০৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নিষেধাজ্ঞা বাতিলে মন্টানার বিরুদ্ধে মামলা টিকটকের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ৪১৭২ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে চীনা মালিকানাধীন মিডিয়া জায়ান্ট টিকটক নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর এই নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষরও করেন। এটি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা বাতিলে আদালতে মামলা দায়ের করেছে টিকটক। মঙ্গলবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্টানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে মামলা করেছে টিকটক। গত সপ্তাহে মন্টানা চীনের মালিকানাধীন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির পর সোমবার এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

এক বিবৃতিতে টিকটক বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে যে মুক্ত বাকস্বাধীনতা ও অধিকার রয়েছে, সেটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সোমবার ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব মন্টানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘বেআইনি’ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করার জন্য তারা এই মামলা করছে।

সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেছেন, আমাদের ব্যবসা এবং মন্টানায় লাখ লাখ টিকটক ব্যবহারকারীকে রক্ষা করার জন্য মন্টানার এই অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করছি আমরা।

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের আইনি চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত শক্তিশালী নজির এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জয়ী হবে।’

বিবিসি বলছে, টিকটকের মামলায় যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, এই নিষেধাজ্ঞা সাংবিধানিক প্রথম সংশোধনীর স্বাধীনতার অধিকারকে লঙ্ঘন করবে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ ঠেকাতে যেসব প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া

এর আগে গত বুধবার মন্টানার গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করার বিলে স্বাক্ষর করেন। এটি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে চীনা মালিকানাধীন মিডিয়া জায়ান্ট টিকটক নিষিদ্ধ হতে চলেছে।

মূলত চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ হওয়ায় চীন সরকারের কাছে এর ডেটা পাঠানো হতে পারে এমন উদ্বেগের কারণে বিশ্বজুড়ে বহু দেশে তদন্তের আওতায় এসেছে টিকটক।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা মাত্র ১০ লাখের কিছু বেশি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রিপাবলিকান পরিচালিত এই অঙ্গরাজ্যটি সরকারি ডিভাইসে চীনের জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছিল।

টিকটক বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। যদিও প্ল্যাটফর্মটি প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে প্রসারিত হয়েছে, এরপরও এটি এখনও কিশোর-কিশোরী এবং ২০-৩০ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে মার্কিন রাজনৈতিক স্পেকট্রামজুড়ে উদ্বেগ রয়েছে যে চীনের অ্যাপ টিকটক হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

উল্লেখ্য, টিকটকের মূল মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। গত কয়েক বছরে এটি গোটা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয় এক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী চীনা এই অ্যাপটি ৩৫০ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে।

কিন্তু নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে গত কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানে চলে গেছে। এসব দেশ বলছে, চীনা কর্মকর্তারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

নিষেধাজ্ঞা বাতিলে মন্টানার বিরুদ্ধে মামলা টিকটকের

আপডেট: ১১:২৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে চীনা মালিকানাধীন মিডিয়া জায়ান্ট টিকটক নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর এই নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষরও করেন। এটি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা বাতিলে আদালতে মামলা দায়ের করেছে টিকটক। মঙ্গলবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্টানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে মামলা করেছে টিকটক। গত সপ্তাহে মন্টানা চীনের মালিকানাধীন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির পর সোমবার এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

এক বিবৃতিতে টিকটক বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে যে মুক্ত বাকস্বাধীনতা ও অধিকার রয়েছে, সেটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সোমবার ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব মন্টানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘বেআইনি’ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করার জন্য তারা এই মামলা করছে।

সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেছেন, আমাদের ব্যবসা এবং মন্টানায় লাখ লাখ টিকটক ব্যবহারকারীকে রক্ষা করার জন্য মন্টানার এই অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করছি আমরা।

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের আইনি চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত শক্তিশালী নজির এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জয়ী হবে।’

বিবিসি বলছে, টিকটকের মামলায় যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, এই নিষেধাজ্ঞা সাংবিধানিক প্রথম সংশোধনীর স্বাধীনতার অধিকারকে লঙ্ঘন করবে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ ঠেকাতে যেসব প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া

এর আগে গত বুধবার মন্টানার গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করার বিলে স্বাক্ষর করেন। এটি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে চীনা মালিকানাধীন মিডিয়া জায়ান্ট টিকটক নিষিদ্ধ হতে চলেছে।

মূলত চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ হওয়ায় চীন সরকারের কাছে এর ডেটা পাঠানো হতে পারে এমন উদ্বেগের কারণে বিশ্বজুড়ে বহু দেশে তদন্তের আওতায় এসেছে টিকটক।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা মাত্র ১০ লাখের কিছু বেশি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রিপাবলিকান পরিচালিত এই অঙ্গরাজ্যটি সরকারি ডিভাইসে চীনের জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছিল।

টিকটক বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। যদিও প্ল্যাটফর্মটি প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে প্রসারিত হয়েছে, এরপরও এটি এখনও কিশোর-কিশোরী এবং ২০-৩০ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে মার্কিন রাজনৈতিক স্পেকট্রামজুড়ে উদ্বেগ রয়েছে যে চীনের অ্যাপ টিকটক হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

উল্লেখ্য, টিকটকের মূল মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। গত কয়েক বছরে এটি গোটা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয় এক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী চীনা এই অ্যাপটি ৩৫০ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে।

কিন্তু নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে গত কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানে চলে গেছে। এসব দেশ বলছে, চীনা কর্মকর্তারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে।

ঢাকা/এসএম