০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

হ্যারির স্মৃতিকথাজুড়ে মা ডায়ানা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২১৮ বার দেখা হয়েছে

আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে এসেছে প্রিন্স হ্যারির বহুল আলোচিত স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার।’ দুনিয়াজুড়ে ১৬টি ভাষায় প্রকাশিত হওয়া বহুল আলোচিত এই গ্রন্থটি বাজারে আসতে না আসতেই পাঠকদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পুরো বইজুড়ে বিশেষ করে মা ডায়ানাকে নিয়ে নিজের শূন্যতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বাজারে আসা ৪১৬ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে পেঙ্গুইন র‌্যানডম হাউজ। এতে নিজের শৈশব, মাকে হারানোর পরবর্তী অবস্থা, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আফগানিস্তানে নিজের দায়িত্ব পালনের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন তিনি।

স্পেয়ারের বিভিন্ন অংশ ফাঁস হওয়া ছাড়াও গত সপ্তাহে স্পেনে নির্ধারিত সময়ের আগেই ভুলবশত বইটির কিছু কপি বিক্রি হয়ে যায়।

হ্যারি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে দাদার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সফরের সময় ‘স্পেয়ার’ লেখার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে তার একটি ‘বিস্ময়কর’ উপলব্ধি ছিল যে, তার বাবা কিংবা ভাই কেউই বুঝতে পারেননি যে, কেন তিনি এবং তার স্ত্রী মেগান তাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজেদের আবাস গড়েছেন। সেখান থেকে তিনি ভাবলেন, এই বিষয়টি তাদের বলতে হবে।

মাকে হারানোর দিনগুলো

বইতে প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ডায়ানাকে হারানোর বেদনার কথা উল্লেখ করেন হ্যারি। জানান, মায়ের মৃত্যুর পর সকালে বাবা চার্লস তাকে জাগিয়ে তুলে ওই খবর দেন। তার ভাষায়, ‘তিনি (চার্লস) বিছানার কিনারায় বসেছিলেন। আমার হাঁটুতে হাত রাখলেন।’

হ্যারি লিখেছেন যে, ‘আমি তখন তাকে যা বলেছিলাম তার কিছুই আমার স্মৃতিতে নেই। হয়তো কিছু বলিনি। তবে আমার যা মনে আছে, তা হলো আমি কাঁদিনি। এক ফোঁটা চোখের পানিও নয়। আব্বু আমাকে জড়িয়ে ধরেননি। তিনি সাধারণ পরিস্থিতিতে আবেগ দেখানোর ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ছিলেন না।’

মায়ের মৃত্যুর কয়েক বছর পর হ্যারি দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত গোপন পুলিশ ফাইলগুলো দেখতে চেয়েছিলেন। হ্যারির ব্যক্তিগত সচিব সেগুলো পেলেও সবচেয়ে ‘চ্যালেঞ্জিং’ ফাইলগুলো সরিয়ে ফেলেছেন। তবুও তিনি পাপারাজ্জিদের তোলা তার মৃত মায়ের অনেক ছবি দেখতে পেয়েছেন।

তিনি বলেন, যে পুরুষরা তার মাকে অনুসরণ করেছিল দুর্ঘটনার সময় তারা তাকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করেনি। এমনকি কেউ তাকে সাহায্য কিংবা সান্ত্বনাও দিচ্ছিল না। সবাই শুধু ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দেবে জনতা ব্যাংক

চার্লস-ক্যামিলার বিয়ে

ক্যামিলাকে বিয়ে না করতে চার্লসকে অনুরোধ করেছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। হ্যারি লিখেছেন, ‘জিজ্ঞাসা করা হলে, উইলিয়াম এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আমরা ক্যামিলাকে পরিবারে স্বাগত জানাবো। বিনিময়ে আমরা একটি মাত্র জিনিস চেয়েছিলাম যে, তিনি তাকে বিয়ে করবেন না।’

সেই সময়ে বাবাকে তারা বলেছিলেন, ‘আপনাকে আর বিয়ে করতে হবে না, আমরা অনুরোধ করলাম। আমরা আপনাকে সমর্থন করি। ক্যামিলাকেও সমর্থন করি। শুধু দয়া করে তাকে বিয়ে করবেন না।’

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

হ্যারির স্মৃতিকথাজুড়ে মা ডায়ানা

আপডেট: ০৪:১২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে এসেছে প্রিন্স হ্যারির বহুল আলোচিত স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার।’ দুনিয়াজুড়ে ১৬টি ভাষায় প্রকাশিত হওয়া বহুল আলোচিত এই গ্রন্থটি বাজারে আসতে না আসতেই পাঠকদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পুরো বইজুড়ে বিশেষ করে মা ডায়ানাকে নিয়ে নিজের শূন্যতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বাজারে আসা ৪১৬ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে পেঙ্গুইন র‌্যানডম হাউজ। এতে নিজের শৈশব, মাকে হারানোর পরবর্তী অবস্থা, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আফগানিস্তানে নিজের দায়িত্ব পালনের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন তিনি।

স্পেয়ারের বিভিন্ন অংশ ফাঁস হওয়া ছাড়াও গত সপ্তাহে স্পেনে নির্ধারিত সময়ের আগেই ভুলবশত বইটির কিছু কপি বিক্রি হয়ে যায়।

হ্যারি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে দাদার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সফরের সময় ‘স্পেয়ার’ লেখার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে তার একটি ‘বিস্ময়কর’ উপলব্ধি ছিল যে, তার বাবা কিংবা ভাই কেউই বুঝতে পারেননি যে, কেন তিনি এবং তার স্ত্রী মেগান তাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজেদের আবাস গড়েছেন। সেখান থেকে তিনি ভাবলেন, এই বিষয়টি তাদের বলতে হবে।

মাকে হারানোর দিনগুলো

বইতে প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ডায়ানাকে হারানোর বেদনার কথা উল্লেখ করেন হ্যারি। জানান, মায়ের মৃত্যুর পর সকালে বাবা চার্লস তাকে জাগিয়ে তুলে ওই খবর দেন। তার ভাষায়, ‘তিনি (চার্লস) বিছানার কিনারায় বসেছিলেন। আমার হাঁটুতে হাত রাখলেন।’

হ্যারি লিখেছেন যে, ‘আমি তখন তাকে যা বলেছিলাম তার কিছুই আমার স্মৃতিতে নেই। হয়তো কিছু বলিনি। তবে আমার যা মনে আছে, তা হলো আমি কাঁদিনি। এক ফোঁটা চোখের পানিও নয়। আব্বু আমাকে জড়িয়ে ধরেননি। তিনি সাধারণ পরিস্থিতিতে আবেগ দেখানোর ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ছিলেন না।’

মায়ের মৃত্যুর কয়েক বছর পর হ্যারি দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত গোপন পুলিশ ফাইলগুলো দেখতে চেয়েছিলেন। হ্যারির ব্যক্তিগত সচিব সেগুলো পেলেও সবচেয়ে ‘চ্যালেঞ্জিং’ ফাইলগুলো সরিয়ে ফেলেছেন। তবুও তিনি পাপারাজ্জিদের তোলা তার মৃত মায়ের অনেক ছবি দেখতে পেয়েছেন।

তিনি বলেন, যে পুরুষরা তার মাকে অনুসরণ করেছিল দুর্ঘটনার সময় তারা তাকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করেনি। এমনকি কেউ তাকে সাহায্য কিংবা সান্ত্বনাও দিচ্ছিল না। সবাই শুধু ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দেবে জনতা ব্যাংক

চার্লস-ক্যামিলার বিয়ে

ক্যামিলাকে বিয়ে না করতে চার্লসকে অনুরোধ করেছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। হ্যারি লিখেছেন, ‘জিজ্ঞাসা করা হলে, উইলিয়াম এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আমরা ক্যামিলাকে পরিবারে স্বাগত জানাবো। বিনিময়ে আমরা একটি মাত্র জিনিস চেয়েছিলাম যে, তিনি তাকে বিয়ে করবেন না।’

সেই সময়ে বাবাকে তারা বলেছিলেন, ‘আপনাকে আর বিয়ে করতে হবে না, আমরা অনুরোধ করলাম। আমরা আপনাকে সমর্থন করি। ক্যামিলাকেও সমর্থন করি। শুধু দয়া করে তাকে বিয়ে করবেন না।’

ঢাকা/এসএম