যেসব লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্ক হওয়া উচিত
- আপডেট: ০৬:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
- / ৪১৭৯ বার দেখা হয়েছে
ব্যস্ত জীবনে খুব বেশি নিজের যত্ন নেয়া হয়ে উঠে না অনেকের। শরীরে ছোট কিছু অস্বস্তি দেখা দিলেও গুরুত্ব দেয়া হয় না। সমস্যা যখন বড় হয় তখন অনেকটা বাধ্য হয়েই চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বয়স ৪০ পার হলেই শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেয়া উচিত। বার্ধক্যে সুস্থ থাকার জন্য এই সময়েই পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া জরুরি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে আগে থেকেই সতর্ক হওয়ার জন্য বলা হয়। এবার তাহলে কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক, যা থেকে মৃত্যু হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক অর্গানাইজেশন মেরি কুরি এক প্রতিবেদনে বলছে, দুর্বল ও ক্লান্ত বোধ করা, বেশি ঘুমানো বা নির্ঘুম কাটানো, কম খাওয়া ও পান করা, মূত্রাশয় বা অন্ত্রের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, ওজন কমা বা বেড়ে যাওয়া, বিভ্রান্তি বা প্রলাপ এবং অস্থির বা উত্তেজিত হওয়ার মতো লক্ষণ হঠাৎ করে দেখ দিলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এছাড়া ত্বকের পরিবর্তনের দিকে নজর রাখা যেতে পারে। স্কিন টোনযুক্ত মানুষদের দেখতে কিছুটা নীল বর্ণ বা অন্যান্য রঙের দাগ দাগ হতে পারে। গাঢ় ত্বকের টোনযুক্ত ব্যক্তিদের নীল দেখতে কঠিন হতে পারে। তাদের ঠোঁট, নাক, গাল, কান, জিহ্বা বা তাদের মুখের ভেতরে দেখলেই সহজে বুঝতে পারা যাবে। এ ত্বকের মানুষদের ত্বক স্বাভাবিকের থেকে গাঢ়, বেগুনি বা বাদামি রঙেরও দেখাতে পারে।
তবে সবার যে ত্বকের এই লক্ষণ বা পরিবর্তন অনুভব হবে, তা নয়। অসুস্থতা না থাকলেও অনেকের মধ্যে এসব লক্ষণ থাকতে পারে। এসব লক্ষণ থাকলেও তার অসুস্থতার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।
মেডিকেল নিউজ টুডে এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কয়েকটি লক্ষণ নিয়েও আলোচনা করেছে। সেসব লক্ষণ থেকেও মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ক্রনিক পেটের সমস্যা : পুরুষদের পেটের সমস্যা হলেও সতর্ক হওয়া জরুরি। দীর্ঘদিন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের মধ্যে রক্তপাত, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা বা কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এসব লক্ষণ থাকলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমা : হঠাৎ করেই অনেকের ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার মতো দেখা যায়। এমনটা সাধারণ ক্যানসার, হাইপারথাইরয়েডিজম বা হজমজনিত রোগের লক্ষণ হয়ে থাকে। এছাড়া হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা বিপাকীয় সমস্যার সঙ্গেও জড়িত।
বুকে ব্যথা : অনেক সময় বুকে ব্যথা অনুভব হলে গ্যাসের সমস্যা ভেবে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বুকে ব্যথার মতো সমস্যা কখনোই হালকা মনে করা ঠিক নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুকে ব্যথা হার্টের সমস্যার লক্ষণ হয়। এ জন্য বুকে ব্যথা হলে ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ আলাদা
মূত্র রক্তপাত : বার বার প্রস্রাব বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। মূত্রনালির সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর কিংবা প্রস্টেট ক্যানসারের আভাস দিয়ে থাকে এসব লক্ষণ।
শ্বাসকষ্ট : শ্বাসকষ্টও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হয়ে থাকে। হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)এর মতো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ধূমপায়ীদের এ রকম সমস্যা হলে সচেতন হওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে।
ঢাকা/এসএম