১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পুঁজিবাজার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার উত্তোলন করবে আইএফসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৩৩৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) শর্ত সাপেক্ষে বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চায়। টাকা বন্ড নামক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ উত্তোলনের প্রাথমিক অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চেয়েছে আইএফসি।

এ টাকা শিল্প খাতে বিনিয়োগ করবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহযোগী বেসরকারি খাত সংক্রান্ত সংস্থাটি। এর আগে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে (এলইসি) ‘বাংলা বন্ড’ ছেড়ে সেই দেশ থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থাটি মনে করে এর ফলে পুঁজিবাজারে বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন ঘটবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্ড ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমানের কাছে চিঠি দিয়েছে আইএফসির বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিএসইসিকে জানানো হয়েছে।

আইএফসির চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রযোজ্য আইন, কর্তৃপক্ষের প্রবিধান, নিয়ম এবং সম্মতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পুঁজিবাজারে টাকায় অনশোর ডিনোমিনেটেড বন্ড ইস্যু করার জন্য আইএফসিকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর একটি অংশ আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির কথাও বলা হয়েছে। তবে সেখানে আইএফসিকে অন-ল্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি অফশোর এবং অনশোর মুদ্রা রূপান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো কর দিতে বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ ওটিসির কোম্পানিগুলোর বিস্তারিত জানতে ডিএসই-সিএসইকে বিএসইসির চিঠি

চিঠিতে বলা হয়, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটা প্রতীয়মান হয় যে, বৈদেশিক মুদ্রার অদলবদল এবং ঝুঁকি প্রশমন সম্পর্কে আরও ভালো বোঝার প্রয়োজন এবং আইএফসি দ্বারা স্থানীয় মুদ্রা-নির্ধারিত বন্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে কর মওকুফের মতো বিষয়গুলোতে জোর দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আলোচনার মাধ্যমে আইএফসি তাদের ট্রেজারি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি বৈঠকের প্রস্তাব করেছে, যারা কর্মশালায় উপস্থিতির জন্য বাংলাদেশ সফর করবেন।

কারণ আইএফসি ট্রেজারি বিশেষজ্ঞদের স্থানীয় মুদ্রার অনশোর বন্ড ইস্যুতে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তারা বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত। আইএফসি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের জন্য দৃঢ় সমর্থন প্রত্যাশা করছে, যা বিভিন্ন অগ্রাধিকার খাতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রাপ্যতা বাড়াতে এবং দেশীয় পুঁজিবাজারের বিকাশে সহায়তা করবে।

ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার উত্তোলন করবে আইএফসি

আপডেট: ১২:২৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) শর্ত সাপেক্ষে বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চায়। টাকা বন্ড নামক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ উত্তোলনের প্রাথমিক অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চেয়েছে আইএফসি।

এ টাকা শিল্প খাতে বিনিয়োগ করবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহযোগী বেসরকারি খাত সংক্রান্ত সংস্থাটি। এর আগে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে (এলইসি) ‘বাংলা বন্ড’ ছেড়ে সেই দেশ থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থাটি মনে করে এর ফলে পুঁজিবাজারে বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন ঘটবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্ড ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমানের কাছে চিঠি দিয়েছে আইএফসির বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিএসইসিকে জানানো হয়েছে।

আইএফসির চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রযোজ্য আইন, কর্তৃপক্ষের প্রবিধান, নিয়ম এবং সম্মতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পুঁজিবাজারে টাকায় অনশোর ডিনোমিনেটেড বন্ড ইস্যু করার জন্য আইএফসিকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর একটি অংশ আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির কথাও বলা হয়েছে। তবে সেখানে আইএফসিকে অন-ল্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি অফশোর এবং অনশোর মুদ্রা রূপান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো কর দিতে বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ ওটিসির কোম্পানিগুলোর বিস্তারিত জানতে ডিএসই-সিএসইকে বিএসইসির চিঠি

চিঠিতে বলা হয়, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটা প্রতীয়মান হয় যে, বৈদেশিক মুদ্রার অদলবদল এবং ঝুঁকি প্রশমন সম্পর্কে আরও ভালো বোঝার প্রয়োজন এবং আইএফসি দ্বারা স্থানীয় মুদ্রা-নির্ধারিত বন্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে কর মওকুফের মতো বিষয়গুলোতে জোর দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আলোচনার মাধ্যমে আইএফসি তাদের ট্রেজারি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি বৈঠকের প্রস্তাব করেছে, যারা কর্মশালায় উপস্থিতির জন্য বাংলাদেশ সফর করবেন।

কারণ আইএফসি ট্রেজারি বিশেষজ্ঞদের স্থানীয় মুদ্রার অনশোর বন্ড ইস্যুতে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তারা বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত। আইএফসি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের জন্য দৃঢ় সমর্থন প্রত্যাশা করছে, যা বিভিন্ন অগ্রাধিকার খাতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রাপ্যতা বাড়াতে এবং দেশীয় পুঁজিবাজারের বিকাশে সহায়তা করবে।

ঢাকা/এইচকে