১০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১৩ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০৩৬৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। একই সঙ্গে ভ্যাট আইনে তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানের অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দারা। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় আজই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। 

ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করে ভ্যাট গোয়েন্দারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিষ্ঠানটির গুলশান-১ এর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা দেখতে পায়, ই-অরেঞ্জ, অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে। কিন্তু তাদের প্রাপ্ত কমিশনের ওপর আরোপণীয় ভ্যাট যথাযথভাবে জমা দেন না। বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে গত ৮ জুন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় প্রতিষ্ঠানের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে হিসাব বিবরণী জব্দ করা হয়।

যেখানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে মোট ২৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার ২১৫ টাকার সেবা ও পণ্য ক্রয় করে। আর ২৪৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭১০ টাকার সেবা/পণ্য বিক্রয় করে। যেখান থেকে ই-অরেঞ্জের কমিশন আসে ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৫ টাকা। প্রাপ্ত কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে মোট ভ্যাটের পরিমাণ ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৫ টাকা প্রযোজ্য হলেও প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৭ টাকা পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে সরকারের ১৩ লাখ ১৬ হাজার ১৫৮ টাকা ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা আরও জানায়, বিক্রয় তথ্য গোপন ও ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ই- অরেঞ্জ ভ্যাট আইন লঙ্ঘন করায় মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলার প্রতিবেদন এখতিয়ারাধীন ঢাকা উত্তরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে উত্তরে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ডিএসই’র সঙ্গে এনটিভি’র এমডিএস ডেটা সেবা চুক্তি স্বাক্ষর

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

১৩ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট: ০৬:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। একই সঙ্গে ভ্যাট আইনে তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানের অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দারা। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় আজই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। 

ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করে ভ্যাট গোয়েন্দারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিষ্ঠানটির গুলশান-১ এর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা দেখতে পায়, ই-অরেঞ্জ, অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে। কিন্তু তাদের প্রাপ্ত কমিশনের ওপর আরোপণীয় ভ্যাট যথাযথভাবে জমা দেন না। বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে গত ৮ জুন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় প্রতিষ্ঠানের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে হিসাব বিবরণী জব্দ করা হয়।

যেখানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে মোট ২৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার ২১৫ টাকার সেবা ও পণ্য ক্রয় করে। আর ২৪৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭১০ টাকার সেবা/পণ্য বিক্রয় করে। যেখান থেকে ই-অরেঞ্জের কমিশন আসে ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৫ টাকা। প্রাপ্ত কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে মোট ভ্যাটের পরিমাণ ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৫ টাকা প্রযোজ্য হলেও প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৭ টাকা পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে সরকারের ১৩ লাখ ১৬ হাজার ১৫৮ টাকা ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা আরও জানায়, বিক্রয় তথ্য গোপন ও ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ই- অরেঞ্জ ভ্যাট আইন লঙ্ঘন করায় মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলার প্রতিবেদন এখতিয়ারাধীন ঢাকা উত্তরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে উত্তরে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ডিএসই’র সঙ্গে এনটিভি’র এমডিএস ডেটা সেবা চুক্তি স্বাক্ষর