০৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ফরজ গোসলের আগে সেহরি খাওয়া যায়?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৪৫১ বার দেখা হয়েছে

ধৈর্য, সংযম, ত্যাগ ও অপরের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের মাস রমজান। এ মাসে সওয়াব অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ। তাই তো ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী রোজা রাখতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে অফুরন্ত সওয়াব।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোজা রাখার উদ্দেশে শেষ রাতে ঊষা উদয়ের আগে যে পানাহার করা হয়, তা সেহরি হিসেবে পরিচিত। রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। তবে স্বপ্নদোষ বা স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা ফরজ। এ ফরজ গোসল না করে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।

আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকাকেই রোজা বলা হয়। আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়। কিন্তু এটি নিয়ে বেশকিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান, যেগুলো নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তেমনই একটি হচ্ছে, ফরজ গোসলের আগে সেহরি খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে।

আরও পড়ুন: রোজা রেখে মিথ্যা বললে যে ক্ষতি হবে

রমজান মাসে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়। গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। কারণ সেহরি খাওয়ার জন্য পবিত্রতা ফরজ নয়, বরং সুন্নত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুভাবেই বর্ণিত আছে। তাই গোসল ফরজ অবস্থায়ও সেহরি খাওয়া যায়।

তবে নামাজ আদায় করার জন্য পবিত্রতা ফরজ। এ বিষয়ে মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ২৫৯২)

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

ফরজ গোসলের আগে সেহরি খাওয়া যায়?

আপডেট: ১১:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

ধৈর্য, সংযম, ত্যাগ ও অপরের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের মাস রমজান। এ মাসে সওয়াব অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ। তাই তো ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী রোজা রাখতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে অফুরন্ত সওয়াব।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোজা রাখার উদ্দেশে শেষ রাতে ঊষা উদয়ের আগে যে পানাহার করা হয়, তা সেহরি হিসেবে পরিচিত। রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। তবে স্বপ্নদোষ বা স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা ফরজ। এ ফরজ গোসল না করে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।

আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকাকেই রোজা বলা হয়। আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়। কিন্তু এটি নিয়ে বেশকিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান, যেগুলো নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তেমনই একটি হচ্ছে, ফরজ গোসলের আগে সেহরি খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে।

আরও পড়ুন: রোজা রেখে মিথ্যা বললে যে ক্ষতি হবে

রমজান মাসে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়। গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। কারণ সেহরি খাওয়ার জন্য পবিত্রতা ফরজ নয়, বরং সুন্নত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুভাবেই বর্ণিত আছে। তাই গোসল ফরজ অবস্থায়ও সেহরি খাওয়া যায়।

তবে নামাজ আদায় করার জন্য পবিত্রতা ফরজ। এ বিষয়ে মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ২৫৯২)

ঢাকা/এসএইচ