১০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, কোম্পানিটি ‘চীনে অব্যাহত চালান পাঠানোর’ অংশ হিসেবে লাখো ডলার মূল্যের জ্বালানি তেল কিনেছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফর শেষের পরপরই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সফরে জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, বাণিজ্যমন্ত্রী গেইল রেইমন্ডো এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে ইরান নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কি না, এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দেব প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, দুজন তাঁদের সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছিলেন, এর বাইরে তাঁদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই।

তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে আসছে ভারত। দেশটির কোম্পানিগুলো ইরান থেকে জ্বালানি তেল কেনা থেকে বিরত রয়েছে। টিবালাজি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের এই অভিযোগ এসেছে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে টিবালাজি নিজেকে ‘বর্ধমান পেট্রোকেমিক্যাল ট্রেডিং কোম্পানি’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। কোম্পানিটি ভারতের জন্য নয় বরং চীনের জন্য ইরানি পণ্য আমদানি করে বলে মনে করা হচ্ছে।

পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিষয়ে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছায় ইরান। এরপর দেশটির ওপর আরোপিত অধিকাংশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং এসব নিষেধাজ্ঞা আবারও আরোপ করেন। ইরানও তার পারমাণবিক কর্মসূচি আবার চালু করে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেইন নেলসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অবৈধ তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল বিক্রি কঠোরভাবে সীমিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তেহরান। তিনি সতর্ক করে বলেন, পুরোপুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে পরস্পরের ফিরে আসার বিষয়ে যতক্ষণ ইরান অস্বীকৃতি জানিয়ে যাবে, ওয়াশিংটন এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাবে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, নিষেধাজ্ঞার অধীন আটটি কোম্পানি অথবা যেসব কোম্পানিতে তাদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ মুনাফা আছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সব সম্পদ ও মুনাফা অবশ্যই জব্দ করা হবে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি) এ রিপোর্ট করা হবে।

এসব কোম্পানির কোনো সম্পদের ওপর যদি কোনো মার্কিনের নিয়ন্ত্রণ থেকে থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটা প্রয়োগ করা হবে। নির্দিষ্ট কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির সম্পৃক্ততা থাকলে, তাঁরাও নিষেধাজ্ঞা ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মুখোমুখি হবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও বলছে, টিবালাজি চীনে পাঠানোর জন্য ট্রিলিয়ান্স পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে মিথানল ও বেস অয়েলসহ জ্বালানি পণ্য কিনেছে। ট্রিলিয়ান্সের ওপর আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হংকংভিত্তিক কোম্পানিটির ইরান, চীন ও আমিরাতে শাখা আছে।

আরও পড়ুন: তীর্থযাত্রীদের নিয়ে পুকুরে ট্রাক্টর, নিহত ২৬

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: ০২:৫১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, কোম্পানিটি ‘চীনে অব্যাহত চালান পাঠানোর’ অংশ হিসেবে লাখো ডলার মূল্যের জ্বালানি তেল কিনেছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফর শেষের পরপরই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সফরে জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, বাণিজ্যমন্ত্রী গেইল রেইমন্ডো এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে ইরান নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কি না, এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দেব প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, দুজন তাঁদের সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছিলেন, এর বাইরে তাঁদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই।

তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে আসছে ভারত। দেশটির কোম্পানিগুলো ইরান থেকে জ্বালানি তেল কেনা থেকে বিরত রয়েছে। টিবালাজি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের এই অভিযোগ এসেছে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে টিবালাজি নিজেকে ‘বর্ধমান পেট্রোকেমিক্যাল ট্রেডিং কোম্পানি’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। কোম্পানিটি ভারতের জন্য নয় বরং চীনের জন্য ইরানি পণ্য আমদানি করে বলে মনে করা হচ্ছে।

পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিষয়ে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছায় ইরান। এরপর দেশটির ওপর আরোপিত অধিকাংশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং এসব নিষেধাজ্ঞা আবারও আরোপ করেন। ইরানও তার পারমাণবিক কর্মসূচি আবার চালু করে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেইন নেলসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অবৈধ তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল বিক্রি কঠোরভাবে সীমিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তেহরান। তিনি সতর্ক করে বলেন, পুরোপুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে পরস্পরের ফিরে আসার বিষয়ে যতক্ষণ ইরান অস্বীকৃতি জানিয়ে যাবে, ওয়াশিংটন এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাবে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, নিষেধাজ্ঞার অধীন আটটি কোম্পানি অথবা যেসব কোম্পানিতে তাদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ মুনাফা আছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সব সম্পদ ও মুনাফা অবশ্যই জব্দ করা হবে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি) এ রিপোর্ট করা হবে।

এসব কোম্পানির কোনো সম্পদের ওপর যদি কোনো মার্কিনের নিয়ন্ত্রণ থেকে থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটা প্রয়োগ করা হবে। নির্দিষ্ট কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির সম্পৃক্ততা থাকলে, তাঁরাও নিষেধাজ্ঞা ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মুখোমুখি হবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও বলছে, টিবালাজি চীনে পাঠানোর জন্য ট্রিলিয়ান্স পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে মিথানল ও বেস অয়েলসহ জ্বালানি পণ্য কিনেছে। ট্রিলিয়ান্সের ওপর আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হংকংভিত্তিক কোম্পানিটির ইরান, চীন ও আমিরাতে শাখা আছে।

আরও পড়ুন: তীর্থযাত্রীদের নিয়ে পুকুরে ট্রাক্টর, নিহত ২৬

ঢাকা/এসএ