০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মুহিত আটক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৫২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • / ১০৪৬৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিতকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় ডিএসই মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই মুহিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে আটক করা হয়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক মুহিত টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসূচককে বলেন, বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করছিলেন। তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে পরে তাকে পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থার কাছে হ্স্তান্তর করা হয়েছে কি-না তা এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বানকোর চেয়ারম্যান মুহিতকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বেলা দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত অর্থসূচক ক্রসচেক করে নিশ্চিত হতে পারেনি।

উল্লেখ, চলতি বছর ডিএসইর পরিদর্শনে বানকো সিকিউরিটিজে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ব্যাপক ঘাটতি পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা বিনিয়োগের জন্য যে পরিমাণ অর্থ জমা করেছিলেন অ্যাকাউন্টে তারচেয়ে ৬৬ কোটি টাকা কম পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মকর্তারা এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিএসইসির অনুমোদন নিয়ে গত ১৪ জুন ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ব্রোকারহাউজটির লেনদেন স্থগিত করে। একইসঙ্গে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করে ডিএসই।

শুধু গ্রাহক সমন্বিত হিসাবের ঘাটতি নয়, লেনদেন নিয়ে প্রতারণারও অভিযোগও আছে বানকো সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে।

গত বছরের শেষভাগে বানকো সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটার আইপিও আবেদন শুরুর আগেই অবৈধভাবে ওই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিতে ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) রবির আইপিওতে আবদনের জন্য বানকো সিকিউরিটিজকে অযোগ্য ঘোষণা করে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মুহিত আটক

আপডেট: ০৪:৫২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিতকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় ডিএসই মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই মুহিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে আটক করা হয়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক মুহিত টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসূচককে বলেন, বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করছিলেন। তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে পরে তাকে পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থার কাছে হ্স্তান্তর করা হয়েছে কি-না তা এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বানকোর চেয়ারম্যান মুহিতকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বেলা দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত অর্থসূচক ক্রসচেক করে নিশ্চিত হতে পারেনি।

উল্লেখ, চলতি বছর ডিএসইর পরিদর্শনে বানকো সিকিউরিটিজে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ব্যাপক ঘাটতি পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা বিনিয়োগের জন্য যে পরিমাণ অর্থ জমা করেছিলেন অ্যাকাউন্টে তারচেয়ে ৬৬ কোটি টাকা কম পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মকর্তারা এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিএসইসির অনুমোদন নিয়ে গত ১৪ জুন ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ব্রোকারহাউজটির লেনদেন স্থগিত করে। একইসঙ্গে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করে ডিএসই।

শুধু গ্রাহক সমন্বিত হিসাবের ঘাটতি নয়, লেনদেন নিয়ে প্রতারণারও অভিযোগও আছে বানকো সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে।

গত বছরের শেষভাগে বানকো সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটার আইপিও আবেদন শুরুর আগেই অবৈধভাবে ওই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিতে ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) রবির আইপিওতে আবদনের জন্য বানকো সিকিউরিটিজকে অযোগ্য ঘোষণা করে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: