০৭:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে জি-২০ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১৩৬ বার দেখা হয়েছে

বিশ্বব্যাপী যে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদেরকে অধিকতর সচেতন হতে হবে। এই সংকট নিরসনে অবশ্যই আমাদের সকলকে আন্তরিক হয়ে সমাধান করতে হবে। যেখানে জি-২০ জোটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অচিরেই বাংলাদেশ জি-২০ জোটে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভারতের গুজরাটে অবস্থিত জি-২০ সামিটে যোগ দিয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। গুজরাটের গান্ধীনগরে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের শিল্পোন্নত ২০টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোট জি-২০। বৈশ্বিক অর্থনীতির মূল বিষয়সমূহের ওপর আলোচনার জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যেই এই জোট গঠিত হয়।

তিনি বলেন, জি-২০ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ার এক অনন্য সুযোগ। আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে অংশ নেবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯৯ কোটি ডলার

বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী ও দৃঢ় নেতৃত্বে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৩৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৪তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।

এবারের জি-২০ সামিটের স্লোগান করা হয়েছে, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। আয়োজক দেশ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে জি-২০ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে’

আপডেট: ০৬:৩৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

বিশ্বব্যাপী যে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদেরকে অধিকতর সচেতন হতে হবে। এই সংকট নিরসনে অবশ্যই আমাদের সকলকে আন্তরিক হয়ে সমাধান করতে হবে। যেখানে জি-২০ জোটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অচিরেই বাংলাদেশ জি-২০ জোটে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভারতের গুজরাটে অবস্থিত জি-২০ সামিটে যোগ দিয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। গুজরাটের গান্ধীনগরে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের শিল্পোন্নত ২০টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোট জি-২০। বৈশ্বিক অর্থনীতির মূল বিষয়সমূহের ওপর আলোচনার জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যেই এই জোট গঠিত হয়।

তিনি বলেন, জি-২০ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ার এক অনন্য সুযোগ। আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে অংশ নেবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯৯ কোটি ডলার

বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী ও দৃঢ় নেতৃত্বে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৩৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৪তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।

এবারের জি-২০ সামিটের স্লোগান করা হয়েছে, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। আয়োজক দেশ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

ঢাকা/এসএ