০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রামেকের করোনা ইউনিটে প্রাণ ঝরল আরও ১৭ জনের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৩৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আরও ১৭ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান। তাদের মধ্যে করোনায় মারা গেছেন ৫ জন। ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হয়ে অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন দুজন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনার ৫ জন, রাজশাহীর ৪ জন, নাটোরের ৩ জন, কুষ্টিয়ার দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নওগাঁর একজন এবং বগুড়ার একজন মারা গেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব`

তাদের মধ্যে পাবনার দুজন, রাজশাহীর একজন, নাটোরের একজন এবং বগুড়ার একজন করে মোট ৫ জন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণে। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাবনার তিনজন, রাজশাহীর দুজন, নাটোরের দুজন, কুষ্টিয়ার দুজন এবং নওগাঁর একজনসহ মোট ১০ জন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় রাজশাহীর একজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন করোনা ইউনিটে। যাদের ৬ জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এ ছাড়া  ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫ জন মারা গেছেন হাসপাতালের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন, নিবীড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), ১৫ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে এবং ৩, ১৬ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১৩ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন রাজশাহীর ১৮৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫ জন, নাটোরের ৭৩ জন, নওগাঁর ৩৯ জন, পাবনার ৭৪ জন, কুষ্টিয়ার ১৩ জন, চুয়াডাঙ্গার দুজন এবং সিরাজগঞ্জ জেলার দুজনসহ মোট ৪১৫ জন। ২০ শয্যার আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ১৯ জন। এদের মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ১৯২ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭২ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৫১ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাস ৫২ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন।

এর আগে বুধবার (২৮ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৬৪ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ৪৩৯ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৬ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত প্রাণহানি দাঁড়াল ৫৪০ জনে। এর মধ্যে করোনায় ১৭২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩৩১ জন। বাকি ৩৭ জন করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন। এর আগে গত জুনে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪০৫জন। এর মধ্যে করোনা প্রাণ নিয়েছে ১৮৯  জনের।

গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের জুন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ১৬১ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৫ হাজার ৯২৭ জন। এই ১৪ মাসে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

রামেকের করোনা ইউনিটে প্রাণ ঝরল আরও ১৭ জনের

আপডেট: ১২:০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আরও ১৭ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান। তাদের মধ্যে করোনায় মারা গেছেন ৫ জন। ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হয়ে অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন দুজন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনার ৫ জন, রাজশাহীর ৪ জন, নাটোরের ৩ জন, কুষ্টিয়ার দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নওগাঁর একজন এবং বগুড়ার একজন মারা গেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব`

তাদের মধ্যে পাবনার দুজন, রাজশাহীর একজন, নাটোরের একজন এবং বগুড়ার একজন করে মোট ৫ জন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণে। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাবনার তিনজন, রাজশাহীর দুজন, নাটোরের দুজন, কুষ্টিয়ার দুজন এবং নওগাঁর একজনসহ মোট ১০ জন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় রাজশাহীর একজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন করোনা ইউনিটে। যাদের ৬ জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এ ছাড়া  ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫ জন মারা গেছেন হাসপাতালের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন, নিবীড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), ১৫ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে এবং ৩, ১৬ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১৩ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন রাজশাহীর ১৮৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫ জন, নাটোরের ৭৩ জন, নওগাঁর ৩৯ জন, পাবনার ৭৪ জন, কুষ্টিয়ার ১৩ জন, চুয়াডাঙ্গার দুজন এবং সিরাজগঞ্জ জেলার দুজনসহ মোট ৪১৫ জন। ২০ শয্যার আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ১৯ জন। এদের মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ১৯২ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭২ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৫১ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাস ৫২ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন।

এর আগে বুধবার (২৮ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৬৪ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ৪৩৯ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৬ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত প্রাণহানি দাঁড়াল ৫৪০ জনে। এর মধ্যে করোনায় ১৭২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩৩১ জন। বাকি ৩৭ জন করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন। এর আগে গত জুনে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪০৫জন। এর মধ্যে করোনা প্রাণ নিয়েছে ১৮৯  জনের।

গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের জুন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ১৬১ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৫ হাজার ৯২৭ জন। এই ১৪ মাসে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: