০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বের ৭০ শতাংশ ম্যাসেডেমিয়া বাদাম আসে এক গাছ থেকেই!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • / ৪১৩২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে যত ধরনের বাদাম পাওয়া যায়, সেই প্রজাতিগুলোর মধ্যে ম্যাসেডেমিয়া বাদাম সবচেয়ে মূল্যবান। বিশ্ববাজারে প্রায় ৭০ শতাংশ ম্যাসেডেমিয়া বাদাম উৎপাদন হয় একটি গাছ থেকেই। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। শুনতে অবাক লাগলেও এটিই সত্যি। ২০১৮ সালে ম্যাসেডেমিয়া বাদামের ওপর গবেষণা করা হয়। শুধু অস্ট্রেলিয়ায় নয়, হাওয়াইয়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও বাদাম সংগ্রহ করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাদামগুলোর ডিএনএ নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে জানা যায়, তাদের ডিএনএ গঠনে অদ্ভুত রকমের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া গেছে।
‘প্ল্যান্ট সায়েন্স’-এর এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্সল্যান্ড এলাকার জিম্পি নামে একটি ছোট শহরে ১৯ শতকের পুরনো ম্যাসেডেমিয়া গাছ রয়েছে।

সেই গাছ থেকে যে বাদাম পাওয়া যায়, তার ডিএনএ গঠনের সঙ্গেই সাদৃশ্য রয়েছে ম্যাসেডেমিয়া বাদামের। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ববিদ্ ক্রেইগ হার্ডনারের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৯৬ সালে রবার্ট জর্ডন নামে এক ব্যক্তি কুইন্সল্যান্ড থেকে এই গাছের বীজ হনুলুলুতে নিয়ে যান।

তার ভাইয়ের বাড়ির পেছন দিকে যে বাগান রয়েছে, সেখানে বীজগুলো পোঁতা হয়েছিল। কিন্তু সেই বীজ থেকে মাত্র ছটি গাছ বেড়ে ওঠে। কুইন্সল্যান্ডের গাছ এভাবেই হাওয়াই অঞ্চলে পৌঁছায়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই গাছের বীজ থেকেই অধিকাংশ বাদাম উৎপাদন করা হয়। তাই উৎপাদনের মূল উৎস হিসেবে এই গাছটিকেই ধরা হয়। এ জন্য এটি ‘ম্যাসেডেমিয়া গাছের চেঙ্গিজ খাঁ’ নামেও প্রসিদ্ধ।

জানা যায়, কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনে অবস্থিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে ১৮৫৮ সাল থেকে প্রথম ম্যাসেডেমিয়া বাদামের চাষ শুরু হয়। তার ঠিক দুই বছর পর এই বাদামের কেনাবেচা শুরু করেন কিং জ্যাকি। লোগান নদীর তীরে যে সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল, তার রাজা ছিলেন তিনি।

শুধু পুষ্টিগত উপাদানে ভরপুর থাকার জন্য নয়, ম্যাসেডেমিয়া বাদামের দাম বেশি হওয়ার পেছনে কারণ ভিন্ন।ম্যাসেডেমিয়া গাছ বেড়ে ওঠার জন্য চাই উপযুক্ত পরিবেশ— প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি, প্রয়োজনীয় উপাদান সমৃদ্ধ মাটি ও উষ্ণ আবহাওয়া। এ ধরনের আবহাওয়ার মধ্যে প্রায় সাত থেকে ১০ বছর সময়কালের ব্যবধানে গাছ বেড়ে উঠতে থাকে।

কিন্তু সব এলাকার পরিবেশ ম্যাসেডেমিয়া গাছ বেড়ে ওঠার পক্ষে উপযোগী নয়। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় এই বাদাম উৎপাদন হয় বলেই এর দামও বেশি। এক পাউন্ড ম্যাসেডেমিয়া বাদামের মূল্য ২৫ আমেরিকান ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই হাজার টাকা)। অস্ট্রেলিয়ার ৫০টি বৃহত্তম স্থাপত্যের মধ্যে উমবাইয়ের ‘বিগ ম্যাসেমেডিয়া নাট’ উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৮ সালে এই থিম পার্কটি তৈরি করা হয়।

কুইনসল্যান্ডের পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে এটি ছিল অন্যতম। ম্যাসেডেমিয়া বাদাম উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্রস্থল হিসাবে কুইন্সল্যান্ডকে মান্যতা দিতেই এই পার্কটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে এই পার্কটি বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

বিশ্বের ৭০ শতাংশ ম্যাসেডেমিয়া বাদাম আসে এক গাছ থেকেই!

আপডেট: ০৩:১২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে যত ধরনের বাদাম পাওয়া যায়, সেই প্রজাতিগুলোর মধ্যে ম্যাসেডেমিয়া বাদাম সবচেয়ে মূল্যবান। বিশ্ববাজারে প্রায় ৭০ শতাংশ ম্যাসেডেমিয়া বাদাম উৎপাদন হয় একটি গাছ থেকেই। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। শুনতে অবাক লাগলেও এটিই সত্যি। ২০১৮ সালে ম্যাসেডেমিয়া বাদামের ওপর গবেষণা করা হয়। শুধু অস্ট্রেলিয়ায় নয়, হাওয়াইয়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও বাদাম সংগ্রহ করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাদামগুলোর ডিএনএ নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে জানা যায়, তাদের ডিএনএ গঠনে অদ্ভুত রকমের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া গেছে।
‘প্ল্যান্ট সায়েন্স’-এর এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্সল্যান্ড এলাকার জিম্পি নামে একটি ছোট শহরে ১৯ শতকের পুরনো ম্যাসেডেমিয়া গাছ রয়েছে।

সেই গাছ থেকে যে বাদাম পাওয়া যায়, তার ডিএনএ গঠনের সঙ্গেই সাদৃশ্য রয়েছে ম্যাসেডেমিয়া বাদামের। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ববিদ্ ক্রেইগ হার্ডনারের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৯৬ সালে রবার্ট জর্ডন নামে এক ব্যক্তি কুইন্সল্যান্ড থেকে এই গাছের বীজ হনুলুলুতে নিয়ে যান।

তার ভাইয়ের বাড়ির পেছন দিকে যে বাগান রয়েছে, সেখানে বীজগুলো পোঁতা হয়েছিল। কিন্তু সেই বীজ থেকে মাত্র ছটি গাছ বেড়ে ওঠে। কুইন্সল্যান্ডের গাছ এভাবেই হাওয়াই অঞ্চলে পৌঁছায়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই গাছের বীজ থেকেই অধিকাংশ বাদাম উৎপাদন করা হয়। তাই উৎপাদনের মূল উৎস হিসেবে এই গাছটিকেই ধরা হয়। এ জন্য এটি ‘ম্যাসেডেমিয়া গাছের চেঙ্গিজ খাঁ’ নামেও প্রসিদ্ধ।

জানা যায়, কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনে অবস্থিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে ১৮৫৮ সাল থেকে প্রথম ম্যাসেডেমিয়া বাদামের চাষ শুরু হয়। তার ঠিক দুই বছর পর এই বাদামের কেনাবেচা শুরু করেন কিং জ্যাকি। লোগান নদীর তীরে যে সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল, তার রাজা ছিলেন তিনি।

শুধু পুষ্টিগত উপাদানে ভরপুর থাকার জন্য নয়, ম্যাসেডেমিয়া বাদামের দাম বেশি হওয়ার পেছনে কারণ ভিন্ন।ম্যাসেডেমিয়া গাছ বেড়ে ওঠার জন্য চাই উপযুক্ত পরিবেশ— প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি, প্রয়োজনীয় উপাদান সমৃদ্ধ মাটি ও উষ্ণ আবহাওয়া। এ ধরনের আবহাওয়ার মধ্যে প্রায় সাত থেকে ১০ বছর সময়কালের ব্যবধানে গাছ বেড়ে উঠতে থাকে।

কিন্তু সব এলাকার পরিবেশ ম্যাসেডেমিয়া গাছ বেড়ে ওঠার পক্ষে উপযোগী নয়। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় এই বাদাম উৎপাদন হয় বলেই এর দামও বেশি। এক পাউন্ড ম্যাসেডেমিয়া বাদামের মূল্য ২৫ আমেরিকান ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই হাজার টাকা)। অস্ট্রেলিয়ার ৫০টি বৃহত্তম স্থাপত্যের মধ্যে উমবাইয়ের ‘বিগ ম্যাসেমেডিয়া নাট’ উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৮ সালে এই থিম পার্কটি তৈরি করা হয়।

কুইনসল্যান্ডের পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে এটি ছিল অন্যতম। ম্যাসেডেমিয়া বাদাম উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্রস্থল হিসাবে কুইন্সল্যান্ডকে মান্যতা দিতেই এই পার্কটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে এই পার্কটি বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা/এসএম