০১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুতি

টিউলিপ ডেইরিকে প্রস্থান পরিকল্পনাসহ নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদনের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
  • / ৪৩৫৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত (ডি-লিস্টিং) হওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন জানিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসকে প্রস্থান পরিকল্পনাসহ (এক্সিট প্ল্যান) নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। সেই সঙ্গে বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জকেও অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে জানিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

ওই কোম্পানিকে দেওয়া বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়ে কোম্পানিকে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বরে কমিশনের জারি করা নির্দেশনা অনুসারে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হলো। এছাড়া, আবেদনকারীকে নীতিগতভাবে কমিশনের সম্মতির জন্য কমিশনের কাছে একটি প্রস্থান পরিকল্পনার সঙ্গে অ্যানেক্সার-১ এ উল্লিখিত নিয়মে একটি আবেদন জমা দিতে বলা হলো। সেই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে ওটিসি মার্কেটের ৪১টি কোম্পানিকে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এছাড়া, ২৯টি কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মাধ্যমে ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, ওটিসি মার্কেট থেকে স্থানান্তর করা ৪১ কোম্পানির মধ্যে ২৩টিকে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সময় এসব কোম্পানির মধ্যে সাতটি উৎপাদনে থাকলেও ১৬টি বন্ধ থাকে। তবে, বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলোকে ধীরে ধীরে উৎপাদনমুখী করার চেষ্টা চালাচ্ছে কমিশন। এছাড়া, ১৮টি কোম্পানিকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ৩৮ শতাংশ

এক্সিট প্ল্যানের আওতায় যে ২৯টি কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ ফেরত দেওয়া হবে, সেগুলো হলো—আরবি টেক্সটাইল, আজাদি প্রিন্টার্স, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং, বাংলাদেশ লাগেজ, বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ, চিক টেক্সটাইল, ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস, জার্মান বাংলা জেভি ফুড, গালফ ফুডস, হিল প্লানটেশন, যশোর সিমেন্ট, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ, ফনিক্স লেদার, দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স, টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার, বাংলাদেশ প্লানটেশন, খাজা মোজাইক টাইলস অ্যান্ড স্টোন, ন্যাশনাল অক্সিজেন, প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার, জেম নিটওয়্যার ফেব্রিক্স, জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন, জেএইচ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা ভেজিটেবল ইন্ডাস্ট্রিজ, মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও রূপন অয়েল অ্যান্ড ফিডস লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমদিত মূলধন ৫ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ১০০ টাকা ফেসভ্যালু হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৫০.৮৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরে হাতে ৪৯.১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৮ টাকায়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুতি

টিউলিপ ডেইরিকে প্রস্থান পরিকল্পনাসহ নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদনের নির্দেশ

আপডেট: ১০:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত (ডি-লিস্টিং) হওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন জানিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসকে প্রস্থান পরিকল্পনাসহ (এক্সিট প্ল্যান) নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। সেই সঙ্গে বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জকেও অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে জানিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

ওই কোম্পানিকে দেওয়া বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়ে কোম্পানিকে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বরে কমিশনের জারি করা নির্দেশনা অনুসারে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হলো। এছাড়া, আবেদনকারীকে নীতিগতভাবে কমিশনের সম্মতির জন্য কমিশনের কাছে একটি প্রস্থান পরিকল্পনার সঙ্গে অ্যানেক্সার-১ এ উল্লিখিত নিয়মে একটি আবেদন জমা দিতে বলা হলো। সেই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে ওটিসি মার্কেটের ৪১টি কোম্পানিকে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এছাড়া, ২৯টি কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মাধ্যমে ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, ওটিসি মার্কেট থেকে স্থানান্তর করা ৪১ কোম্পানির মধ্যে ২৩টিকে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সময় এসব কোম্পানির মধ্যে সাতটি উৎপাদনে থাকলেও ১৬টি বন্ধ থাকে। তবে, বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলোকে ধীরে ধীরে উৎপাদনমুখী করার চেষ্টা চালাচ্ছে কমিশন। এছাড়া, ১৮টি কোম্পানিকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ৩৮ শতাংশ

এক্সিট প্ল্যানের আওতায় যে ২৯টি কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ ফেরত দেওয়া হবে, সেগুলো হলো—আরবি টেক্সটাইল, আজাদি প্রিন্টার্স, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং, বাংলাদেশ লাগেজ, বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ, চিক টেক্সটাইল, ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস, জার্মান বাংলা জেভি ফুড, গালফ ফুডস, হিল প্লানটেশন, যশোর সিমেন্ট, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ, ফনিক্স লেদার, দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স, টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার, বাংলাদেশ প্লানটেশন, খাজা মোজাইক টাইলস অ্যান্ড স্টোন, ন্যাশনাল অক্সিজেন, প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার, জেম নিটওয়্যার ফেব্রিক্স, জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন, জেএইচ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা ভেজিটেবল ইন্ডাস্ট্রিজ, মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও রূপন অয়েল অ্যান্ড ফিডস লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমদিত মূলধন ৫ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ১০০ টাকা ফেসভ্যালু হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৫০.৮৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরে হাতে ৪৯.১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৮ টাকায়।

ঢাকা/এসএ