০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

শিশুর অতিরিক্ত জেদ? সামলাবেন যেভাবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০২৪৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শিশুদের অনেক আচরণের মাঝে ‘জেদ ধরা’ একটি পরিচিত সমস্যা। শিশুরা অনেক সময় সবার মনাযোগ পাওয়ার জন্য জেদ ধরে।  অনেক বাবা-মাই এটাকে সাধারণ সমস্যা হিসেবে নিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।  কিন্তু কোনো কোনো শিশু এতটাই জেদ ধরে যে বাবা-মা বুঝতেই পারেন না কী করবেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প বয়স থেকেই এটিকে দমন না করতে পারলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ সমস্যায় পড়তে পারেন অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে মনোবিজ্ঞানীরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শিশু যখন কোনো কিছু চেয়েই পেয়ে যায় তখন তার নতুন জিনিসের বায়না শুরু হয়। সেই বায়নার কারণে তার জিদ করার প্রবণতা শুরু হয়। বাবা-মাকে পর্যাপ্ত সময় ধরে কাছে না পেলে শিশুরা অনেক সময় জেদ দেখাতে পারে। আবার অনেক সময় পরিবেশ বা আশপাশের অনেকের আচরণ দেখেও শিশুরা জেদ করাটা শেখে।

শিশুর জেদ কমাতে অভিভাবকদের করণীয়-

১. শিশুর সঙ্গে আচরণের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনি তার আচরণ নিয়ে চিন্তিত হচ্ছেন এবং অবশ্যই এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে তার সঙ্গে। বাবা-মা এক সঙ্গে কাজ করতে পারেন তার এই আচরণ পরিবর্তনের জন্য। সব কিছু যে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না এটা তাকে শেখান।

২. সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিন। তার সঙ্গে গল্পের বই পড়তে পারেন, ছবি আঁকা বা বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। মোট কথা শিশুর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

৩.শিশুরা মূলত দেখে শেখে। আপনি যদি অল্পতেই রেগে যান, গালিগালাজ করেন সন্তান সেটাই শিখবে। বরং  নিজেদের কাজ আর বিভিন্ন ভালো ঘটনা সন্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। এতে সন্তানের জেদ কমবে। মনে রাখতে হবে, আপনার সন্তান তার আচরণগত বৈশিষ্ট্য শিখবে পরিবার থেকে।

৪. শিশু জেদ করলে বকা দেওয়া, গায়ে হাত তোলা, সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত বকা, সমালোচনা এর গুরুত্ব নষ্ট করে। এ ধরনের আচরণে শিশু অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং একসময় আর গায়ে লাগায় না। এজন্য শিশুকে বকলেও একটু পরেই তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

৪. অনেক সময় বাড়ির বাইরে গেলে শিশুরা জেদের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। বিশেষ করে কোনো দোকানে খেলনা বা তার পছন্দের কোন জিনিস দেখলে সেটা কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে। কিন্তু দেখা যায় সেটার দাম হয়তো আকাশছোঁয়া। তখন কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পাওয়ার জন্য শিশু জেদ শুরু করে । এক্ষেত্রে দুটি সমাধান আছে। প্রথমত, শপিংমল জাতীয় জায়গায় শিশুদের যতটা কম নিয়ে যাওয়া যায় ততই ভালো। শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্কে বা মাঠে নিয়ে যেতে পারেন শপিং মলে নয়। যদি একান্তই নিয়ে যেতে হয় তাহলে তাকে বারবার কাউন্সেলিং করে নিয়ে যাওয়া উচিত।

৫. যেসব মায়েরা বাইরে কাজ করেন তাদের অনেকসময় একটা অকারণ অপরাধবোধ কাজ করে। এ কারণে তারা বাড়িতে ঢোকার সময় শিশুদের জন্য প্রায়ই চকোলেট, চিপস বা খেলনা নিয়ে বাড়িতে ঢোকেন। এতে স্বভাবতই শিশুর মনে চাহিদার মাত্রা বাড়ে। এরপর কিছু চেয়ে না পেলে তার মধ্যে জেদ বাড়ে। বরং শিশুকে সহজভাবে বোঝান আপনার বাইরে কাজ করাটা প্রয়োজন। বাড়িতে ফিরে শিশুর সঙ্গে সময় কাটান। সে আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নানাভাবে বুঝিয়ে দিন। সন্তানও অত বেশি চাহিদা করবে না।

৬. শিশুর মধ্যে জেদ সংবরণের প্রবণতা দেখলে প্রশংসা করুন। আপনার প্রশংসা শিশুকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখাতে উৎসাহিত করবে।

আরও পড়ুন:এনআরবি ব্যাংকে ম্যানেজার পদে চাকরি

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

শিশুর অতিরিক্ত জেদ? সামলাবেন যেভাবে

আপডেট: ০৪:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শিশুদের অনেক আচরণের মাঝে ‘জেদ ধরা’ একটি পরিচিত সমস্যা। শিশুরা অনেক সময় সবার মনাযোগ পাওয়ার জন্য জেদ ধরে।  অনেক বাবা-মাই এটাকে সাধারণ সমস্যা হিসেবে নিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।  কিন্তু কোনো কোনো শিশু এতটাই জেদ ধরে যে বাবা-মা বুঝতেই পারেন না কী করবেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প বয়স থেকেই এটিকে দমন না করতে পারলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ সমস্যায় পড়তে পারেন অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে মনোবিজ্ঞানীরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শিশু যখন কোনো কিছু চেয়েই পেয়ে যায় তখন তার নতুন জিনিসের বায়না শুরু হয়। সেই বায়নার কারণে তার জিদ করার প্রবণতা শুরু হয়। বাবা-মাকে পর্যাপ্ত সময় ধরে কাছে না পেলে শিশুরা অনেক সময় জেদ দেখাতে পারে। আবার অনেক সময় পরিবেশ বা আশপাশের অনেকের আচরণ দেখেও শিশুরা জেদ করাটা শেখে।

শিশুর জেদ কমাতে অভিভাবকদের করণীয়-

১. শিশুর সঙ্গে আচরণের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনি তার আচরণ নিয়ে চিন্তিত হচ্ছেন এবং অবশ্যই এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে তার সঙ্গে। বাবা-মা এক সঙ্গে কাজ করতে পারেন তার এই আচরণ পরিবর্তনের জন্য। সব কিছু যে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না এটা তাকে শেখান।

২. সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিন। তার সঙ্গে গল্পের বই পড়তে পারেন, ছবি আঁকা বা বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। মোট কথা শিশুর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

৩.শিশুরা মূলত দেখে শেখে। আপনি যদি অল্পতেই রেগে যান, গালিগালাজ করেন সন্তান সেটাই শিখবে। বরং  নিজেদের কাজ আর বিভিন্ন ভালো ঘটনা সন্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। এতে সন্তানের জেদ কমবে। মনে রাখতে হবে, আপনার সন্তান তার আচরণগত বৈশিষ্ট্য শিখবে পরিবার থেকে।

৪. শিশু জেদ করলে বকা দেওয়া, গায়ে হাত তোলা, সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত বকা, সমালোচনা এর গুরুত্ব নষ্ট করে। এ ধরনের আচরণে শিশু অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং একসময় আর গায়ে লাগায় না। এজন্য শিশুকে বকলেও একটু পরেই তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

৪. অনেক সময় বাড়ির বাইরে গেলে শিশুরা জেদের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। বিশেষ করে কোনো দোকানে খেলনা বা তার পছন্দের কোন জিনিস দেখলে সেটা কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে। কিন্তু দেখা যায় সেটার দাম হয়তো আকাশছোঁয়া। তখন কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পাওয়ার জন্য শিশু জেদ শুরু করে । এক্ষেত্রে দুটি সমাধান আছে। প্রথমত, শপিংমল জাতীয় জায়গায় শিশুদের যতটা কম নিয়ে যাওয়া যায় ততই ভালো। শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্কে বা মাঠে নিয়ে যেতে পারেন শপিং মলে নয়। যদি একান্তই নিয়ে যেতে হয় তাহলে তাকে বারবার কাউন্সেলিং করে নিয়ে যাওয়া উচিত।

৫. যেসব মায়েরা বাইরে কাজ করেন তাদের অনেকসময় একটা অকারণ অপরাধবোধ কাজ করে। এ কারণে তারা বাড়িতে ঢোকার সময় শিশুদের জন্য প্রায়ই চকোলেট, চিপস বা খেলনা নিয়ে বাড়িতে ঢোকেন। এতে স্বভাবতই শিশুর মনে চাহিদার মাত্রা বাড়ে। এরপর কিছু চেয়ে না পেলে তার মধ্যে জেদ বাড়ে। বরং শিশুকে সহজভাবে বোঝান আপনার বাইরে কাজ করাটা প্রয়োজন। বাড়িতে ফিরে শিশুর সঙ্গে সময় কাটান। সে আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নানাভাবে বুঝিয়ে দিন। সন্তানও অত বেশি চাহিদা করবে না।

৬. শিশুর মধ্যে জেদ সংবরণের প্রবণতা দেখলে প্রশংসা করুন। আপনার প্রশংসা শিশুকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখাতে উৎসাহিত করবে।

আরও পড়ুন:এনআরবি ব্যাংকে ম্যানেজার পদে চাকরি

ঢাকা/এসএম