা চান বিনিয়োগকারীরা

আপডেট: ০৬:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘এন’ ক্যাটাগরির মতো ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধার দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। একই সঙ্গে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নাম পরিবর্তন করারও দাবি জানানো হয়েছে। পুঁজিবাজারের লেনদেনে গতি বৃদ্ধি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি দূর করতে এ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক ও কার্যনির্বাহী সদস্য ওমর ফারুক। পাশাপাশি, বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিনের মন্দা ভাব কাটিয়ে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। আপনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, পুরো কমিশনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সব অংশীজনের সহযোগিতার ফলে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাজারের সূচক ও দৈনন্দিন লেনদেন বেড়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্যাপিটাল গেইনের পাশাপাশি ভালো ডিভিডেন্টের প্রত্যাশা করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়—শেয়ারের বিভাজনের কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে, নগদ টাকা দিয়ে শেয়ার কিনতে হয়। অন্য কোনো শেয়ার বিক্রি করে ওই দিন শেয়ার কেনা যায় না। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ের পর চতুর্থ কার্যদিবসে ম্যাচুরিটি (বিক্রয় যোগ্য) হয়। শেয়ার বিক্রির টাকা ম্যাচুরিটি হওয়ার পূর্বে ওই টাকা দিয়ে অন্য কোন শেয়ার ক্রয় আদেশ দেওয়া যায় না। এতে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পুঁজিবাজারে লেনদেনের গতি কিছুটা কমে যায় এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্বের কোন দেশে ‘জেড’ ক্যাটাগরি বলতে কোনো ধরনের শেয়ার নেই। একই মার্কেটে দুই ধরনের নিয়ম থাকা ঠিক নয় বলে মনে করেন অনেক বাজার বিশ্লেষকরা। তাই পুঁজিবাজারের লেনদেনের গতি বৃদ্ধি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নাম পরিবর্তন করারসহ শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘এন’ ক্যাটাগরির মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৬.৪৮ শতাংশ

খাতভিক্তিক লেনদেনের শীর্ষে বস্ত্র খাত

দুই মাস পর দৈনিক মৃত্যু নামল একশর নিচে

সপ্তাহজুড়ে রাজত্ব দেখাল যেসব প্রতিষ্ঠান

ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ১.৫২ শতাংশ