মনিটরিং ও জবাবদিহিতার ভয়ে পুঁজিবাজারে আসছে না বিদেশি কোম্পানিগুলো
- আপডেট: ০১:১২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
- / ৪২৭৫ বার দেখা হয়েছে
তথ্য প্রদানে আইনী বাধ্যবাধকতা, জবাবদিহিতা ও জোরদার মনিটরিংয়ের অযুহাতে শেয়ার ব্যবসা করলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বহুজাতিক কোম্পানিগুলো।
সম্প্রতি একটি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এমন তথ্য জানিয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে বিএসইসি জানিয়েছে, বাংলাদেশে ৪২টি বড় বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসা করলেও এর মধ্যে ১২টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। বিএসইসি বলছে, তারা বিদেশি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করলেও অধিকতর মনিটরিং এবং তথ্য প্রদানে আইনগত বাধ্যবাধতার কারণ দেখিয়ে তারা তালিকাভুক্ত হতে চায় না।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সেটি কার্যবিবরণীতে উঠে আসে, যা বৃহস্পতিবারের (২৭ এপ্রিল) বৈঠকে অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কমিটির গত বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়। সেখানে সংসদীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, আইএমইডি বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, আইনের সংশ্লিষ্ট কিছু ধারা সংশোধন করে অনাগ্রহী কোম্পানিগুলোকে পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত করার জন্য কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
কমিশনার আরও জানান, স্টক মার্কেটে ২০১৮ সাল থেকে জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত পুঁজি সঞ্চায়নের পরিমাণ ৫৪ হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যার মধ্যে ইক্যুইটি ও বন্ডের অনুপাত ১:১৫।
বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেছেন, ‘দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখার জন্য দরকার পর্যাপ্ত বিনিয়োগ, যার জন্য প্রয়োজন পুঁজি। এ পুঁজি সংগ্রহের মাধ্যম হচ্ছে ক্যাপিটাল মার্কেট।’ তিনি বলেন, ‘দেশের ক্যাপিটাল মার্কেট তেমন শক্তিশালী না হওয়ায় ব্যাংক থেকেও অর্থ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।’
ঢাকা/এসআর