ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৪টি শেয়ার ৮১২ কোটি ২১ লাখ ১৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের আট দশমিক ৬৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বা সাত টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৭ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮৭ টাকা ৪০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৮৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৭ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮৭ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৩৩ পয়সা।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৮৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছিল ১৪২ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল রবি আজিয়াটা লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির আট কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮৫টি শেয়ার ৫৮০ কোটি ৮৫ লাখ দুই হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ২২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৪৭ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ৭০ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৯টি শেয়ার ৫৩৯ কোটি তিন লাখ ৮৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে।

আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে ১২ কোটি ৩০ লাখ ৬০৪টি শেয়ার ৫০৮ কোটি ৯৬ লাখ ৬১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৪৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।

আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে ছয় কোটি ২৬ লাখ এক হাজার ৭৩১টি শেয়ার ৩৯৪ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ২২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে ১৮ কোটি ৫১ লাখ ৫১ হাজার ৯১৫টি শেয়ার ৩০০ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ২২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৪২ শতাংশ কমেছে। পরের অবস্থানে থাকা সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে চার কোটি ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪টি শেয়ার ২০৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ১৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়েছে।