ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেতে শামীমার আপিল খারিজ
- আপডেট: ১০:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে
যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে ইসলামি স্টেট (আইএস)-এ যোগ দেওয়া শামিমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আপিল খারিজ করেছে দেশটির একটি আদালত। নভেম্বরে পাঁচ দিনের শুনানির ভিত্তিতে বুধবার এই রায় দিয়েছেন বিচারক রবার্ট জে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বর্তমানে ২৩ বছর বয়সী শামী ২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে দুই বন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেন। আদালতের এই রায় ছিল তার নাগরিকত্ব বাতিল আইনসম্মত ছিল কিনা। তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন কিনা, এই বিষয়ের সঙ্গে রায়ের কোনও সম্পর্ক নেই।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘আইএস বধূ’ হিসেবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শামীমাকে নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। ওই সময় তিনি সন্তান প্রসবে নিজ দেশে ফিরতে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।
ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। পরের মাসে সিরিয়ায় একটি শরণার্থী শিবিরে তার নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে শামীমা বলেছিলেন, আগেও তার দুই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। উভয়েই নবজাতক ছিল।
২০১৯ সালের জুন মাসে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানান। আপিল করতে যুক্তরাজ্য ফিরে আসার আবেদন করলে সরকার তা খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহত ৫০ হাজার ছাড়ালো
২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত শামীমাকে দেশে আসতে অনুমতি দেওয়া উচিত বলে রায় দেয়। পরের বছর সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্ত পাল্টে দেয়। বলায়, আপিল কোর্টের রায়ে চারটি ভুল ছিল।
এরপর থেকে বেশ কয়েক বার প্রকাশ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। সর্বশেষ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি তথ্যচিত্রেও তিনি হাজির হয়েছিলেন।
মানবাধিকারকর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞরা শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আসছেন। তাদের দাবি, এর ফলে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বেন এবং তার নিরপেক্ষ আপিলের অধিকার ক্ষুন্ণ হতে পারে।
ঢাকা/এসএম