০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ বলার রীতি বা আইন নেই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম বলতে হবে- এমন কোনো রীতি নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ সেবা নিতে গেলে হাসিমুখে আপনার এটিচিউডটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ সেবা নিতে গেলে যদি ওয়েলকামিং এটিচিউড না থাকে, আপনি তিরস্কার বা রেগে আছেন- এগুলো দুর্নীতি। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল। এটা করা যাবে না। আপনি সুন্দর, সাবলীলভাবে কথা বলুন।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘সুন্দর করে কথা বলাটা এমন না যে আপনি ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না বা আপনি হেরে যাচ্ছেন। দরকার সাধ্যমতো সেবাটি দেওয়া। আপনার আচরণ সরকারের আচরণ। সবাই মনে করে আপনার অফিস প্রধানমন্ত্রীর অফিসেরই একটি অংশ।’

সম্প্রতি মাঠ প্রশাসনে এক কর্মকর্তাকে স্যার সম্বোধন না করায় উদ্ভূত পরিস্তিতি নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে আমরা দেখেছি, আশেপাশে যারা ছিল তাদের অতি বাড়াড়িতে এমনটি হয়েছিল।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্যার শব্দের অর্থ মহোদয়। ম্যাডাম অর্থ মহাদয়া। জনাব বা জনাবা। রুলস অব বিজনেসে এটা নাই। আমাদের জাতির পিতার নির্দেশনা কী ছিল? যারা তোমাদেরর কাছে সেবা নিতে আসে, তাদের দিকে তাকাও, তারা তোমার ভাইয়ের মতো, বাবার মতো, আত্মীয়ের মতো। যারা সেবা দিতে আসো জনগণের সেবক হও। জনগণের টাকায় তোমার বেতন হয়।’

জাতির পিতার এ স্লোগানটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন চান বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেজন্য আমি নিজেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হই, তাদের অনুপ্রাণিত করি। মাঠ প্রশাসনের প্রধান বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে নির্দেশনা দেই। তারা এসিল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউএনওদের নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। তারা প্রতিদিন এই বার্তাগুলো দিচ্ছেন যে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। আমরা জনমুখী জনপ্রশাসন বলতে ওইটাই বলেছি। সেক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।’

‘একজন ইউএনও যখন চলে যায় তখন কিন্তু মানুষ কাঁদে। বহুদিন তাকে মনে রাখে। সব গুণাবলি যেন থাকে, তারা যেন অতি মানবিক হয়।’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

বন্দরে ৮৫০ কোটি রাজস্ব ফাঁকি: আট কর্মকতাকে জিজ্ঞাসাবাদ

করোনায় একদিনে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

ব্লক মার্কেটে যেসব কোম্পানির বড় লেনদেন

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ বলার রীতি বা আইন নেই

আপডেট: ০৬:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম বলতে হবে- এমন কোনো রীতি নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ সেবা নিতে গেলে হাসিমুখে আপনার এটিচিউডটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ সেবা নিতে গেলে যদি ওয়েলকামিং এটিচিউড না থাকে, আপনি তিরস্কার বা রেগে আছেন- এগুলো দুর্নীতি। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল। এটা করা যাবে না। আপনি সুন্দর, সাবলীলভাবে কথা বলুন।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘সুন্দর করে কথা বলাটা এমন না যে আপনি ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না বা আপনি হেরে যাচ্ছেন। দরকার সাধ্যমতো সেবাটি দেওয়া। আপনার আচরণ সরকারের আচরণ। সবাই মনে করে আপনার অফিস প্রধানমন্ত্রীর অফিসেরই একটি অংশ।’

সম্প্রতি মাঠ প্রশাসনে এক কর্মকর্তাকে স্যার সম্বোধন না করায় উদ্ভূত পরিস্তিতি নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে আমরা দেখেছি, আশেপাশে যারা ছিল তাদের অতি বাড়াড়িতে এমনটি হয়েছিল।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্যার শব্দের অর্থ মহোদয়। ম্যাডাম অর্থ মহাদয়া। জনাব বা জনাবা। রুলস অব বিজনেসে এটা নাই। আমাদের জাতির পিতার নির্দেশনা কী ছিল? যারা তোমাদেরর কাছে সেবা নিতে আসে, তাদের দিকে তাকাও, তারা তোমার ভাইয়ের মতো, বাবার মতো, আত্মীয়ের মতো। যারা সেবা দিতে আসো জনগণের সেবক হও। জনগণের টাকায় তোমার বেতন হয়।’

জাতির পিতার এ স্লোগানটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন চান বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেজন্য আমি নিজেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হই, তাদের অনুপ্রাণিত করি। মাঠ প্রশাসনের প্রধান বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে নির্দেশনা দেই। তারা এসিল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউএনওদের নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। তারা প্রতিদিন এই বার্তাগুলো দিচ্ছেন যে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। আমরা জনমুখী জনপ্রশাসন বলতে ওইটাই বলেছি। সেক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।’

‘একজন ইউএনও যখন চলে যায় তখন কিন্তু মানুষ কাঁদে। বহুদিন তাকে মনে রাখে। সব গুণাবলি যেন থাকে, তারা যেন অতি মানবিক হয়।’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

বন্দরে ৮৫০ কোটি রাজস্ব ফাঁকি: আট কর্মকতাকে জিজ্ঞাসাবাদ

করোনায় একদিনে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

ব্লক মার্কেটে যেসব কোম্পানির বড় লেনদেন

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা