০৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ফলের গায়ে স্টিকারের রহস্য

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • / ৪১৫৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ফল কেনার সময় গায়ে স্টিকারের বিষয়টি হয়তো অনেকেরই চোখে পড়েছে। বিশেষত আপেল বা মালটার গায়ে স্টিকার থাকেই। তবে এমন স্টিকার লাগানোর অর্থ কী?

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনেকেই মনে করেন, ফলের গায়ে লাগানো এই স্টিকারগুলো মনে হয় গুণমানের পরিচায়ক। এমনকি কেউ কেউ ভাবেন এই ফলগুলো বোধহয় দেশের বাহির থেকে আমদানি করা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের গুণমান, দাম ও কী ধরনের প্রক্রিয়ায় ফলটি উৎপাদিত হয়েছে তা বুঝতে। কিন্তু ভারতে আদৌ এমন কোনো নিয়ম নেই। বরং ভারতে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের খুঁত ঢাকা দিতে কিংবা ফলগুলো অন্য ফলের তুলনায় ভালো এমন প্রমাণ করতে। অনেক সময় এই ধরনের স্টিকার দেখিয়ে বেশি দামও নেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। কাজেই ফলের গায়ে স্টিকার দেখেই সেই ফল ভাল বলে ভেবে নেয়ার কোনো কারণ ভারতে অন্তত নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তা ছাড়া ব্যবহৃত স্টিকারগুলো যে আঠা দিয়ে লাগানো থাকে, তার উপরেও বিশেষ নজরদারি নেই। তাই এই ধরনের আঠায় ব্যবহৃত রাসায়নিক উল্টে ফল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ধরনের স্টিকার কী নির্দেশ করে?

আইএফপিএস জানায়, স্টিকারে যদি চার সংখ্যার কোনো কোড থাকে তবে তার অর্থ, ফলটি উৎপাদনে সাধারণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। কোডটি পাঁচ সংখ্যার ও প্রথম সংখ্যাটি ৮ হলে তার অর্থ, ফলটি জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ফলানো হয়েছে। আর পাঁচ সংখ্যার কোডটি যদি ৯ দিয়ে শুরু হয় তবে তার অর্থ সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে ফলানো হয়েছে ফলটি।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

ফলের গায়ে স্টিকারের রহস্য

আপডেট: ০৫:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ফল কেনার সময় গায়ে স্টিকারের বিষয়টি হয়তো অনেকেরই চোখে পড়েছে। বিশেষত আপেল বা মালটার গায়ে স্টিকার থাকেই। তবে এমন স্টিকার লাগানোর অর্থ কী?

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনেকেই মনে করেন, ফলের গায়ে লাগানো এই স্টিকারগুলো মনে হয় গুণমানের পরিচায়ক। এমনকি কেউ কেউ ভাবেন এই ফলগুলো বোধহয় দেশের বাহির থেকে আমদানি করা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের গুণমান, দাম ও কী ধরনের প্রক্রিয়ায় ফলটি উৎপাদিত হয়েছে তা বুঝতে। কিন্তু ভারতে আদৌ এমন কোনো নিয়ম নেই। বরং ভারতে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের খুঁত ঢাকা দিতে কিংবা ফলগুলো অন্য ফলের তুলনায় ভালো এমন প্রমাণ করতে। অনেক সময় এই ধরনের স্টিকার দেখিয়ে বেশি দামও নেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। কাজেই ফলের গায়ে স্টিকার দেখেই সেই ফল ভাল বলে ভেবে নেয়ার কোনো কারণ ভারতে অন্তত নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তা ছাড়া ব্যবহৃত স্টিকারগুলো যে আঠা দিয়ে লাগানো থাকে, তার উপরেও বিশেষ নজরদারি নেই। তাই এই ধরনের আঠায় ব্যবহৃত রাসায়নিক উল্টে ফল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ধরনের স্টিকার কী নির্দেশ করে?

আইএফপিএস জানায়, স্টিকারে যদি চার সংখ্যার কোনো কোড থাকে তবে তার অর্থ, ফলটি উৎপাদনে সাধারণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। কোডটি পাঁচ সংখ্যার ও প্রথম সংখ্যাটি ৮ হলে তার অর্থ, ফলটি জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ফলানো হয়েছে। আর পাঁচ সংখ্যার কোডটি যদি ৯ দিয়ে শুরু হয় তবে তার অর্থ সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে ফলানো হয়েছে ফলটি।

ঢাকা/এসএম