০২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

বঞ্চিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে বিসিক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
  • / ৪১৫৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা করে সরকার। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে দেয়া এসব ঋণ প্রকৃত উদ্যোক্তাদের অনেকেই পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। এ-সংক্রান্ত গঠিত কমিটিতে অভিযোগের পরও ঋণ না পাওয়া উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধার ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। সারা দেশে দুই বছরে ১০০ কোটি টাকার ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের ২৭ জন উদ্যোক্তাকে ৬৮ লাখ টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে। বঞ্চিত উদ্যোক্তাদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঋণের পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিসিক কর্মকর্তারা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর গত বছরের মার্চের শেষ দিকে সারা দেশে প্রায় তিন মাসের সাধারণ ছুটি দেয়া হয়। স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হন উদ্যোক্তারা। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ওই সময়ে সরকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৪৪৬ জন উদ্যোক্তাকে ৯৭১ দশমিক ২৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। যদিও এ ঋণের অধিকাংশ প্রকৃত উদ্যোক্তারা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বিশেষ ঋণ সুবিধা না পেয়ে চট্টগ্রাম বিসিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন চট্টগ্রামের ৫৬ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শ্রেণীর উদ্যোক্তা, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিসিকের পক্ষ থেকে এসব উদ্যোক্তাকে স্বল্প সুদের ঋণ দেয়া হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীর মেসার্স মোহাম্মদীয়া এগ্রোভেট লিমিটেডের উদ্যোক্তা মো. এইচ নেওয়াজ চৌধুরী। মাঝারি শিল্প-কারখানার এ উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের রূপালী ব্যাংক লালদীঘি শাখায় প্রণোদনা ঋণের আবেদন করেন। ২০২০ সালের শেষ দিকে সরকারি ঘোষণার পর পরই ঋণের আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত ঋণ পাননি তিনি। ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি মূলধনের ৩০ শতাংশ ঋণের জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু ঋণ না পেয়ে মূলধনের অভাবে কারখানা বন্ধের উপক্রম হয়েছে এ উদ্যোক্তার। লকডাউনকালে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়া, কারখানায় উৎপাদিত পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন বলে দাবি এ উদ্যোক্তার। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে প্রায় ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান হয়। তবে সম্প্রতি অধিকাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

একই অবস্থা মেসার্স চাঁপাই এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের। চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাননি প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জেসমিন আক্তার। প্রতিটি ব্যাংক প্রতি মাসেই ঋণ দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছেন না এ নারী উদ্যোক্তা। বাধ্য হয়ে অভিযোগ ও স্বল্প সুদের ঋণের আবেদন জানালে বিসিকের পক্ষ থেকে তাকে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।

সরকারি বিশেষ ঋণের বাইরে বিসিক থেকে দেয়া ঋণ কার্যক্রমের নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সর্বশেষ ১৯ মে পর্যন্ত বিসিক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ১৪ জন নারী ও ১৩ জন পুরুষ উদ্যোক্তাকে ৬৮ লাখ টাকা দিয়েছে। এসব ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১১০ জনের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে বিসিক কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের মধ্যে আরো ২২ লাখ টাকার ঋণ প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ আওতায় এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৬১০ জন উদ্যোক্তাকে ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, কুটির, অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) ঋণের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েক দফা আবেদনের পরও অনেক উদ্যোক্তা ঋণ পায়নি। প্রকৃত উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির বিষয়ে সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ মনিটরিং কমিটির জেলার সাতটি সভায় এরই মধ্যে বিসিকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুরোধও করা হয়। এরপরও ঋণ না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ আসায় বিসিকের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত উদ্যোক্তাদের দুই বছরে (ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ) ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হয়। এপ্রিল ও মে মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ ১ কোটি টাকা প্রদানের পর পরবর্তী সময়ে আরো অর্থ বরাদ্দে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলো থেকে প্রকৃত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বিসিকের অনুকূলে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি ৬০০ কোটি টাকার সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠায়। তবে অর্থ বিভাগ থেকে ২০২১ ও ২০২২ সালের জন্য ৫০ কোটি টাকা করে মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

জানতে চাইলে বিসিকের চেয়ারম্যান মো. মোশ্তাক হাসান (এনডিসি) বণিক বার্তাকে বলেন, বিশেষ সুবিধার ঋণ নিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। আমরা বিসিকের মাধ্যমে বৃহৎ আকারে ঋণ বিতরণের আবেদন করলেও বরাদ্দ পেয়েছি মাত্র ১০০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে প্রথম বছরের জন্য বরাদ্দ দেয়া ৫০ কোটি টাকার ৯০ শতাংশই বিতরণ করা হয়েছে। বিসিকের কার্যক্রমের মধ্যে এসএমই ঋণ প্রদান কার্যক্রম চালু থাকায় বঞ্চিত উদ্যোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

বঞ্চিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে বিসিক

আপডেট: ০২:২৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা করে সরকার। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে দেয়া এসব ঋণ প্রকৃত উদ্যোক্তাদের অনেকেই পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। এ-সংক্রান্ত গঠিত কমিটিতে অভিযোগের পরও ঋণ না পাওয়া উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধার ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। সারা দেশে দুই বছরে ১০০ কোটি টাকার ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের ২৭ জন উদ্যোক্তাকে ৬৮ লাখ টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে। বঞ্চিত উদ্যোক্তাদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঋণের পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিসিক কর্মকর্তারা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর গত বছরের মার্চের শেষ দিকে সারা দেশে প্রায় তিন মাসের সাধারণ ছুটি দেয়া হয়। স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হন উদ্যোক্তারা। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ওই সময়ে সরকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৪৪৬ জন উদ্যোক্তাকে ৯৭১ দশমিক ২৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। যদিও এ ঋণের অধিকাংশ প্রকৃত উদ্যোক্তারা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বিশেষ ঋণ সুবিধা না পেয়ে চট্টগ্রাম বিসিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন চট্টগ্রামের ৫৬ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শ্রেণীর উদ্যোক্তা, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিসিকের পক্ষ থেকে এসব উদ্যোক্তাকে স্বল্প সুদের ঋণ দেয়া হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীর মেসার্স মোহাম্মদীয়া এগ্রোভেট লিমিটেডের উদ্যোক্তা মো. এইচ নেওয়াজ চৌধুরী। মাঝারি শিল্প-কারখানার এ উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের রূপালী ব্যাংক লালদীঘি শাখায় প্রণোদনা ঋণের আবেদন করেন। ২০২০ সালের শেষ দিকে সরকারি ঘোষণার পর পরই ঋণের আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত ঋণ পাননি তিনি। ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি মূলধনের ৩০ শতাংশ ঋণের জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু ঋণ না পেয়ে মূলধনের অভাবে কারখানা বন্ধের উপক্রম হয়েছে এ উদ্যোক্তার। লকডাউনকালে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়া, কারখানায় উৎপাদিত পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন বলে দাবি এ উদ্যোক্তার। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে প্রায় ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান হয়। তবে সম্প্রতি অধিকাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

একই অবস্থা মেসার্স চাঁপাই এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের। চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাননি প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জেসমিন আক্তার। প্রতিটি ব্যাংক প্রতি মাসেই ঋণ দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছেন না এ নারী উদ্যোক্তা। বাধ্য হয়ে অভিযোগ ও স্বল্প সুদের ঋণের আবেদন জানালে বিসিকের পক্ষ থেকে তাকে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।

সরকারি বিশেষ ঋণের বাইরে বিসিক থেকে দেয়া ঋণ কার্যক্রমের নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সর্বশেষ ১৯ মে পর্যন্ত বিসিক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় ১৪ জন নারী ও ১৩ জন পুরুষ উদ্যোক্তাকে ৬৮ লাখ টাকা দিয়েছে। এসব ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১১০ জনের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে বিসিক কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের মধ্যে আরো ২২ লাখ টাকার ঋণ প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ আওতায় এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৬১০ জন উদ্যোক্তাকে ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, কুটির, অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) ঋণের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েক দফা আবেদনের পরও অনেক উদ্যোক্তা ঋণ পায়নি। প্রকৃত উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির বিষয়ে সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ মনিটরিং কমিটির জেলার সাতটি সভায় এরই মধ্যে বিসিকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুরোধও করা হয়। এরপরও ঋণ না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ আসায় বিসিকের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত উদ্যোক্তাদের দুই বছরে (ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ) ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হয়। এপ্রিল ও মে মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ ১ কোটি টাকা প্রদানের পর পরবর্তী সময়ে আরো অর্থ বরাদ্দে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলো থেকে প্রকৃত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বিসিকের অনুকূলে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি ৬০০ কোটি টাকার সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠায়। তবে অর্থ বিভাগ থেকে ২০২১ ও ২০২২ সালের জন্য ৫০ কোটি টাকা করে মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

জানতে চাইলে বিসিকের চেয়ারম্যান মো. মোশ্তাক হাসান (এনডিসি) বণিক বার্তাকে বলেন, বিশেষ সুবিধার ঋণ নিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। আমরা বিসিকের মাধ্যমে বৃহৎ আকারে ঋণ বিতরণের আবেদন করলেও বরাদ্দ পেয়েছি মাত্র ১০০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে প্রথম বছরের জন্য বরাদ্দ দেয়া ৫০ কোটি টাকার ৯০ শতাংশই বিতরণ করা হয়েছে। বিসিকের কার্যক্রমের মধ্যে এসএমই ঋণ প্রদান কার্যক্রম চালু থাকায় বঞ্চিত উদ্যোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: