১২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক নাদিমের মৃত্যু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ৪১৩১ বার দেখা হয়েছে

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গোলাম রব্বানী নাদিম নামের এক সাংবাদিক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সাংবাদিক গোলাম রব্বানী অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন নাদিম। সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ১০-১২ জন দেশি অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাকে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তারা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা নাদিমকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে জামালপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়া হয়। আজ দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নারী কেলেঙ্কারি ও অনিয়ম- দুর্নীতি নিয়ে তার স্বামী খবর প্রকাশ করেন। এজন্য তার ওপর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম অসন্তুষ্ট ছিলেন। আগেও তিনি নানাভাবে তার স্বামীকে হেনস্তা করার চেষ্টা করেন।

নাদিমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত অভিযোগ করেন, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুলের পরিবারের সদস্যরা স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। এই বিষয়ে তার বাবা চলতি বছর একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। এর পর থেকে তার বাবা নানা রকম হুমকি পাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন: এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু ৯ জুলাই

এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে নাদিমের পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে নাদিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সভা হয়। এ সভায় তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলার প্রস্তুতিও চলছে।’

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক নাদিমের মৃত্যু

আপডেট: ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গোলাম রব্বানী নাদিম নামের এক সাংবাদিক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সাংবাদিক গোলাম রব্বানী অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন নাদিম। সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ১০-১২ জন দেশি অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাকে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তারা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা নাদিমকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে জামালপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়া হয়। আজ দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নারী কেলেঙ্কারি ও অনিয়ম- দুর্নীতি নিয়ে তার স্বামী খবর প্রকাশ করেন। এজন্য তার ওপর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম অসন্তুষ্ট ছিলেন। আগেও তিনি নানাভাবে তার স্বামীকে হেনস্তা করার চেষ্টা করেন।

নাদিমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত অভিযোগ করেন, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুলের পরিবারের সদস্যরা স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। এই বিষয়ে তার বাবা চলতি বছর একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। এর পর থেকে তার বাবা নানা রকম হুমকি পাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন: এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু ৯ জুলাই

এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে নাদিমের পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে নাদিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সভা হয়। এ সভায় তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলার প্রস্তুতিও চলছে।’

ঢাকা/এসএম