জ্বর হলে গোসল করা কি ঠিক
- আপডেট: ১০:৩৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
- / ৪২২৪ বার দেখা হয়েছে
জ্বর কোনো রোগ নয় বরং অনেক রোগের লক্ষণ। শরীর যখন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা অন্য কোনো ক্ষতিকর জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। জ্বর হলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। সামান্য জ্বরে ওষুধ খেয়ে ফেলি। অনেকে জ্বর হলে নিজে থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ পর্যন্ত সেবন করি, যা অনুচিত।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
জ্বরের সময় গোসল
অনেকে মনে করেন, জ্বরের সময় গোসল করা যায় না। কিন্তু জ্বর হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এটি দেহকে চনমনে করে তুলবে। জ্বরের জন্য আরামদায়ক হবে। গোসলের বিকল্প হতে পারে ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে পুরো গা মুছে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে কুসুম গরম পানি। গা মুছে ফ্যানের বাতাসের ব্যবস্থা করতে পারলে আরও ভালো।
জলপট্টি ও বরফের ব্যবহার
জ্বরের সময় কপালে জলপট্টি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু তাপমাত্রা অত্যন্ত বেড়ে গেলে এর পরিবর্তে বরং বগলের নিচে কিংবা কুঁচকিতে বরফ ব্যবহার করা যেতে পারে। বরফের খণ্ড গামছা অথবা কাপড়ে পেঁচিয়ে উল্লিখিত স্থানে কিছুক্ষণ চেপে রাখলে দ্রুত তাপমাত্রা কমে যাবে।
খাবার ও পোশাক
জ্বর হলে সহজপাচ্য তরল পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। যেসব খাবার দ্রুত হজম হয় সেই ধরনের খাবার জ্বরের সময় খুবই উপযোগী। খুব বেশি পরিমাণ খাবার একসঙ্গে খাওয়ানো উচিত নয়। কেননা এটি শরীরের তাপ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে। ক্ষেত্রবিশেষ এটি বদহজম সৃষ্টি করতে পারে। জ্বরের সময় সুতি কাপড়ের জামা পরিধান করা দরকার, যার ভেতর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে চার জন নিহত
প্রয়োজন ঘুম ও বিশ্রাম
পর্যাপ্ত ঘুম অথবা বিশ্রাম এ সময় খুবই প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাকে সক্রিয় রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে আট ঘণ্টা রাতের ঘুম প্রয়োজন। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী দিনেও প্রয়োজন বিশ্রাম।
পানি পান করুন
জ্বর হলে পানিশূন্যতার শঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। এ ছাড়া জ্বরের সময় ক্ষুধামন্দা এবং বমি পানিশূন্যতার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। পানিশূন্যতার কারণে মাংসপেশিতে চাবানো-কামড়ানো ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি
জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে, অত্যধিক মাত্রায় জ্বর হলে কিংবা জ্বরের সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা, খিঁচুনি, অস্বাভাবিক আচরণ, শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত বমি, তীব্র পেটে ব্যথা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঢাকা/এসএম