মজুদ পণ্য ও স্থায়ী সম্পদের হিসাবে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতারণা
- আপডেট: ০১:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪১৮৭ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের মজুদ পণ্য ও স্থায়ী সম্পদের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক। যে কোম্পানিটিতে ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে অবন্টিত লভ্যাংশ থাকার পরেও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে তা হস্তান্তর করা হয়নি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে ২০২৩ সালের ৩০ জুন দেখানো মজুদ পণ্যের অস্তিত্ব ও সঠিক মূল্য নিয়ে তারা নিশ্চিত না। কারন তাদেরকে দেরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে মজুদ পণ্যের সত্যতা যাচাইয়ে নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার অন্য কোন বিকল্প প্রয়োগ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সম্পদ কেনার তারিখ, ব্যয়, অবচয় হার, অবচয় শেষে মূল্য ইত্যাদি বিষয়ে ফিক্সড অ্যাসেট রেজিস্টার নিরীক্ষককে দিতে পারেনি। ফলে নিরীক্ষক স্থায়ী সম্পদের মূল্যের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবন্টিত লভ্যাংশ হস্তান্তর করেনি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: লাভেলো আইসক্রিমের আয় ৭৩ শতাংশ বেড়েছে
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজে ২৪ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যা ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে অপ্রদানকৃত অবস্থায় থাকার পরেও বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর করেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৯.৭৪ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৩৯.৫০ টাকায়।
বিজনেসজার্নাল/এআর