০৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

শাহ মোহাম্মদ সগীরের পাওনা পরিশোধে বিএসইসি’র নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৭০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির (ট্রেক- ১৭১) সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে বিনিয়োগকারীদের অর্থ, আইন বহির্ভুতভাবে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ আইন বহির্ভুত কার্মকাণ্ডে কোম্পানিটির পরিচালকদের যোগসাজস রয়েছে। ডিএসইর পরিদর্শনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ডিএসই’র কাছে শাহ মোহাম্মদ সগীরের জমাকৃত ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা দিয়ে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি পূরণ করাসহ গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি জানিয়েছে, ডিএসইর কাছে শাহ মোহাম্মদ সগীরের দু’টি চেক বাবদ ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা রয়েছে। ওই চেক দু’টি নগদায়ন করে ডিএসই ব্যাংক হিসাবে জমা করবে। জমাকৃত টাকা থেকে ডিএসই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর বিধি ৬, উপ-বিধি ৪ অনুযায়ী সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি সমন্বয় করবে এবং সংশ্লিষ্টদের পাওনা পরিশোধ করবে। ওই টাকা গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

শাহ মোহাম্মদ সগীরের গ্রাহকদের হিসেবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর বিধি ৭, উপ-বিধি ১ অনুযায়ী আরো সিকিউরিটিজ (শেয়ার) ঘাটতি আছে কি-না তা ডিএসই পরীক্ষা করবে। আর কোনো গ্রাহকের হিসাবে সিকিউরিজের ঘাটতি পাওয়া গেলে তা পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ডিএসই।

এছাড়া শাহ মোহাম্মদ সগীরের শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রির প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি-না তা ডিএসই নিশ্চিত করে বিএসইসিকে জানাবে। আর কোম্পানিটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের উপর প্রচলিত ব্যাংক রেটে চার বছরের সুদ আদায় করে গ্রাহকদের হিসেবে যথাযথভাবে জমা করবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির সকল প্রকার দায়-দেনাসহ কোম্পানির শতভাগ মালিকানা কিনে নিয়েছে সাদ মুসা গ্রুপ।

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ১৮৬টি ব্রোকারেজ হাউজের দাখিল করা নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে বিএসইসি। এর মধ্যে ১৮টি ব্রোকারেজ হাউজ তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের অর্থ আইন বহির্ভূতভাবে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পায় ডিএসই। এর মধ্যে শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির নাম রয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর বিধি ৮(এ)(১) এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১১ লঙ্ঘন করেছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সমন্বিত গ্রাহক হিসাবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই হিসাবটি যথাযথ ব্যবহার না করার কারণে হিসাবধারীরা ক্ষতির কবলে পড়েন। তাই এই হিসাবটি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। ব্রোকারদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি রয়েছে কি-না তা তদারকি করতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল আমিন ভূঁইয়া এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। এ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে সময় প্রয়োজন। আমাদের কাজ সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করা হবে।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

শাহ মোহাম্মদ সগীরের পাওনা পরিশোধে বিএসইসি’র নির্দেশ

আপডেট: ১২:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির (ট্রেক- ১৭১) সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে বিনিয়োগকারীদের অর্থ, আইন বহির্ভুতভাবে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ আইন বহির্ভুত কার্মকাণ্ডে কোম্পানিটির পরিচালকদের যোগসাজস রয়েছে। ডিএসইর পরিদর্শনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ডিএসই’র কাছে শাহ মোহাম্মদ সগীরের জমাকৃত ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা দিয়ে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি পূরণ করাসহ গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি জানিয়েছে, ডিএসইর কাছে শাহ মোহাম্মদ সগীরের দু’টি চেক বাবদ ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা রয়েছে। ওই চেক দু’টি নগদায়ন করে ডিএসই ব্যাংক হিসাবে জমা করবে। জমাকৃত টাকা থেকে ডিএসই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর বিধি ৬, উপ-বিধি ৪ অনুযায়ী সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি সমন্বয় করবে এবং সংশ্লিষ্টদের পাওনা পরিশোধ করবে। ওই টাকা গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

শাহ মোহাম্মদ সগীরের গ্রাহকদের হিসেবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর বিধি ৭, উপ-বিধি ১ অনুযায়ী আরো সিকিউরিটিজ (শেয়ার) ঘাটতি আছে কি-না তা ডিএসই পরীক্ষা করবে। আর কোনো গ্রাহকের হিসাবে সিকিউরিজের ঘাটতি পাওয়া গেলে তা পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ডিএসই।

এছাড়া শাহ মোহাম্মদ সগীরের শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রির প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি-না তা ডিএসই নিশ্চিত করে বিএসইসিকে জানাবে। আর কোম্পানিটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের উপর প্রচলিত ব্যাংক রেটে চার বছরের সুদ আদায় করে গ্রাহকদের হিসেবে যথাযথভাবে জমা করবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির সকল প্রকার দায়-দেনাসহ কোম্পানির শতভাগ মালিকানা কিনে নিয়েছে সাদ মুসা গ্রুপ।

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ১৮৬টি ব্রোকারেজ হাউজের দাখিল করা নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে বিএসইসি। এর মধ্যে ১৮টি ব্রোকারেজ হাউজ তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের অর্থ আইন বহির্ভূতভাবে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পায় ডিএসই। এর মধ্যে শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির নাম রয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর বিধি ৮(এ)(১) এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১১ লঙ্ঘন করেছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সমন্বিত গ্রাহক হিসাবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই হিসাবটি যথাযথ ব্যবহার না করার কারণে হিসাবধারীরা ক্ষতির কবলে পড়েন। তাই এই হিসাবটি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। ব্রোকারদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি রয়েছে কি-না তা তদারকি করতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল আমিন ভূঁইয়া এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। এ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে সময় প্রয়োজন। আমাদের কাজ সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করা হবে।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: