০২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

ডেঙ্গুতে মধ্যবয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০২৬৫ বার দেখা হয়েছে

ডেঙ্গুতে এবছর মধ্যবয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে শিশুদের ডেঙ্গু নিয়ে ভয় না পাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অধিদপ্তর বলছে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ২০-৫০ বছর বয়সী মানুষ। ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৮ শতাংশের মতো।

আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, এবছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু প্রকোপ ছিল জুলাই, আগস্ট এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসে। জুলাই মাসে ছিল ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের। আগস্ট মাসে রোগী ছিল ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, মৃত্যু ছিল ৩৪২ জনের এবং সেপ্টেম্বর মাসের আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৯০৯ জনের, মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, এ বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন। আমরা জানি যে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আউটব্রেক হয়েছিল। তখন সেই বছরে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, কিন্তু এই বছর শেষ হওয়ার আগেই যে সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, তা ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি।

ডা. হাবিবুল আহসান বলেন, আমাদের ঢাকা সিটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী। ঢাকা সিটির বাইরে সারাদেশে আমাদের আটটি বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগে। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী এসব জেলায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী জেলায় বেশি আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম।

আরও পড়ুন: ভিসা নীতি নিয়ে পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী

চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশের সব জেলা, উপজেলা এবং হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও একই প্রটোকল এবং গাইডলাইন অনুসরণ করে ডেঙ্গু চিকিৎসা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সব চিকিৎসককে আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সব জায়গাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ এনএস-১ কিট মজুদ রয়েছে। ডেঙ্গু পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন সেটি হল আইভি ফ্লুইড স্যালাইন। এই স্যালাইন নিয়ে সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছিল আপনারা জানেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জরুরিভাবে আমরা ভারত থেকে ৩ লাখ প্যাক স্যালাইন আমদানি করেছি। এরমধ্যে ৪৪ হাজার প্যাক স্যালাইন আমরা হাতে পেয়েছি।

আমরা ইডিসিএলের (এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড) মাধ্যমে এসব স্যালাইন চাহিদা অনুযায়ী পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকি স্যালাইনগুলো পর্যায়ক্রমে দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এবং তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সেগুলো সারাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সুতরাং বলাই যায়, এ মুহূর্তে আমাদের কোনো স্যালাইনের সমস্যা হচ্ছে না। এই তিন লাখ ছাড়াও আরো কিছু স্যালাইন আমদানির প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলো অনুমোদনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সবমিলিয়ে স্যালাইন নিয়ে আর কোনো সংকটের মুখোমুখি আমাদের আর হতে হবে না।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

ডেঙ্গুতে মধ্যবয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

আপডেট: ০৪:২৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গুতে এবছর মধ্যবয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে শিশুদের ডেঙ্গু নিয়ে ভয় না পাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অধিদপ্তর বলছে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ২০-৫০ বছর বয়সী মানুষ। ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৮ শতাংশের মতো।

আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, এবছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু প্রকোপ ছিল জুলাই, আগস্ট এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসে। জুলাই মাসে ছিল ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের। আগস্ট মাসে রোগী ছিল ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, মৃত্যু ছিল ৩৪২ জনের এবং সেপ্টেম্বর মাসের আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৯০৯ জনের, মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, এ বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন। আমরা জানি যে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আউটব্রেক হয়েছিল। তখন সেই বছরে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, কিন্তু এই বছর শেষ হওয়ার আগেই যে সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, তা ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি।

ডা. হাবিবুল আহসান বলেন, আমাদের ঢাকা সিটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী। ঢাকা সিটির বাইরে সারাদেশে আমাদের আটটি বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগে। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী এসব জেলায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী জেলায় বেশি আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম।

আরও পড়ুন: ভিসা নীতি নিয়ে পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী

চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশের সব জেলা, উপজেলা এবং হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও একই প্রটোকল এবং গাইডলাইন অনুসরণ করে ডেঙ্গু চিকিৎসা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সব চিকিৎসককে আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সব জায়গাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ এনএস-১ কিট মজুদ রয়েছে। ডেঙ্গু পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন সেটি হল আইভি ফ্লুইড স্যালাইন। এই স্যালাইন নিয়ে সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছিল আপনারা জানেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জরুরিভাবে আমরা ভারত থেকে ৩ লাখ প্যাক স্যালাইন আমদানি করেছি। এরমধ্যে ৪৪ হাজার প্যাক স্যালাইন আমরা হাতে পেয়েছি।

আমরা ইডিসিএলের (এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড) মাধ্যমে এসব স্যালাইন চাহিদা অনুযায়ী পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকি স্যালাইনগুলো পর্যায়ক্রমে দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এবং তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সেগুলো সারাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সুতরাং বলাই যায়, এ মুহূর্তে আমাদের কোনো স্যালাইনের সমস্যা হচ্ছে না। এই তিন লাখ ছাড়াও আরো কিছু স্যালাইন আমদানির প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলো অনুমোদনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সবমিলিয়ে স্যালাইন নিয়ে আর কোনো সংকটের মুখোমুখি আমাদের আর হতে হবে না।

ঢাকা/এসএ