০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

স্বল্প মেয়াদে চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪১৪৯ বার দেখা হয়েছে

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হবে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া দেশের অর্থনীতি স্বল্পমেয়াদে চাপে থাকবে বলেও মনে করছে সংস্থাটি। কারণ হিসেবে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া, জ্বালানি পণ্যের সংকট, সুদহার বৃদ্ধি ও দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনার কথা সামনে এনেছেন বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রণজিৎ ঘোষ ও বার্নার্ড হ্যাভেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক উপস্থিত ছিলেন।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের আভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত অক্টোবরেও একই আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

দেশের ব্যাংক খাত সংস্কার করতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূতকরণের (মার্জার) উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তাদের মতে, সম্পদের মান ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যাংক একীভূত হওয়া উচিত।

বিশ্বব্যাংক বলছে, এমন নীতিমালা করতে হবে যেন ব্যাংগুলো একীভূতকরণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পায়। নীতিমালা করতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে। যথাযথ উদ্যোগ না নিয়ে একীভূত করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি।

সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে অদূরভবিষ্যতে খুব একটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে না বিশ্বব্যাংক। মূল্যস্ফীতি নিয়ে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ হলো আগামী অর্থবছরে তা সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি হতে পারে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, টাকার অবমূল্যায়নের প্রভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকবে। আমদানি নিয়ন্ত্রণের প্রভাবে চলতি অর্থবছরে রফতানি প্রবৃদ্ধিও কমে যেতে পারে। জিডিপিতে এ বছর কৃষি ও শিল্প খাতের অবদানও কমে যেতে পারে। তবে সেবা খাত কিছুটা সম্প্রসারণ হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বল্প মেয়াদে চাপে থাকবে আর্থিক হিসাবের ঘাটতিও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে। যদিও গত অক্টোবরে এটা ৫ দশমিক ৮ হওয়ার কথা বলেছিল সংস্থাটি। তাদের মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরো প্রকট হতে পারে। এছাড়া বিনিময় হার সংস্কার না করলে রিজার্ভ ও আমদানি স্বাভাবিক হবে না।

বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে কিছু পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি পণ্যের মূল্য সমন্বয়, রফতানি ভর্তুকি কমানো ও মুদ্রানীতি কঠোর করা।

সংস্কারের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ হলো এলডিসি উত্তরণে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য অটোমেশন ও শুল্কহার কমিয়ে আনতে হবে। শুল্ক কমাতে হবে নিত্যপণ্যে।

আরও পড়ুন: ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন: বিশ্বব্যাংক

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে। ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি। এ খাতে সংস্কার আনতে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত রয়েছে। ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা উচিত। বিনিময় হার হতে হবে বাজারভিত্তিক। সব মিলিয়ে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে আর্থিক খাতের জোরালো সংস্কার বাংলাদশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে পারে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩-২৪ সালের আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ সালে তা ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে। ভারত, বাংলাদেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে। এছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলংকার অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। কভিড মহামারীর আগের দশকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধারা ছিল গড়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। পাকিস্তানে হবে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ভুটানে ৪ দশমিক ৯, নেপালে ৩ দশমিক ৩, শ্রীলংকায় ২ দশমিক ২ ও মালদ্বীপে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

স্বল্প মেয়াদে চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক

আপডেট: ০১:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হবে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া দেশের অর্থনীতি স্বল্পমেয়াদে চাপে থাকবে বলেও মনে করছে সংস্থাটি। কারণ হিসেবে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া, জ্বালানি পণ্যের সংকট, সুদহার বৃদ্ধি ও দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনার কথা সামনে এনেছেন বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রণজিৎ ঘোষ ও বার্নার্ড হ্যাভেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক উপস্থিত ছিলেন।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের আভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত অক্টোবরেও একই আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

দেশের ব্যাংক খাত সংস্কার করতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূতকরণের (মার্জার) উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তাদের মতে, সম্পদের মান ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যাংক একীভূত হওয়া উচিত।

বিশ্বব্যাংক বলছে, এমন নীতিমালা করতে হবে যেন ব্যাংগুলো একীভূতকরণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পায়। নীতিমালা করতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে। যথাযথ উদ্যোগ না নিয়ে একীভূত করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি।

সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে অদূরভবিষ্যতে খুব একটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে না বিশ্বব্যাংক। মূল্যস্ফীতি নিয়ে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ হলো আগামী অর্থবছরে তা সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি হতে পারে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, টাকার অবমূল্যায়নের প্রভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকবে। আমদানি নিয়ন্ত্রণের প্রভাবে চলতি অর্থবছরে রফতানি প্রবৃদ্ধিও কমে যেতে পারে। জিডিপিতে এ বছর কৃষি ও শিল্প খাতের অবদানও কমে যেতে পারে। তবে সেবা খাত কিছুটা সম্প্রসারণ হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বল্প মেয়াদে চাপে থাকবে আর্থিক হিসাবের ঘাটতিও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে। যদিও গত অক্টোবরে এটা ৫ দশমিক ৮ হওয়ার কথা বলেছিল সংস্থাটি। তাদের মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরো প্রকট হতে পারে। এছাড়া বিনিময় হার সংস্কার না করলে রিজার্ভ ও আমদানি স্বাভাবিক হবে না।

বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে কিছু পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি পণ্যের মূল্য সমন্বয়, রফতানি ভর্তুকি কমানো ও মুদ্রানীতি কঠোর করা।

সংস্কারের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ হলো এলডিসি উত্তরণে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য অটোমেশন ও শুল্কহার কমিয়ে আনতে হবে। শুল্ক কমাতে হবে নিত্যপণ্যে।

আরও পড়ুন: ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন: বিশ্বব্যাংক

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে। ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি। এ খাতে সংস্কার আনতে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত রয়েছে। ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা উচিত। বিনিময় হার হতে হবে বাজারভিত্তিক। সব মিলিয়ে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে আর্থিক খাতের জোরালো সংস্কার বাংলাদশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে পারে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩-২৪ সালের আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ সালে তা ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে। ভারত, বাংলাদেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে। এছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলংকার অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। কভিড মহামারীর আগের দশকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধারা ছিল গড়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। পাকিস্তানে হবে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ভুটানে ৪ দশমিক ৯, নেপালে ৩ দশমিক ৩, শ্রীলংকায় ২ দশমিক ২ ও মালদ্বীপে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।

ঢাকা/এসএইচ