রাশিয়ার দাবি যে মিথ্যা, সে বিষয়ে কোনো অকাট্য প্রমাণ বা বিস্তারিত বিবরণ দেননি যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া যে তার সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে, সে ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন নিশ্চিত।যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তার দাবি, ইউক্রেন সীমান্তে সাত হাজার অতিরিক্ত রুশ সেনা পাঠানো হয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই বুধবার পাঠানো হয়।মস্কোর ভাষ্য, সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার পর তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে।কিন্তু পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কোর এ দাবির পক্ষে তাঁরা কোনো প্রমাণ দেখেননি।
ইউক্রেন সংকট নিয়ে গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ফোনে কথা বলেছেন। রাশিয়াকে অবশ্যই উত্তেজনা প্রশমনে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে বলে দুই নেতা একমত হয়েছেন।সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনা দেখা দেয়।পশ্চিমারা দাবি করে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তারা যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।তবে রাশিয়া শুরু থেকেই পশ্চিমাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
মস্কোর ভাষ্য, সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে।ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে মঙ্গলবার রাশিয়ার কাছ থেকে প্রথম ঘোষণা আসে। পরদিন বুধবার রুশ সরকার বলে, তারা ক্রিমিয়া থেকে আরও সেনা সরিয়ে নিচ্ছে।কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার কথা ও কাজের মধ্যে মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
ঢাকা/এমআর