০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

বানকো ফাইন্যান্সের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ‍খুলে দেওয়ার নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০৩৫২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্চেন্ট ব্যাংক বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) খুলে দিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে গ্রাহকের পক্ষে শেয়ার কেনার জন্য বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের জব্দ থাকা সমন্বিত গ্রাহক হিসাব খুলে দিতে বলেছে বিএসইসি। পাশাপাশি ডিএসইকে গ্রাহক ও ব্রোকারের মধ্যে হওয়া লেনদেনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে বিএসইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ১৯ আগস্ট বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা ওই চিঠি দেওয়া হয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ১১ কোটির বেশি অর্থ রয়েছে। অন্যদিকে গ্রাহকদের পাওনার পরিমাণ ৯ কোটির কিছু বেশি হবে। জব্দ থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা শেয়ার কিনতে পারছেন না। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শুধু সমন্বিত গ্রাহক হিসাব খুলে দিতে বলা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনের বিষয়টি পুরোপুরি নজরদারিতে রাখতে ডিএসইকে বলা হয়েছে।

এর আগে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বানকো ফাইন্যান্সেও একই ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে এই বছরের ১৪ জুলাই তিন সদস্যের একটি কমিঠি গঠন করে বিএসইসি। বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. কাউসার আলীকে প্রধান করে গঠন করা এই তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও যুগ্ম পরিচালক মো. রকিবুর রহমান। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ জুলাই দুর্নীতির অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজ ও এর পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বানকো সিকিউরিটিজ, বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সুব্রা সিস্টেমস, সুব্রা ফ্যাশনস, বানকো পাওয়ার, বানকো এনার্জি জেনারেশন, বানকো স্মার্ট সলিউশন, ক্ল্যাসিক ফুড ল্যাব, অ্যামুলেট ফার্মাসিউটিক্যালস ও সামিট প্রপার্টিজ লিমিটেড। পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) পক্ষ থেকেও বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বানকো ফাইন্যান্সের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ‍খুলে দেওয়ার নির্দেশ

আপডেট: ০১:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্চেন্ট ব্যাংক বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) খুলে দিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে গ্রাহকের পক্ষে শেয়ার কেনার জন্য বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের জব্দ থাকা সমন্বিত গ্রাহক হিসাব খুলে দিতে বলেছে বিএসইসি। পাশাপাশি ডিএসইকে গ্রাহক ও ব্রোকারের মধ্যে হওয়া লেনদেনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে বিএসইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ১৯ আগস্ট বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা ওই চিঠি দেওয়া হয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ১১ কোটির বেশি অর্থ রয়েছে। অন্যদিকে গ্রাহকদের পাওনার পরিমাণ ৯ কোটির কিছু বেশি হবে। জব্দ থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা শেয়ার কিনতে পারছেন না। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শুধু সমন্বিত গ্রাহক হিসাব খুলে দিতে বলা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনের বিষয়টি পুরোপুরি নজরদারিতে রাখতে ডিএসইকে বলা হয়েছে।

এর আগে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বানকো ফাইন্যান্সেও একই ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে এই বছরের ১৪ জুলাই তিন সদস্যের একটি কমিঠি গঠন করে বিএসইসি। বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. কাউসার আলীকে প্রধান করে গঠন করা এই তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও যুগ্ম পরিচালক মো. রকিবুর রহমান। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ জুলাই দুর্নীতির অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজ ও এর পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বানকো সিকিউরিটিজ, বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সুব্রা সিস্টেমস, সুব্রা ফ্যাশনস, বানকো পাওয়ার, বানকো এনার্জি জেনারেশন, বানকো স্মার্ট সলিউশন, ক্ল্যাসিক ফুড ল্যাব, অ্যামুলেট ফার্মাসিউটিক্যালস ও সামিট প্রপার্টিজ লিমিটেড। পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) পক্ষ থেকেও বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: