০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

নগদ প্রণোদনায় বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪২৪৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

টানা তিন মাস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমে আসায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থাসহ সরকার রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ফলস্রুতিতে চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে (১-১৬ ডিসেম্বর) দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এসব ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৬ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে চলতি মাসে ১৬ দিনে ইসলামী ব্যাংক ২৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংক ৬ কোটি ৩০ লাখ, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক ৫ কোটি ২৯ লাখ ও সোনালী ব্যাংক ৪ কোটি ৭১ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এনেছে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ লাখ মার্কিন ডলার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত সকল উদ্দ্যোগের ফলেই বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। যেমন ব্যাংকিং চ্যানেল ও  অবৈধ পথের মধ্যে ডলারের দামের পার্থক্য কমে আসা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার, আগস্টে এসেছে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর এসেছে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। ফলে চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার আয় এলেও তা ২২ বিলিয়ন ডলার ছোঁবে না।

এদিকে বিশ্বব্যাংকের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ ৩৭-এ বলা হয়েছে, চলতি ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রায় ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রবাসী আয় আসতে পারে, যা ২০২১ সালে ছিল ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রকট আকার ধারণ করছে সঙ্কট

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে। তখন যাতায়াত সমস্যার কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক পথে প্রবাসী আয় আসা কমে গিয়েছিল। এ জন্য আনুষ্ঠানিক পথে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছিল।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো—বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা, সরকার রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

নগদ প্রণোদনায় বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

আপডেট: ০৫:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

টানা তিন মাস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমে আসায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থাসহ সরকার রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ফলস্রুতিতে চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে (১-১৬ ডিসেম্বর) দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এসব ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৬ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে চলতি মাসে ১৬ দিনে ইসলামী ব্যাংক ২৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংক ৬ কোটি ৩০ লাখ, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক ৫ কোটি ২৯ লাখ ও সোনালী ব্যাংক ৪ কোটি ৭১ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এনেছে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ লাখ মার্কিন ডলার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত সকল উদ্দ্যোগের ফলেই বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। যেমন ব্যাংকিং চ্যানেল ও  অবৈধ পথের মধ্যে ডলারের দামের পার্থক্য কমে আসা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার, আগস্টে এসেছে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর এসেছে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। ফলে চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার আয় এলেও তা ২২ বিলিয়ন ডলার ছোঁবে না।

এদিকে বিশ্বব্যাংকের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ ৩৭-এ বলা হয়েছে, চলতি ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রায় ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রবাসী আয় আসতে পারে, যা ২০২১ সালে ছিল ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রকট আকার ধারণ করছে সঙ্কট

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে। তখন যাতায়াত সমস্যার কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক পথে প্রবাসী আয় আসা কমে গিয়েছিল। এ জন্য আনুষ্ঠানিক পথে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছিল।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো—বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা, সরকার রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসএ