০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

শীতে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি কমাতে যা করবেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৯৯ বার দেখা হয়েছে

নব দেহে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন-ডি। মূলত হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে এই দুই উপাদান। ভিটামিন-ডি’র অভাবে হাড় দুর্বল হয়, ফলে আস্তে আস্তে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যাকে অস্টিওপরোসিস রোগও বলা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শীতের সময় সাধারণত আমরা ঘরের ভেতরেই বেশি সময় কাটাই। খুব জরুরি কাজ ছাড়া একেবারে বাহিরে বের হতে মন চাই না সবার। বাইরের হিম শীতল হাওয়া থেকে বাচতে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যে সময় কেটে যায়। শীতকালে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত রোদ না লাগায় ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে পৌঁছাতে পারে না। শীতে ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বাড়ানোর উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো আজ। চলুন জেনে নেয়া যাক।

শরীরে রোদ লাগানো খুব পুরাতন মনে হলেও পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি গ্রহণের সর্বোত্তম উপায় শরীরে সূর্যের আলো লাগানো। যাকে “সানশাইন ভিটামিন” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। ভিটামিন-ডি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার পর ত্বকে সংশ্লেষিত হয়। সুতরাং, রোদে বের হওয়া ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বাড়ানোর সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। যখন ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে, তখন এটি ভিটামিন-ডি৩ সংশ্লেষিত করে। ১০ থেক ৩০ মিনিট রোদে কাটালে আপনার দেহে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি অনেকটায় কমে যাবে।

ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন-ডি বাড়ানোর অন্যতম উপায় হলো ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। স্যামন, ম্যাকেরেল এবং টুনার মত চর্বিযুক্ত মাছ হলো ভিটামিন-ডি এর চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস। এ ছাড়াও ফোর্টিফাইড দুধ, কমলালেবুর রস এবং দই এর মতো শক্তিশালী খাবারও আপনার ভিটামিন-ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। বিশেষ করে  সকালের নাস্তায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ালে তা শরীরের ভিটামিন-ডি ঘাটতি পূরণ করে।

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, “ভিটামিন ডি-এর সেরা খাদ্য উৎস হল স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনসহ তৈলাক্ত মাছ। অন্যান্য উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিমের কুসুম, লাল মাংস এবং কলিজা। খাবারের তালিকায় নিয়মিত ডিমের কুসুম রাখলে শীতকালে আপনার ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি থাকবে না। ডিম সিদ্ধ বা অন্য যেকোনো উপায়ে খেলেও তা ভিটামিন-ডি বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়া শীতকালে ডিম খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

ভিটামিন-ডি গ্রহণ

যদি আপনার শরীরে সূর্যের আলো লাগানো সম্ভব না হয় বা ডিমের খেতে না পারেন তাহলে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলো বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়, যেমন ভিটামিন ডি-২ এবং ডি-৩ ট্যাবলেট বা পাউডার। এগুলো মুখে খেলে শীতকালে আপনার ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়বে।

আরো পড়ুন: স্ট্রেস মোকাবেলা করবেন যেভাবে

আপনি এগুলো সকালে এক গ্লাস দুধ বা পানির সঙ্গে খেতে পারেন। তবে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া শুরুর করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়া উচিত।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x
English Version

শীতে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি কমাতে যা করবেন

আপডেট: ০৫:২৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

নব দেহে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন-ডি। মূলত হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে এই দুই উপাদান। ভিটামিন-ডি’র অভাবে হাড় দুর্বল হয়, ফলে আস্তে আস্তে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যাকে অস্টিওপরোসিস রোগও বলা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শীতের সময় সাধারণত আমরা ঘরের ভেতরেই বেশি সময় কাটাই। খুব জরুরি কাজ ছাড়া একেবারে বাহিরে বের হতে মন চাই না সবার। বাইরের হিম শীতল হাওয়া থেকে বাচতে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যে সময় কেটে যায়। শীতকালে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত রোদ না লাগায় ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে পৌঁছাতে পারে না। শীতে ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বাড়ানোর উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো আজ। চলুন জেনে নেয়া যাক।

শরীরে রোদ লাগানো খুব পুরাতন মনে হলেও পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি গ্রহণের সর্বোত্তম উপায় শরীরে সূর্যের আলো লাগানো। যাকে “সানশাইন ভিটামিন” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। ভিটামিন-ডি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার পর ত্বকে সংশ্লেষিত হয়। সুতরাং, রোদে বের হওয়া ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বাড়ানোর সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। যখন ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে, তখন এটি ভিটামিন-ডি৩ সংশ্লেষিত করে। ১০ থেক ৩০ মিনিট রোদে কাটালে আপনার দেহে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি অনেকটায় কমে যাবে।

ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন-ডি বাড়ানোর অন্যতম উপায় হলো ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। স্যামন, ম্যাকেরেল এবং টুনার মত চর্বিযুক্ত মাছ হলো ভিটামিন-ডি এর চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস। এ ছাড়াও ফোর্টিফাইড দুধ, কমলালেবুর রস এবং দই এর মতো শক্তিশালী খাবারও আপনার ভিটামিন-ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। বিশেষ করে  সকালের নাস্তায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ালে তা শরীরের ভিটামিন-ডি ঘাটতি পূরণ করে।

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, “ভিটামিন ডি-এর সেরা খাদ্য উৎস হল স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনসহ তৈলাক্ত মাছ। অন্যান্য উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিমের কুসুম, লাল মাংস এবং কলিজা। খাবারের তালিকায় নিয়মিত ডিমের কুসুম রাখলে শীতকালে আপনার ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি থাকবে না। ডিম সিদ্ধ বা অন্য যেকোনো উপায়ে খেলেও তা ভিটামিন-ডি বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়া শীতকালে ডিম খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

ভিটামিন-ডি গ্রহণ

যদি আপনার শরীরে সূর্যের আলো লাগানো সম্ভব না হয় বা ডিমের খেতে না পারেন তাহলে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলো বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়, যেমন ভিটামিন ডি-২ এবং ডি-৩ ট্যাবলেট বা পাউডার। এগুলো মুখে খেলে শীতকালে আপনার ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়বে।

আরো পড়ুন: স্ট্রেস মোকাবেলা করবেন যেভাবে

আপনি এগুলো সকালে এক গ্লাস দুধ বা পানির সঙ্গে খেতে পারেন। তবে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া শুরুর করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়া উচিত।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/কেএ