১১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

লাইসেন্স ছাড়া ‘রড’ উৎপাদন করলে জেল-জরিমানা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • / ৪১৪১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জীবন ও সম্পদের ক্ষতি রোধে অবকাঠামো নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত রডের ‘বাংলাদেশ মান’ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এখন থেকে পণ্যটি উৎপাদন করতে হলে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স নিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়া রড উৎপাদন, সরবরাহ ও বাজারজাত করলে সর্বোচ্চ ৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

সম্প্রতি বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে অবকাঠামো নির্মাণ কাজে স্টিল ফর দি রি-ইনফোর্সমেন্ট অব কনক্রিট (এমএস রড) ব্যবহার সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমএস রড ব্যবহার সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছাড়া যদি কেউ রড উৎপাদন, সরবরাহ ও বাজারজাত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করে লাইসেন্স ছাড়া রড উৎপাদনকারী বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিএসটিআইয়ের এ কর্মকর্তা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এমএস রড ব্যবহার সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের অনুসরণে দেশের প্রতিথযশা প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি পণ্যটির মান নির্ধারণ করে দিয়েছে। যার বাংলাদেশ মান হলো বিডি এস আইএসও ৬৯৩৫-১:২০১২ ও বিডিএস আইএসও ৬৯৩৫-২:২০১৬। এসআরও জারির মাধ্যমে পণ্যটি বিএসটিআই থেকে সিএম লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।

সংস্থাটি জানায়, কিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এমএস রড উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করছে। 

নিম্ন মানের এমএস রড অবকাঠামো নির্মাণ কাজে ব্যবহার করলে একদিকে নির্মিত অবকাঠামো স্থায়িত্ব যেমন ক্ষণস্থায়ী হবে, অন্যদিকে এ অবকাঠামো ব্যবহারে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশ মান অনুসারে এমএস রড উৎপাদন, বাজারজাত ও ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি।

বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন এমএস রড উৎপাদন/সরবরাহ/বাজারজাত আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং বিএসটিআই আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ওই অপরাধে অনধিক ৪ (চার) বছরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।

পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মান অনুসারে ফিনিশড প্রোডাক্ট ও স্ক্যাপ (জাহাজ ভাঙা প্লেট ও রেলওয়ে রেল) থেকে সরাসরি প্রস্তুতকরা এমএস রড কনক্রিট নির্মাণে ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরনের এমএস রড বিএসটিআই কর্তৃক্ত অনুমোদিত নয়। তাই যে কোন ধরনের কনক্রিট নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য এমএস রড কেনার আগে তা বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত কি তা নিশ্চিত হওয়া পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

লাইসেন্স ছাড়া ‘রড’ উৎপাদন করলে জেল-জরিমানা

আপডেট: ০৬:৪১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জীবন ও সম্পদের ক্ষতি রোধে অবকাঠামো নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত রডের ‘বাংলাদেশ মান’ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এখন থেকে পণ্যটি উৎপাদন করতে হলে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স নিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়া রড উৎপাদন, সরবরাহ ও বাজারজাত করলে সর্বোচ্চ ৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

সম্প্রতি বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে অবকাঠামো নির্মাণ কাজে স্টিল ফর দি রি-ইনফোর্সমেন্ট অব কনক্রিট (এমএস রড) ব্যবহার সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমএস রড ব্যবহার সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছাড়া যদি কেউ রড উৎপাদন, সরবরাহ ও বাজারজাত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করে লাইসেন্স ছাড়া রড উৎপাদনকারী বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিএসটিআইয়ের এ কর্মকর্তা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এমএস রড ব্যবহার সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের অনুসরণে দেশের প্রতিথযশা প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি পণ্যটির মান নির্ধারণ করে দিয়েছে। যার বাংলাদেশ মান হলো বিডি এস আইএসও ৬৯৩৫-১:২০১২ ও বিডিএস আইএসও ৬৯৩৫-২:২০১৬। এসআরও জারির মাধ্যমে পণ্যটি বিএসটিআই থেকে সিএম লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।

সংস্থাটি জানায়, কিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এমএস রড উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করছে। 

নিম্ন মানের এমএস রড অবকাঠামো নির্মাণ কাজে ব্যবহার করলে একদিকে নির্মিত অবকাঠামো স্থায়িত্ব যেমন ক্ষণস্থায়ী হবে, অন্যদিকে এ অবকাঠামো ব্যবহারে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশ মান অনুসারে এমএস রড উৎপাদন, বাজারজাত ও ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি।

বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন এমএস রড উৎপাদন/সরবরাহ/বাজারজাত আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং বিএসটিআই আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ওই অপরাধে অনধিক ৪ (চার) বছরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।

পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মান অনুসারে ফিনিশড প্রোডাক্ট ও স্ক্যাপ (জাহাজ ভাঙা প্লেট ও রেলওয়ে রেল) থেকে সরাসরি প্রস্তুতকরা এমএস রড কনক্রিট নির্মাণে ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরনের এমএস রড বিএসটিআই কর্তৃক্ত অনুমোদিত নয়। তাই যে কোন ধরনের কনক্রিট নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য এমএস রড কেনার আগে তা বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত কি তা নিশ্চিত হওয়া পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: