০৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কিশোর গ্যাংয়ের ইন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে : র‍্যাব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:০৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • / ৪১৭৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব-২)-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেছেন, ‘গত এক মাসে তালিকাভুক্ত ১১টি কিশোর গ্যাংয়ের মোট ৬২ জনকে আটক করা হয়েছে। শুধু কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যই নয়, তাদের পেছনে যারা ইন্ধনদাতা ও মদদদাতা হিসেবে কাজ করে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করে আসামিদের তালিকা তৈরি করে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ ও দারুস সালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ‘ডন সাগর’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’-এর ১৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- মো. সাগর (১৩), মো. সরফরাজ আহমেদ রিমন (১৭), মো. রায়হান (১৭), মো. পলাশ হোসেন (৩২), মো. মুন্না (১৫), মো. রাসেল (১৬), মো. উজ্জল হোসেন (১৪), শাকিল হাওলাদার (১৮), মো. মুরাদ হোসেন (২০), মো. মামুন খান (১৮), রিফাদ হোসেন (১৮), মো. রায়হান (১৮), হাসান শেখ (১৯), মো. হাসনাইন (১৯), মো. নাসির উদ্দিন আলবানী (১৯) ও জয় চন্দ্র ঘোষ (১৯)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি ছুরি, একটি চাপাতি, তিনটি ফোল্ডিং চাকু ও একটি খুর জব্দ করা হয়।

সোমবার (২১ জুন) দুপুরে মোহাম্মদপুরে বসিলার র‍্যাব-২ এর কার‍্যালয়ে এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘আটক হওয়া এসব কিশোর অপরাধী স্থানীয়ভাবে কিশোর গ্যাং ‘ডন সাগর গ্রুপ’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’-এর সদস্য হিসেবে পরিচিত। তারা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ টিকটক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। প্রায়ই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে। এরপর আশপাশে কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ে ইন্ধনদাতা হিসেবে যদি প্রভাবশালী কেউ, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আমরা এরই মধ্যে কমিয়ে এনেছি।’

এছাড়া গতকাল রোববার রাজধানীর লালমাটিয়া থেকে কিশোর গ্যাং গ্রুপের দুই ছাত্রীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

কিশোর গ্যাংয়ের ইন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে : র‍্যাব

আপডেট: ০৪:০৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব-২)-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেছেন, ‘গত এক মাসে তালিকাভুক্ত ১১টি কিশোর গ্যাংয়ের মোট ৬২ জনকে আটক করা হয়েছে। শুধু কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যই নয়, তাদের পেছনে যারা ইন্ধনদাতা ও মদদদাতা হিসেবে কাজ করে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করে আসামিদের তালিকা তৈরি করে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ ও দারুস সালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ‘ডন সাগর’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’-এর ১৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- মো. সাগর (১৩), মো. সরফরাজ আহমেদ রিমন (১৭), মো. রায়হান (১৭), মো. পলাশ হোসেন (৩২), মো. মুন্না (১৫), মো. রাসেল (১৬), মো. উজ্জল হোসেন (১৪), শাকিল হাওলাদার (১৮), মো. মুরাদ হোসেন (২০), মো. মামুন খান (১৮), রিফাদ হোসেন (১৮), মো. রায়হান (১৮), হাসান শেখ (১৯), মো. হাসনাইন (১৯), মো. নাসির উদ্দিন আলবানী (১৯) ও জয় চন্দ্র ঘোষ (১৯)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি ছুরি, একটি চাপাতি, তিনটি ফোল্ডিং চাকু ও একটি খুর জব্দ করা হয়।

সোমবার (২১ জুন) দুপুরে মোহাম্মদপুরে বসিলার র‍্যাব-২ এর কার‍্যালয়ে এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘আটক হওয়া এসব কিশোর অপরাধী স্থানীয়ভাবে কিশোর গ্যাং ‘ডন সাগর গ্রুপ’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’-এর সদস্য হিসেবে পরিচিত। তারা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ টিকটক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। প্রায়ই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে। এরপর আশপাশে কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ে ইন্ধনদাতা হিসেবে যদি প্রভাবশালী কেউ, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আমরা এরই মধ্যে কমিয়ে এনেছি।’

এছাড়া গতকাল রোববার রাজধানীর লালমাটিয়া থেকে কিশোর গ্যাং গ্রুপের দুই ছাত্রীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: