মার্জিন ঋণ গ্রহণে বিনিয়োগ রিটার্ন বাড়ে: বিআইসিএম
- আপডেট: ১০:০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৪১৯১ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ নিলে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা বাড়ে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এ গবেষণা করেছে।
বিআইসিএমের মাল্টিপারপাস হলে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-১৬’ গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তামান্না ইসলাম গবেষণাটি উপস্থাপন করেন। গবেষণা শিরোনাম হচ্ছে ‘বিনিয়োগ আচরণ এবং কর্মক্ষমতার ওপর মার্জিন ঋণের প্রভাব: বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের অন্তর্দৃষ্টি’।
তামান্না ইসলাম গবেষণায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আচরণ এবং কর্মক্ষমতার ওপর মার্জিন ঋণের প্রভাব পরীক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান।
তামান্না বলেন, ‘বিনিয়োগের আকার মার্জিন ঋণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই ঋণ নেওয়ার পর ট্রেডিংয়ের ফ্রিকোয়েন্সি কমে যায়। মার্জিন ঋণের পরিমাণ রিটার্নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পোর্টফোলিওর আকার মার্জিন ঋণের পরিমাণ দ্বারা প্রভাবিত হয়।’
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন এবং রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মুনির আহমেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফেলো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া।
বিআইসিএমের মাল্টিপারপাস হলে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-১৬’ গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়।
শেয়ারবাজারে মার্জিন ঋণের প্রভাবে নিয়ে একমাত্র বিআইসিএমই গবেষণা করেছে বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মাহমুদা আক্তার।
মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বিআইসিএমের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কাজের মাধ্যমে শেয়ারবাজার উন্নয়নে অবদান রাখছে। দেশের শেয়ারবাজারের পরিপ্রেক্ষিতে মার্জিন ঋণের ওপর এ ধরনের গবেষণা দেশে প্রথম। গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।’
তবে গবেষণার বিষয় ও মাঠ পর্যায়ে প্রাপ্ত ফলাফল সাংঘর্ষিক বলে মত দেন সেমিনারের আলোচক আল-আমিন। আরও বেশি সময় নিয়ে গবেষণা পরিচালনার পরামর্শ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।
বিআইসিএমের মাল্টিপারপাস হলে বৃহস্পতিবার ‘বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-১৬’ গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের হালনাগাদ তথ্য জানতে বিএসইসির চিঠি
আল-আমিন বলেন, ‘গবেষণাটির লিটারেচার রিভিউ ও ফাইন্ডিং সাংঘর্ষিক। এখানে প্র্যাকটিক্যাল আরও অনেক বিষয় আনলে ভালো হতো। আরও কিছু বিষয় যুক্ত করে গবেষণার সময়সীমা বাড়িয়ে ফলাফল পুনরায় পরীক্ষা করা যেতে পারে।’
তিনি গবেষণায় মাল্টিনমিয়াল লজিস্টিক রিগ্রেশন মডেলের ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেডের এমডি মুনির আহমেদ বলেন, ‘মার্জিন ঋণের প্রভাব নিয়ে মার্কেটে যারা আছেন তাদের চিন্তা করা উচিত। কেন দেব, কী কারণে দেব— সে বিষয়টাও ভাবা উচিত। এটা চিন্তা করলে সবার জন্য ভালো হবে।’
ঢাকা/এসআর