০৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গড় লেনদেন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ৪২৩২ বার দেখা হয়েছে

দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। একইসঙ্গে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে গ্রাহকের পরিমাণ। চলতি বছরের মার্চ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়ল মাসটি। আর প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন মাধ্যমে মোট ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। পরের মাস আগস্টে লেনদেন হয়েছিল ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আর চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা, পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে লেনদেন হয় ৯৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। আর সবশেষ মার্চে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন।

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫২ হাজার ১৪১টি। এর ফলে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৩টি।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনাকাটা। এছাড়া প্রবাসী আয়, সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন গ্রাহক।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য কমেছে ৩১ শতাংশ

আলোচিত সময়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়, বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। আর পরিসেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় লেনদেন হয় ৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শুরু হয়। এর পর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ, ইউক্যাশসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গড় লেনদেন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১১:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। একইসঙ্গে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে গ্রাহকের পরিমাণ। চলতি বছরের মার্চ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়ল মাসটি। আর প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন মাধ্যমে মোট ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। পরের মাস আগস্টে লেনদেন হয়েছিল ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আর চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা, পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে লেনদেন হয় ৯৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। আর সবশেষ মার্চে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন।

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫২ হাজার ১৪১টি। এর ফলে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৩টি।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনাকাটা। এছাড়া প্রবাসী আয়, সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন গ্রাহক।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য কমেছে ৩১ শতাংশ

আলোচিত সময়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়, বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। আর পরিসেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় লেনদেন হয় ৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শুরু হয়। এর পর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ, ইউক্যাশসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।

ঢাকা/এসএ