১০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বে একদিনে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যু ও ‍সুস্থতা কমেছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৪৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী রোগ করোনায় শুক্রবার থেকে শনিবার- ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে কমেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। একই সঙ্গে সুস্থতার হারেও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।

মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, শনিবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৯০ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৬ জন এবং এ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৫৭ জন।

আগের দিন শুক্রবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৩১ জন, মারা গিয়েছিলেন ১০ হাজার ২২৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ জন।

অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৪১, মৃতের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ২১৯ এবং করোনায় আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন- এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা কমেছে ৪৭ হাজার ৭০ জন।

আগের দিন শুক্রবারের মতো শনিবারও করোনায় দৈনিক আক্রান্ত রোগীর হিসেবে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং এ রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন করোনার এশীয় উপকেন্দ্র (এপিসেন্টার) হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ‍দেশ ইন্দোনেশিয়ায়।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৫০ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এই দিন দেশটিতে মারা গেছেন ৩২০ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৫৮৮ জন, যা ছিল শনিবার করোনায় দৈনিক মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। পাশাপাশি, এই দিন দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৭৫৩ জন।

এছাড়া শনিবার বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সে দেশসমূহ হলো- ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ৪৩ হাজার ৩৩, মৃত্যু ১ হাজার ২১৮), ভারত (নতুন আক্রান্ত ৩৯ হাজার ৭০, মৃত্যু ৪৯১), ইরান (নতুন আক্রান্ত ২৬ হাজার ৪৩৯, মৃত্যু ৩৮৩), যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ২৮ হাজার ৬১২, মৃত্যু ১০৩),  ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ২৫ হাজার৬৫৭ , মৃত্যু ৩২), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২৫ হাজার ১০০, মৃত্যু ১১২), রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ৩২০, মৃত্যু ৭৯৩) এবং মেক্সিকো (নতুন আক্রান্ত ২১ হাজার ৫৬৩, মৃত্যু ৫৬৮)

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর আছেন ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯ জন। তাদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৮ জন এবং গুরুতর অসুস্থ আছেন ৯৮ হাজার ৫৪১ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২০ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৬২ জন এবং মারা গেছেন মোট ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৪৭ জন।

এছাড়া, এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৮ কোটি ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল চীনে।

তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কিন্তু তাতেও এই ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

বিশ্বে একদিনে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যু ও ‍সুস্থতা কমেছে

আপডেট: ১১:৩৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী রোগ করোনায় শুক্রবার থেকে শনিবার- ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে কমেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। একই সঙ্গে সুস্থতার হারেও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।

মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, শনিবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৯০ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৬ জন এবং এ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৫৭ জন।

আগের দিন শুক্রবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৩১ জন, মারা গিয়েছিলেন ১০ হাজার ২২৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ জন।

অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৪১, মৃতের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ২১৯ এবং করোনায় আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন- এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা কমেছে ৪৭ হাজার ৭০ জন।

আগের দিন শুক্রবারের মতো শনিবারও করোনায় দৈনিক আক্রান্ত রোগীর হিসেবে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং এ রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন করোনার এশীয় উপকেন্দ্র (এপিসেন্টার) হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ‍দেশ ইন্দোনেশিয়ায়।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৫০ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এই দিন দেশটিতে মারা গেছেন ৩২০ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৫৮৮ জন, যা ছিল শনিবার করোনায় দৈনিক মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। পাশাপাশি, এই দিন দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৭৫৩ জন।

এছাড়া শনিবার বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সে দেশসমূহ হলো- ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ৪৩ হাজার ৩৩, মৃত্যু ১ হাজার ২১৮), ভারত (নতুন আক্রান্ত ৩৯ হাজার ৭০, মৃত্যু ৪৯১), ইরান (নতুন আক্রান্ত ২৬ হাজার ৪৩৯, মৃত্যু ৩৮৩), যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ২৮ হাজার ৬১২, মৃত্যু ১০৩),  ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ২৫ হাজার৬৫৭ , মৃত্যু ৩২), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২৫ হাজার ১০০, মৃত্যু ১১২), রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ৩২০, মৃত্যু ৭৯৩) এবং মেক্সিকো (নতুন আক্রান্ত ২১ হাজার ৫৬৩, মৃত্যু ৫৬৮)

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর আছেন ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯ জন। তাদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৮ জন এবং গুরুতর অসুস্থ আছেন ৯৮ হাজার ৫৪১ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২০ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৬২ জন এবং মারা গেছেন মোট ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৪৭ জন।

এছাড়া, এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৮ কোটি ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল চীনে।

তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কিন্তু তাতেও এই ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: