১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ভারী গোলাগুলি চলছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এবং শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজারের কোনারপাড়া এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং ও খ্য মং সেক পাহাড়ে মধ্যভাগের জায়গাটুকু নো ম্যানস ল্যান্ড। এই শূন্যরেখায় আশ্রয়শিবির গড়ে তুলে পাঁচ বছর ধরে বাস করছে রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। আশ্রয়শিবিরের পাশ ঘেঁষেই কাঁটাতারের বেড়া। কাঁটাতারের দক্ষিণে পাহাড়ের সারি। পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপন করা হয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) একাধিক চৌকি। ঘুমধুমের তুমব্রু বাজার থেকে এসব খালি চোখেই দেখা যায়।

শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে আশ্রয়শিবিরের পেছনের পাহাড়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পাহাড়ের চূড়ার বিজিপির চৌকি থেকে খ্য মং সেক পাহাড়ের দিকে থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০টি আর্টিলারি ও মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে। তাতে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা আতঙ্কিত।

আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা বলেন, ১৫ দিন পরপর তাঁদের ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) সদস্যরা আশ্রয়শিবিরে এসে এই সহায়তা দেন। গতকাল থেকে ত্রাণসহায়তা শুরু হয়েছে। আজকে চলছে, কালও চলবে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় একসঙ্গে সব রোহিঙ্গা ত্রাণসহায়তা নিতে পারছেন না। আশ্রয়শিবিরে আইসিআরসির সহায়তা ছাড়া অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মানবিক সহায়তার জন্য শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে যেতে পারে না।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আমরা লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। শ্রমিকেরা রাবার বাগানে ফিরে যাচ্ছেন, কাজ করছেন। তুমব্রু বাজারের দোকানপাটও খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি।’

আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ভারী গোলাগুলি চলছে

আপডেট: ০৪:২৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এবং শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজারের কোনারপাড়া এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং ও খ্য মং সেক পাহাড়ে মধ্যভাগের জায়গাটুকু নো ম্যানস ল্যান্ড। এই শূন্যরেখায় আশ্রয়শিবির গড়ে তুলে পাঁচ বছর ধরে বাস করছে রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। আশ্রয়শিবিরের পাশ ঘেঁষেই কাঁটাতারের বেড়া। কাঁটাতারের দক্ষিণে পাহাড়ের সারি। পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপন করা হয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) একাধিক চৌকি। ঘুমধুমের তুমব্রু বাজার থেকে এসব খালি চোখেই দেখা যায়।

শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে আশ্রয়শিবিরের পেছনের পাহাড়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পাহাড়ের চূড়ার বিজিপির চৌকি থেকে খ্য মং সেক পাহাড়ের দিকে থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০টি আর্টিলারি ও মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে। তাতে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা আতঙ্কিত।

আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা বলেন, ১৫ দিন পরপর তাঁদের ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) সদস্যরা আশ্রয়শিবিরে এসে এই সহায়তা দেন। গতকাল থেকে ত্রাণসহায়তা শুরু হয়েছে। আজকে চলছে, কালও চলবে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় একসঙ্গে সব রোহিঙ্গা ত্রাণসহায়তা নিতে পারছেন না। আশ্রয়শিবিরে আইসিআরসির সহায়তা ছাড়া অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মানবিক সহায়তার জন্য শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে যেতে পারে না।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আমরা লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। শ্রমিকেরা রাবার বাগানে ফিরে যাচ্ছেন, কাজ করছেন। তুমব্রু বাজারের দোকানপাটও খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি।’

আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি

ঢাকা/এসএ