১০:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে দুর্ভোগে যুক্তরাজ্য

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪১০৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে পেট্রোল-ডিজেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এতে দেশটির সাধারণ মানুষ নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে লিটার প্রতি ডিজেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫১ পাউন্ড। চলতি সপ্তাহে পেট্রলের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪১ পাউন্ডে।

তেলের দাম বাড়ায় যুক্তরাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। উপরন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির মুদ্রাস্ফীতির হার ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, পরিবার প্রতি যুক্তরাজ্যে জ্বালানি তেল ব্যবহারের গড় পরিমাণ ৫৫ লিটার। এতে করে প্রতিটি পরিবারকে গুনতে হবে ৮১ দশমিক ৪১ পাউন্ড, যা কিনা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। 

নভেম্বরে করোনা সংকটে তেলের দাম বাড়ার পরেও কিছুটা কমে এসেছিল পরবর্তীতে। চলতি বছরে ওমিক্রনের প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে আরেক দফা তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
অন্তর্জাতিক বাজার জরিপ করে দেখা যায়, তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৬ ডলার উঠে বর্তমানে ৯৪ ডলারে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে সংকট চলতে থাকলে তেলের দাম ১০০ ডলার পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে।
একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সম্পর্কের ধোঁয়াশা অবস্থান, অন্যদিকে ওপেকের তেল উত্তোলন নিয়ে টালবাহানায় ঠিক কবে নাগাদ তেলের দাম স্থিতিশীল হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
 
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির পূর্বাভাস মতে, এ বছর বিশ্বে তেলের চাহিদা দিনে ৩২ লাখ ব্যারেল বেড়ে সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তেলের জোগান বাড়িয়ে অনিশ্চিত বাজারকে কিছুটা শান্ত করতে পারে বলে মত তাদের।
ঢাকা/এমআর

শেয়ার করুন

x
English Version

তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে দুর্ভোগে যুক্তরাজ্য

আপডেট: ১২:৪৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে পেট্রোল-ডিজেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এতে দেশটির সাধারণ মানুষ নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে লিটার প্রতি ডিজেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫১ পাউন্ড। চলতি সপ্তাহে পেট্রলের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪১ পাউন্ডে।

তেলের দাম বাড়ায় যুক্তরাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। উপরন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির মুদ্রাস্ফীতির হার ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, পরিবার প্রতি যুক্তরাজ্যে জ্বালানি তেল ব্যবহারের গড় পরিমাণ ৫৫ লিটার। এতে করে প্রতিটি পরিবারকে গুনতে হবে ৮১ দশমিক ৪১ পাউন্ড, যা কিনা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। 

নভেম্বরে করোনা সংকটে তেলের দাম বাড়ার পরেও কিছুটা কমে এসেছিল পরবর্তীতে। চলতি বছরে ওমিক্রনের প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে আরেক দফা তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
অন্তর্জাতিক বাজার জরিপ করে দেখা যায়, তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৬ ডলার উঠে বর্তমানে ৯৪ ডলারে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে সংকট চলতে থাকলে তেলের দাম ১০০ ডলার পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে।
একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সম্পর্কের ধোঁয়াশা অবস্থান, অন্যদিকে ওপেকের তেল উত্তোলন নিয়ে টালবাহানায় ঠিক কবে নাগাদ তেলের দাম স্থিতিশীল হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
 
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির পূর্বাভাস মতে, এ বছর বিশ্বে তেলের চাহিদা দিনে ৩২ লাখ ব্যারেল বেড়ে সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তেলের জোগান বাড়িয়ে অনিশ্চিত বাজারকে কিছুটা শান্ত করতে পারে বলে মত তাদের।
ঢাকা/এমআর