০৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বীমা খাত থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
  • / ৪৫৩৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলতি বছরের জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছেন। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ অন্তত ৫০০ কোটি। ৩০ বীমা কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমার হিসাব পর্যালোচনায় এ তথ্য মিলেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৫০ কোম্পানির মধ্যে ৪১ বিনিয়োগকারীর ধরন অনুযায়ী গত জুন শেষে শেয়ার ধারণের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমার তথ্য পাওয়া গেছে। 

দেখা গেছে, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী জুন মাসে কোনো বীমা কোম্পানির শেয়ার কিনে আবার বিক্রিও করেছে। একইভাবে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী যখন কিনেছে, তখন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ওই একই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছে। এক্ষেত্রে সব কেনা ও বেচার নিট হিসাব থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের নিট হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত সব বীমা কোম্পানির শেয়ার ধারণের হার প্রকাশ করলে দেখা যাবে, বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার টাকার অঙ্কের পরিমাণ এর তুলনায় বেশি। শুধু বিক্রির হিসাব করা হলে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের অঙ্ক হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের আড়াল করতে এসব নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে শেয়ার কেনাবেচা করছে। এদের বিনিয়োগও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়। বিনিয়োগকারীর ধরণ অনুযায়ী, শেয়ার ধারণের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় সর্বনিম্ন ০.৫২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৭.০২ শতাংশ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ৩০ বীমা কোম্পানি থেকে।

মোট শেয়ার বিবেচনায় সর্বাধিক ১৭.০২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে সাধারণ বীমা খাতের নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স থেকে। আর সর্বনিম্ন ০.৫২ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকে। বিপরীতে মাত্র ৬টি বীমা কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে। এ হার সর্বনিম্ন ০.২৭ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩.৮৯ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা মোট শেয়ারের পরিমাণ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৪.৬৯ শতাংশে নেমেছে যা গত মে মাসের শেষেও ছিল ৩১.৭১ শতাংশ। অন্য সব মাসের মতো গত মাসেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কেউ এ কোম্পানির শেয়ার কিনেছে, আবার কেউ বিক্রি করেছে। এই কেনা ও বেচা শেষে শেয়ার সংখ্যার হিসেবে এ কোম্পানি থেকে নিট প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ৭২ লাখ ৬২ হাজার যার বাজার মূল্য ছিল কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা।

একইভাবে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার মোট ২৩.৪৮ শতাংশ থেকে ১১.১১ শতাংশে নেমেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের থেকে মোট শেয়ার কমেছে প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার, যার বাজার মূল্য ছিল অন্তত ৫৬ কোটি টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (উচ্চ থেকে নিম্ন) রূপালী লাইফ, ইস্টল্যান্ড, প্রগ্রেসিভ লাইফ, ফিনিপ, গ্রীনডেল্টা, প্রাইম লাইফ এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।

মোট শেয়ার বিবেচনায় ৩ থেকে সোয়া ৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (উচ্চ থেকে নিম্ন) রিপাবলিক, এক্সপ্রেস, সোনারবাংলা, তাকাফুল, পপুলার লাইফ, মেঘনা লাইফ, ঢাকা, দেশ জেনারেল, সিটি জেনারেল, কন্টিনেন্টাল এবং ক্রীস্টাল ইন্স্যুরেন্স থেকে। এছাড়া পূরবী, প্যারামাউন্ট এবং ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ২ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত। ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ফারইস্ট লাইফ, জনতা, মার্কেন্টাইল, ইস্টার্ন এবং রূপালী লাইফ থেকে। পিপলস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকেও কিছুটা করে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে।

বিপরীতে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে বীমা কোম্পানিটির মোট শেয়ার বিবেচনায় ৩.৮৯ শতাংশ। গত মে শেষে বীমা কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ার ধারণের হার ছিল ১০.৬৯ শতাংশ, যা জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৫৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।

এছাড়া এশিয়া ও নিটল ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে মোটের ২ শতাংশ করে। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে ০.৯৫ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সে ০.৩৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে ০.২৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে। টাকার অঙ্কে সর্বাধিক বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা ও বেচা শেষে নিট ৯৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে। একইভাবে নিট অন্তত ৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স থেকে। সন্ধানী লাইফ থেকে ৫৬ কোটি টাকার, নর্দার্ন থেকে ৪০ কোটি টাকার, পপুলার লাইফ থেকে ২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে।

জুলাই মাসের ১৫ তারিখের পরও যেসব বীমা কোম্পানি এখনো শেয়ার ধারণের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেনি, সেগুলো হলো- অগ্রণী, গেতাবাল, ইসলামিক, কর্ণফূলী, পদ্মা লাইফ, প্রগ্রতি লাইফ, প্রাইম এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ার ধারণের হার প্রকাশ করা এশিয়া প্যাসিফিক, সেন্ট্রাল, ন্যাশনাল লাইফ, পাইওনিয়া এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স জানিয়েছে, গত মে মাসের তুলনায় জুনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

প্রসঙ্গত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্রোকার ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ডসহ প্রথাগত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাইরে দেশের শেয়ারবাজারে নামসর্বস্ব উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান বর্তমানে শেয়ার কেনাবেচা করছে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের আড়াল করতে এসব নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে শেয়ার কেনাবেচা করছে। তাদের বিনিয়োগও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়। সূত্র: সমকাল

খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছেন। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ অন্তত ৫০০ কোটি। ৩০ বীমা কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমার হিসাব পর্যালোচনায় এ তথ্য মিলেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৫০ কোম্পানির মধ্যে ৪১ বিনিয়োগকারীর ধরন অনুযায়ী গত জুন শেষে শেয়ার ধারণের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমার তথ্য পাওয়া গেছে। 

দেখা গেছে, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী জুন মাসে কোনো বীমা কোম্পানির শেয়ার কিনে আবার বিক্রিও করেছে। একইভাবে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী যখন কিনেছে, তখন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ওই একই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছে। এক্ষেত্রে সব কেনা ও বেচার নিট হিসাব থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের নিট হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত সব বীমা কোম্পানির শেয়ার ধারণের হার প্রকাশ করলে দেখা যাবে, বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার টাকার অঙ্কের পরিমাণ এর তুলনায় বেশি। শুধু বিক্রির হিসাব করা হলে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের অঙ্ক হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের আড়াল করতে এসব নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে শেয়ার কেনাবেচা করছে। এদের বিনিয়োগও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়। বিনিয়োগকারীর ধরণ অনুযায়ী, শেয়ার ধারণের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় সর্বনিম্ন ০.৫২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৭.০২ শতাংশ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ৩০ বীমা কোম্পানি থেকে।

মোট শেয়ার বিবেচনায় সর্বাধিক ১৭.০২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে সাধারণ বীমা খাতের নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স থেকে। আর সর্বনিম্ন ০.৫২ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকে। বিপরীতে মাত্র ৬টি বীমা কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে। এ হার সর্বনিম্ন ০.২৭ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩.৮৯ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা মোট শেয়ারের পরিমাণ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৪.৬৯ শতাংশে নেমেছে যা গত মে মাসের শেষেও ছিল ৩১.৭১ শতাংশ। অন্য সব মাসের মতো গত মাসেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কেউ এ কোম্পানির শেয়ার কিনেছে, আবার কেউ বিক্রি করেছে। এই কেনা ও বেচা শেষে শেয়ার সংখ্যার হিসেবে এ কোম্পানি থেকে নিট প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ৭২ লাখ ৬২ হাজার যার বাজার মূল্য ছিল কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা।

একইভাবে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার মোট ২৩.৪৮ শতাংশ থেকে ১১.১১ শতাংশে নেমেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের থেকে মোট শেয়ার কমেছে প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার, যার বাজার মূল্য ছিল অন্তত ৫৬ কোটি টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (উচ্চ থেকে নিম্ন) রূপালী লাইফ, ইস্টল্যান্ড, প্রগ্রেসিভ লাইফ, ফিনিপ, গ্রীনডেল্টা, প্রাইম লাইফ এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।

মোট শেয়ার বিবেচনায় ৩ থেকে সোয়া ৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (উচ্চ থেকে নিম্ন) রিপাবলিক, এক্সপ্রেস, সোনারবাংলা, তাকাফুল, পপুলার লাইফ, মেঘনা লাইফ, ঢাকা, দেশ জেনারেল, সিটি জেনারেল, কন্টিনেন্টাল এবং ক্রীস্টাল ইন্স্যুরেন্স থেকে। এছাড়া পূরবী, প্যারামাউন্ট এবং ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ২ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত। ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ফারইস্ট লাইফ, জনতা, মার্কেন্টাইল, ইস্টার্ন এবং রূপালী লাইফ থেকে। পিপলস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকেও কিছুটা করে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে।

বিপরীতে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে বীমা কোম্পানিটির মোট শেয়ার বিবেচনায় ৩.৮৯ শতাংশ। গত মে শেষে বীমা কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ার ধারণের হার ছিল ১০.৬৯ শতাংশ, যা জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৫৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।

এছাড়া এশিয়া ও নিটল ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে মোটের ২ শতাংশ করে। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে ০.৯৫ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সে ০.৩৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে ০.২৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে। টাকার অঙ্কে সর্বাধিক বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা ও বেচা শেষে নিট ৯৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে। একইভাবে নিট অন্তত ৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স থেকে। সন্ধানী লাইফ থেকে ৫৬ কোটি টাকার, নর্দার্ন থেকে ৪০ কোটি টাকার, পপুলার লাইফ থেকে ২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে।

জুলাই মাসের ১৫ তারিখের পরও যেসব বীমা কোম্পানি এখনো শেয়ার ধারণের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেনি, সেগুলো হলো- অগ্রণী, গেতাবাল, ইসলামিক, কর্ণফূলী, পদ্মা লাইফ, প্রগ্রতি লাইফ, প্রাইম এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ার ধারণের হার প্রকাশ করা এশিয়া প্যাসিফিক, সেন্ট্রাল, ন্যাশনাল লাইফ, পাইওনিয়া এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স জানিয়েছে, গত মে মাসের তুলনায় জুনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

প্রসঙ্গত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্রোকার ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ডসহ প্রথাগত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাইরে দেশের শেয়ারবাজারে নামসর্বস্ব উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান বর্তমানে শেয়ার কেনাবেচা করছে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের আড়াল করতে এসব নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে শেয়ার কেনাবেচা করছে। তাদের বিনিয়োগও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়।

সূত্র: সমকাল

শেয়ার করুন

x
English Version

বীমা খাত থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা

আপডেট: ১১:২২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলতি বছরের জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছেন। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ অন্তত ৫০০ কোটি। ৩০ বীমা কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমার হিসাব পর্যালোচনায় এ তথ্য মিলেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৫০ কোম্পানির মধ্যে ৪১ বিনিয়োগকারীর ধরন অনুযায়ী গত জুন শেষে শেয়ার ধারণের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমার তথ্য পাওয়া গেছে। 

দেখা গেছে, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী জুন মাসে কোনো বীমা কোম্পানির শেয়ার কিনে আবার বিক্রিও করেছে। একইভাবে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী যখন কিনেছে, তখন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ওই একই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছে। এক্ষেত্রে সব কেনা ও বেচার নিট হিসাব থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের নিট হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত সব বীমা কোম্পানির শেয়ার ধারণের হার প্রকাশ করলে দেখা যাবে, বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার টাকার অঙ্কের পরিমাণ এর তুলনায় বেশি। শুধু বিক্রির হিসাব করা হলে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের অঙ্ক হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের আড়াল করতে এসব নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে শেয়ার কেনাবেচা করছে। এদের বিনিয়োগও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়। বিনিয়োগকারীর ধরণ অনুযায়ী, শেয়ার ধারণের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় সর্বনিম্ন ০.৫২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৭.০২ শতাংশ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ৩০ বীমা কোম্পানি থেকে।

মোট শেয়ার বিবেচনায় সর্বাধিক ১৭.০২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে সাধারণ বীমা খাতের নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স থেকে। আর সর্বনিম্ন ০.৫২ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকে। বিপরীতে মাত্র ৬টি বীমা কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে। এ হার সর্বনিম্ন ০.২৭ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩.৮৯ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা মোট শেয়ারের পরিমাণ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৪.৬৯ শতাংশে নেমেছে যা গত মে মাসের শেষেও ছিল ৩১.৭১ শতাংশ। অন্য সব মাসের মতো গত মাসেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কেউ এ কোম্পানির শেয়ার কিনেছে, আবার কেউ বিক্রি করেছে। এই কেনা ও বেচা শেষে শেয়ার সংখ্যার হিসেবে এ কোম্পানি থেকে নিট প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ৭২ লাখ ৬২ হাজার যার বাজার মূল্য ছিল কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা।

একইভাবে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার মোট ২৩.৪৮ শতাংশ থেকে ১১.১১ শতাংশে নেমেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের থেকে মোট শেয়ার কমেছে প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার, যার বাজার মূল্য ছিল অন্তত ৫৬ কোটি টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (উচ্চ থেকে নিম্ন) রূপালী লাইফ, ইস্টল্যান্ড, প্রগ্রেসিভ লাইফ, ফিনিপ, গ্রীনডেল্টা, প্রাইম লাইফ এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।

মোট শেয়ার বিবেচনায় ৩ থেকে সোয়া ৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (উচ্চ থেকে নিম্ন) রিপাবলিক, এক্সপ্রেস, সোনারবাংলা, তাকাফুল, পপুলার লাইফ, মেঘনা লাইফ, ঢাকা, দেশ জেনারেল, সিটি জেনারেল, কন্টিনেন্টাল এবং ক্রীস্টাল ইন্স্যুরেন্স থেকে। এছাড়া পূরবী, প্যারামাউন্ট এবং ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ২ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত। ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ফারইস্ট লাইফ, জনতা, মার্কেন্টাইল, ইস্টার্ন এবং রূপালী লাইফ থেকে। পিপলস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকেও কিছুটা করে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে।

বিপরীতে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে বীমা কোম্পানিটির মোট শেয়ার বিবেচনায় ৩.৮৯ শতাংশ। গত মে শেষে বীমা কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ার ধারণের হার ছিল ১০.৬৯ শতাংশ, যা জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৫৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।

এছাড়া এশিয়া ও নিটল ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে মোটের ২ শতাংশ করে। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে ০.৯৫ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সে ০.৩৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে ০.২৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে। টাকার অঙ্কে সর্বাধিক বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা ও বেচা শেষে নিট ৯৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে। একইভাবে নিট অন্তত ৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স থেকে। সন্ধানী লাইফ থেকে ৫৬ কোটি টাকার, নর্দার্ন থেকে ৪০ কোটি টাকার, পপুলার লাইফ থেকে ২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে।

জুলাই মাসের ১৫ তারিখের পরও যেসব বীমা কোম্পানি এখনো শেয়ার ধারণের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেনি, সেগুলো হলো- অগ্রণী, গেতাবাল, ইসলামিক, কর্ণফূলী, পদ্মা লাইফ, প্রগ্রতি লাইফ, প্রাইম এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ার ধারণের হার প্রকাশ করা এশিয়া প্যাসিফিক, সেন্ট্রাল, ন্যাশনাল লাইফ, পাইওনিয়া এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স জানিয়েছে, গত মে মাসের তুলনায় জুনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

প্রসঙ্গত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্রোকার ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ডসহ প্রথাগত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাইরে দেশের শেয়ারবাজারে নামসর্বস্ব উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান বর্তমানে শেয়ার কেনাবেচা করছে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের আড়াল করতে এসব নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে শেয়ার কেনাবেচা করছে। তাদের বিনিয়োগও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়। সূত্র: সমকাল

খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জুন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছেন। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ অন্তত ৫০০ কোটি। ৩০ বীমা কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমার হিসাব পর্যালোচনায় এ তথ্য মিলেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৫০ কোম্পানির মধ্যে ৪১ বিনিয়োগকারীর ধরন অনুযায়ী গত জুন শেষে শেয়ার ধারণের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমার তথ্য পাওয়া গেছে। 

দেখা গেছে, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী জুন মাসে কোনো বীমা কোম্পানির শেয়ার কিনে আবার বিক্রিও করেছে। একইভাবে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী যখন কিনেছে, তখন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ওই একই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছে। এক্ষেত্রে সব কেনা ও বেচার নিট হিসাব থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের নিট হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত সব বীমা কোম্পানির শেয়ার ধারণের হার প্রকাশ করলে দেখা যাবে, বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার টাকার অঙ্কের পরিমাণ এর তুলনায় বেশি। শুধু বিক্রির হিসাব করা হলে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের অঙ্ক হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের আড়াল করতে এসব নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে শেয়ার কেনাবেচা করছে। এদের বিনিয়োগও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়। বিনিয়োগকারীর ধরণ অনুযায়ী, শেয়ার ধারণের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় সর্বনিম্ন ০.৫২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৭.০২ শতাংশ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ৩০ বীমা কোম্পানি থেকে।

মোট শেয়ার বিবেচনায় সর্বাধিক ১৭.০২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে সাধারণ বীমা খাতের নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স থেকে। আর সর্বনিম্ন ০.৫২ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকে। বিপরীতে মাত্র ৬টি বীমা কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে। এ হার সর্বনিম্ন ০.২৭ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩.৮৯ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা মোট শেয়ারের পরিমাণ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৪.৬৯ শতাংশে নেমেছে যা গত মে মাসের শেষেও ছিল ৩১.৭১ শতাংশ। অন্য সব মাসের মতো গত মাসেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কেউ এ কোম্পানির শেয়ার কিনেছে, আবার কেউ বিক্রি করেছে। এই কেনা ও বেচা শেষে শেয়ার সংখ্যার হিসেবে এ কোম্পানি থেকে নিট প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ৭২ লাখ ৬২ হাজার যার বাজার মূল্য ছিল কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা।

একইভাবে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার মোট ২৩.৪৮ শতাংশ থেকে ১১.১১ শতাংশে নেমেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের থেকে মোট শেয়ার কমেছে প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার, যার বাজার মূল্য ছিল অন্তত ৫৬ কোটি টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (উচ্চ থেকে নিম্ন) রূপালী লাইফ, ইস্টল্যান্ড, প্রগ্রেসিভ লাইফ, ফিনিপ, গ্রীনডেল্টা, প্রাইম লাইফ এবং ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।

মোট শেয়ার বিবেচনায় ৩ থেকে সোয়া ৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে (উচ্চ থেকে নিম্ন) রিপাবলিক, এক্সপ্রেস, সোনারবাংলা, তাকাফুল, পপুলার লাইফ, মেঘনা লাইফ, ঢাকা, দেশ জেনারেল, সিটি জেনারেল, কন্টিনেন্টাল এবং ক্রীস্টাল ইন্স্যুরেন্স থেকে। এছাড়া পূরবী, প্যারামাউন্ট এবং ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ার বিবেচনায় প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ২ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত। ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ফারইস্ট লাইফ, জনতা, মার্কেন্টাইল, ইস্টার্ন এবং রূপালী লাইফ থেকে। পিপলস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকেও কিছুটা করে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে।

বিপরীতে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে বীমা কোম্পানিটির মোট শেয়ার বিবেচনায় ৩.৮৯ শতাংশ। গত মে শেষে বীমা কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ার ধারণের হার ছিল ১০.৬৯ শতাংশ, যা জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৫৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।

এছাড়া এশিয়া ও নিটল ইন্স্যুরেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে মোটের ২ শতাংশ করে। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে ০.৯৫ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সে ০.৩৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে ০.২৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে। টাকার অঙ্কে সর্বাধিক বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা ও বেচা শেষে নিট ৯৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে। একইভাবে নিট অন্তত ৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স থেকে। সন্ধানী লাইফ থেকে ৫৬ কোটি টাকার, নর্দার্ন থেকে ৪০ কোটি টাকার, পপুলার লাইফ থেকে ২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে।

জুলাই মাসের ১৫ তারিখের পরও যেসব বীমা কোম্পানি এখনো শেয়ার ধারণের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেনি, সেগুলো হলো- অগ্রণী, গেতাবাল, ইসলামিক, কর্ণফূলী, পদ্মা লাইফ, প্রগ্রতি লাইফ, প্রাইম এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ার ধারণের হার প্রকাশ করা এশিয়া প্যাসিফিক, সেন্ট্রাল, ন্যাশনাল লাইফ, পাইওনিয়া এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স জানিয়েছে, গত মে মাসের তুলনায় জুনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

প্রসঙ্গত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্রোকার ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ডসহ প্রথাগত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাইরে দেশের শেয়ারবাজারে নামসর্বস্ব উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান বর্তমানে শেয়ার কেনাবেচা করছে। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের আড়াল করতে এসব নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে শেয়ার কেনাবেচা করছে। তাদের বিনিয়োগও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়।

সূত্র: সমকাল