০৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে পশ্চিমাদের শেষ ‘টোটকা’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: রাশিয়ার ব্যাংকিং খাতকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে সরিয়ে দিতে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে পশ্চিমারা কঠোর কিছু নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। তবে এখনো সবচেয়ে বড় আর্থিক হাতিয়ারটি শেষ সময়ে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। যেটিকে তারা ’পারমাণবিক বিকল্প’ নাম দিয়েছে। সিএনএনের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সুইফট নামে পরিচিত বিশ্বব্যাপী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন বার্তা পাঠানোর পরিষেবা সারা বিশ্বের হাজার হাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করেছে। এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়াকে সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করা থেকে বিরত রয়েছে। পশ্চিমারা এটি ব্যবহারের পদক্ষেপের বিষয়ে এখনো একমত হতে পারেনি। অনেকেই এ পদক্ষেপটিকে ’পারমাণবিক বিকল্প’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, এমন পদক্ষেপ শুধু রাশিয়াকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, এর প্রভাব ইউরোপের অর্থনীতিতেও পড়বে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণের নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেন রাশিয়াকে সুইফট থেকে সরানোর জন্য আবেদন করেছিল। কিয়েভের এ আহ্বানকে লিথুনিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং যুক্তরাজ্য সমর্থন করলেও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে।

একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়াকে সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করা ‘সবসময় একটি বিকল্প’। তবে ইউরোপের বাকি অংশগুলো এখনই সে পদক্ষেপ নিতে চায় না।

এদিকে ইইউ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মায়ার সাংবাদিকদের বলেন, এ পদক্ষেপটি এখনো ‘সর্বশেষ অবলম্বন’ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এটি টেবিলে থাকা বিকল্পগুলোর মধ্যে একটি।

এ পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ‍বিরোধিতাকারী দেশ হচ্ছে জার্মানি। কারণ, দেশটি তাদের বৃহত্তম অর্থনীতির শক্তির জন্য রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। এ সপ্তাহের শুরুতে নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইনের সার্টিফিকেশন বাতিল করার জন্য চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ প্রশংসায় ভাসলেও ‍সুফইট থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিরোধিতা করায় বাড়তি সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের আইনপ্রণেতা নরবার্ট রটজেন টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘সুইফট হলো আমাদের সবচেয়ে ধারালো তলোয়ার। জার্মানির কারণে রাশিয়াকে সুইফট থেকে বর্জন এখন ব্যর্থ হবে না।’

জার্মান সরকার বলছে, এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য সতর্ক প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে।

ঢাকা/এমআর

শেয়ার করুন

x

রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে পশ্চিমাদের শেষ ‘টোটকা’

আপডেট: ০৫:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: রাশিয়ার ব্যাংকিং খাতকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে সরিয়ে দিতে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে পশ্চিমারা কঠোর কিছু নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। তবে এখনো সবচেয়ে বড় আর্থিক হাতিয়ারটি শেষ সময়ে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। যেটিকে তারা ’পারমাণবিক বিকল্প’ নাম দিয়েছে। সিএনএনের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সুইফট নামে পরিচিত বিশ্বব্যাপী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন বার্তা পাঠানোর পরিষেবা সারা বিশ্বের হাজার হাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করেছে। এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়াকে সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করা থেকে বিরত রয়েছে। পশ্চিমারা এটি ব্যবহারের পদক্ষেপের বিষয়ে এখনো একমত হতে পারেনি। অনেকেই এ পদক্ষেপটিকে ’পারমাণবিক বিকল্প’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, এমন পদক্ষেপ শুধু রাশিয়াকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, এর প্রভাব ইউরোপের অর্থনীতিতেও পড়বে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণের নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেন রাশিয়াকে সুইফট থেকে সরানোর জন্য আবেদন করেছিল। কিয়েভের এ আহ্বানকে লিথুনিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং যুক্তরাজ্য সমর্থন করলেও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে।

একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়াকে সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করা ‘সবসময় একটি বিকল্প’। তবে ইউরোপের বাকি অংশগুলো এখনই সে পদক্ষেপ নিতে চায় না।

এদিকে ইইউ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মায়ার সাংবাদিকদের বলেন, এ পদক্ষেপটি এখনো ‘সর্বশেষ অবলম্বন’ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এটি টেবিলে থাকা বিকল্পগুলোর মধ্যে একটি।

এ পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ‍বিরোধিতাকারী দেশ হচ্ছে জার্মানি। কারণ, দেশটি তাদের বৃহত্তম অর্থনীতির শক্তির জন্য রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। এ সপ্তাহের শুরুতে নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইনের সার্টিফিকেশন বাতিল করার জন্য চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ প্রশংসায় ভাসলেও ‍সুফইট থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিরোধিতা করায় বাড়তি সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের আইনপ্রণেতা নরবার্ট রটজেন টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘সুইফট হলো আমাদের সবচেয়ে ধারালো তলোয়ার। জার্মানির কারণে রাশিয়াকে সুইফট থেকে বর্জন এখন ব্যর্থ হবে না।’

জার্মান সরকার বলছে, এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য সতর্ক প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে।

ঢাকা/এমআর