০৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

দুর্বল দশ ব্যাংক চিহ্নিত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১৬৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের দুর্বল ১০টি ব্যাংক চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা স‌ঞ্চি‌তির পরিমাণ বি‌বেচনায় নি‌য়ে এ ব্যাংকগুলোতে চিহ্নিত করা হয়েছে।তবে ব্যাংকগুলোর নাম জানানো হয়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমি দুর্বল ব্যাংকগু‌লোর নাম বল‌তে চাই না। ত‌বে পত্রপ‌ত্রিকায় ইতোমধ্যে নাম এসেছে। আমা‌দের লক্ষ্য ব্যাংকগু‌লো‌কে উন্ন‌তির মাধ্যমে অর্থ‌নৈ‌তিকভা‌বে শ‌ক্তিশালী করা।দুর্বল ১০‌টি ব্যাংকের ম‌ধ্যে প্রথম‌টির (ন্যাশনাল ব্যাংক) স‌ঙ্গে আলোচনায় ব‌লে‌ছি, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ‌কে স্বাধীনভা‌বে কাজ কর‌তে দি‌তে হ‌বে।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে গভর্নর এসব কথা বলেন।

মিট দ্য প্রেসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ সার্কুলারে বর্ণিত শর্ত মোতাবেক ব্যাংকগুলো উপরোক্ত বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, যা আগে অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো।

এতে বলা হয়, অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যে চারটি চলক যেমন- শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও প্রভিশনিংয়ের পরিমাণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে দুর্বল ১০টি ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে।চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তাদের সমস্যা সমাধানকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়ান-টু-ওয়ান ভিত্তিতে আলোচনা কার্যক্রম শুরু করছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তিন বছর মেয়াদি বিজনেস প্ল্যান দেবে, যার ক্রমঅগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, একেএম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বস, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান অর্থনী‌তি‌বিদ হা‌বিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

দুর্বল দশ ব্যাংক চিহ্নিত

আপডেট: ০৫:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের দুর্বল ১০টি ব্যাংক চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা স‌ঞ্চি‌তির পরিমাণ বি‌বেচনায় নি‌য়ে এ ব্যাংকগুলোতে চিহ্নিত করা হয়েছে।তবে ব্যাংকগুলোর নাম জানানো হয়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমি দুর্বল ব্যাংকগু‌লোর নাম বল‌তে চাই না। ত‌বে পত্রপ‌ত্রিকায় ইতোমধ্যে নাম এসেছে। আমা‌দের লক্ষ্য ব্যাংকগু‌লো‌কে উন্ন‌তির মাধ্যমে অর্থ‌নৈ‌তিকভা‌বে শ‌ক্তিশালী করা।দুর্বল ১০‌টি ব্যাংকের ম‌ধ্যে প্রথম‌টির (ন্যাশনাল ব্যাংক) স‌ঙ্গে আলোচনায় ব‌লে‌ছি, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ‌কে স্বাধীনভা‌বে কাজ কর‌তে দি‌তে হ‌বে।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে গভর্নর এসব কথা বলেন।

মিট দ্য প্রেসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ সার্কুলারে বর্ণিত শর্ত মোতাবেক ব্যাংকগুলো উপরোক্ত বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, যা আগে অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো।

এতে বলা হয়, অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যে চারটি চলক যেমন- শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও প্রভিশনিংয়ের পরিমাণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে দুর্বল ১০টি ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে।চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তাদের সমস্যা সমাধানকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়ান-টু-ওয়ান ভিত্তিতে আলোচনা কার্যক্রম শুরু করছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তিন বছর মেয়াদি বিজনেস প্ল্যান দেবে, যার ক্রমঅগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, একেএম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বস, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান অর্থনী‌তি‌বিদ হা‌বিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ