০৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, টিকা পেতে সমস্যা হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১২৯ বার দেখা হয়েছে

সেরাম ইন্সটিটিউট তাদের তৈরি টিকা এখন ভারতের বাইরে রপ্তানি করতে পারবে না এমন খবর প্রকাশ হবার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়ও তাহলেও তাদের সাথে বাংলাদেশের যে উষ্ণ সম্পর্ক, তাতে আমাদের টিকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। কী হয়েছে তারা জানার চেষ্টা করছে। আমরা এ নিয়ে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।

বাংলাদেশ আগামী মাসের শুরুতে যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে সেটি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকেই পাওয়ার কথা। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হিসেবে পুরো তিন কোটি টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬শ কোটি টাকা সেরামের অ্যাকাউন্টে রোববার জমাও দেয়ার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।

কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়াল্লার বরাত দিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এবং ভারত ও বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তারা এই মুহূর্তে টিকা রপ্তানি করতে পারছে না।

জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য রোববার অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেয় ভারত। তবে আপাতত এই টিকা রপ্তানি করা যাবে না- এমন শর্তেই এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান।

বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়াল্লা বলেন, ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোববার ভ্যাকসিনটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে এক্ষেত্রে তারা শর্ত দিয়েছে যে, সেরাম ইনস্টিটিউট আপাতত এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে না।

তিনি জানান, এমনকি সরকার ছাড়া স্থানীয় বাজারেও এই টিকা সেরাম ইনস্টিটিউট বিক্রি করতে পারবে না বলেও শর্ত দিয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। করোনার ঝুঁকিতে থাকা ভারতীয়দের সুরক্ষিত রাখতেই দেশটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করে পুনাওয়াল্লা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্টাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদক ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলো অক্সফোর্ডের এই টিকার ১০০ কোটি ডোজ কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। 

শেয়ার করুন

x
English Version

ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, টিকা পেতে সমস্যা হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০১:৪১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

সেরাম ইন্সটিটিউট তাদের তৈরি টিকা এখন ভারতের বাইরে রপ্তানি করতে পারবে না এমন খবর প্রকাশ হবার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়ও তাহলেও তাদের সাথে বাংলাদেশের যে উষ্ণ সম্পর্ক, তাতে আমাদের টিকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। কী হয়েছে তারা জানার চেষ্টা করছে। আমরা এ নিয়ে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।

বাংলাদেশ আগামী মাসের শুরুতে যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে সেটি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকেই পাওয়ার কথা। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হিসেবে পুরো তিন কোটি টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬শ কোটি টাকা সেরামের অ্যাকাউন্টে রোববার জমাও দেয়ার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।

কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়াল্লার বরাত দিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এবং ভারত ও বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তারা এই মুহূর্তে টিকা রপ্তানি করতে পারছে না।

জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য রোববার অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেয় ভারত। তবে আপাতত এই টিকা রপ্তানি করা যাবে না- এমন শর্তেই এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান।

বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়াল্লা বলেন, ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোববার ভ্যাকসিনটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে এক্ষেত্রে তারা শর্ত দিয়েছে যে, সেরাম ইনস্টিটিউট আপাতত এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে না।

তিনি জানান, এমনকি সরকার ছাড়া স্থানীয় বাজারেও এই টিকা সেরাম ইনস্টিটিউট বিক্রি করতে পারবে না বলেও শর্ত দিয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। করোনার ঝুঁকিতে থাকা ভারতীয়দের সুরক্ষিত রাখতেই দেশটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করে পুনাওয়াল্লা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্টাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদক ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলো অক্সফোর্ডের এই টিকার ১০০ কোটি ডোজ কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে।