১০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার পর্যায়ক্রমে ১৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • / ৪৬৫৫ বার দেখা হয়েছে

আগামী অর্থবছর (২০২১-২২) থেকে পরবর্তী চার অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে করপোরেট কর হার আড়াই থেকে সাড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

বুধবার (৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এ প্রস্তাব করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এসময় আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক সংক্রান্ত ৩৭টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা এনবিআর চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়েছে ডিসিসিআই।

আয়কর সংক্রান্ত প্রস্তাবে ঢাকা চেম্বার বলছে, করপোরেট কর হার কমালে দেশীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। ননলিস্টেট কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানের সাড়ে ৩২ শতাংশের পরিবর্তে নতুন অর্থবছরে থেকে এ হার ৩০ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছররে সাড়ে ২৭ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা যেতে পারে। একইসঙ্গে লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ২০২১-২২ অর্থবছরে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা যেতে পারে।

বর্তমানে গড় করপোরেট কর হার বিশ্বে ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ, এশিয়ায় ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ওইসিডি দেশে ২৩ শতাংশ। এরমধ্যে ভারতের করপোরেট কর হার ২৫ দশমিক ২ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৯, শ্রীলঙ্কায় ২৮ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে ২০ শতাংশ।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, এনবিআর কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী টিনধারী করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখ হলেও নিয়মিত ২৪ লাখ টিনধারী রিটার্ন দাখিল করে। এ অবস্থায় করের আওতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও সম্পূর্ণ অটোমেটেড অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে দেশের কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ হবে এবং ব্যবসার পরিবেশ সূচক উন্নয়নে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা চেম্বারের প্রত্যাশা, আগামী বাজেটে করোনা পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ পুনরুদ্ধার, সহজ ও ব্যবসা-বান্ধব আয়কর ব্যবস্থা, আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের আওতা বৃদ্ধি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিত করা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলো থাকবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদেরকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের ওপর বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দিতে হবে। এতে রাজস্ব আহরণের পরিধি বাড়বে। শিল্প কারখানাগুলোকে আরও বেশি হারে কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে ব্যবসায়ী ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

আলোচনা সভায় ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মোবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এনবিআরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আয়কর নীতি’র সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, শুল্কনীতি ও আইসিটি বিভাগের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরীয়াসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

x
English Version

তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার পর্যায়ক্রমে ১৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব

আপডেট: ০১:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

আগামী অর্থবছর (২০২১-২২) থেকে পরবর্তী চার অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে করপোরেট কর হার আড়াই থেকে সাড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

বুধবার (৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এ প্রস্তাব করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এসময় আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক সংক্রান্ত ৩৭টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা এনবিআর চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়েছে ডিসিসিআই।

আয়কর সংক্রান্ত প্রস্তাবে ঢাকা চেম্বার বলছে, করপোরেট কর হার কমালে দেশীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। ননলিস্টেট কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানের সাড়ে ৩২ শতাংশের পরিবর্তে নতুন অর্থবছরে থেকে এ হার ৩০ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছররে সাড়ে ২৭ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা যেতে পারে। একইসঙ্গে লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ২০২১-২২ অর্থবছরে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা যেতে পারে।

বর্তমানে গড় করপোরেট কর হার বিশ্বে ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ, এশিয়ায় ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ওইসিডি দেশে ২৩ শতাংশ। এরমধ্যে ভারতের করপোরেট কর হার ২৫ দশমিক ২ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৯, শ্রীলঙ্কায় ২৮ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে ২০ শতাংশ।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, এনবিআর কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী টিনধারী করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখ হলেও নিয়মিত ২৪ লাখ টিনধারী রিটার্ন দাখিল করে। এ অবস্থায় করের আওতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও সম্পূর্ণ অটোমেটেড অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে দেশের কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ হবে এবং ব্যবসার পরিবেশ সূচক উন্নয়নে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা চেম্বারের প্রত্যাশা, আগামী বাজেটে করোনা পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ পুনরুদ্ধার, সহজ ও ব্যবসা-বান্ধব আয়কর ব্যবস্থা, আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের আওতা বৃদ্ধি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিত করা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলো থাকবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদেরকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের ওপর বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দিতে হবে। এতে রাজস্ব আহরণের পরিধি বাড়বে। শিল্প কারখানাগুলোকে আরও বেশি হারে কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে ব্যবসায়ী ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

আলোচনা সভায় ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মোবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এনবিআরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আয়কর নীতি’র সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, শুল্কনীতি ও আইসিটি বিভাগের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরীয়াসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।